অনুচ্ছেদ : পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি


পরিশ্রম সাধনায় সিন্ধি এনে দেয়। বিদ্যার্থী যথারীতি পরিশ্রম করে। সে বিদ্যা অর্জন করে যেমন, তেমনি ধন, মান ইত্যাদিও অর্জন করতে পারে। মানবজীবন সংগ্রামের জীবন। সে সংগ্রামে টিকে থাকতে হলে জয়লাভ করতে হলে, পরিশ্রমকে প্রধান হাতিয়ার রূপে বরণ করে নিয়ে সে পথে অগ্রসর হতে হবে। এই কর্মময় সংসারে ভাগ্য বলে কোনো অলীক সোনার হরিণের সন্ধান অদ্যাবধি মেলেনি। বাহ‍্যদৃষ্টিতে মানুষ যাকে ভাগ্যদেবী নামে অভিহিত করে, তা মূলত মানুষের প্রাণান্ত প্রচেষ্টারই ফসল। মানুষ নিরলস প্রচেষ্টা ও অক্লান্ত ত্যাগ স্বীকারের বদৌলতে সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধি হাসিল করে। কর্মবিমুখ ব্যক্তি অলস চিন্তার প্রভাবে যা কিছু চিন্তা-ভাবনা করে তা আকাশ-কুসুম রচনার মতোই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। ভাগ‍্যদেবী স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে কাউকে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সংস্থান করে দিয়েছেন এমন নজির মর্তলোকে মেলে না। মানব ইতিহাস থেকে প্রমাণ মেলে যে, সৃষ্টির প্রারম্ভিক স্তরে অসহায় মানুষ যখন হিংস্র প্রাণীর উপদ্রব ও বৈরী প্রকৃতির নির্মমতার হাত থেকে আত্মরক্ষার জন্য বুকফাটা আহাজারি শুরু করেছিল, তখন কোনো ঐশী শক্তি বা দেবতা তার আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তখন মানুষই একে অন্যের সাহায্যার্থে এগিয়ে এসেছে এবং পরস্পরের সহযোগিতায় বৈরী প্রকৃতির সাথে নিরলস সংগ্রাম করে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছে। তাই নিসংশয়ে একথা বলা যায় যে,
পরিশ্রমের দ্বারাই সৌভাগ্য অর্জন করা যায়, পরিশ্রমই সৌভাগ্যের প্রসূতি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post