‘প্রতিবন্ধী মাঈশার এগিয়ে চলা’ নিয়ে একটি ক্ষুদে গল্প লেখো।
প্রতিবন্ধী মাঈশার এগিয়ে চলা
স্কুল থেকে বাসায় ফিরে মাঈশা স্কুল ব্যাগটি বিছানায় ফেলেই জানালার কাছে গিয়ে
দাঁড়াল। দূর আকাশে উড়ে যাচ্ছে একটি খয়েরি রঙের পাখি। উদাস হয়ে সে সেদিকে
তাকিয়ে থাকে। পাশের রাস্তায় তাঁর বয়সী কয়েকটি ছেলেকে সে হেঁটে যেতে দেখে।
হঠাৎ দুচোখ বেয়ে তার অশ্রু গড়িয়ে পড়ে। মনে মনে সে ভাবে— ঐ যে মেয়েগুলো দ্রুত
পা ফেলে হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু আমি ওদের মতো হাঁটতে পারি না কেন? আমার একটি পা এত
বাঁকানো কেন?
হঠাৎ পিঠে সে একটি হাতের স্পর্শ অনুভব করে। তার মা এসে পিঠে হাত দিয়ে নরম স্বরে
বলেন— মাঈশা তোমার কি মন খারাপ? মাইশা মায়ের বুকে মাথা গুঁজে ফুঁপিয়ে বলে— মা,
স্কুলের কেউ আমার সাথে মিশতে চায় না। সবাই আমাকে দেখে হাসাহাসি করে। কিন্তু কেন
মা?
মা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন— সব ঠিক হয়ে যাবে মা। তুমি মন খারাপ করো না। তুমি
ভালো করে পড়াশোনা করো। এরপর যখন তুমি ক্লাসের প্রথম হবে তখন সবাই তোমার বন্ধু
হতে চাইবে। ওরা তাদের ভুল বুঝতে পারবে। মাঈশা ক্লান্ত স্বরে বলে– কিন্তু মা আমি
কি আমার এই শারীরিক অবস্থা নিয়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারব?
অবশ্যই পারবে মা। তুমি তো অনেক মেধাবী। তুমি একটু চেষ্টা করলেই পারবে। মা
প্রত্যয়ী স্বরে বললেন। এরপর থেকে মাঈশা নিয়মিত পড়াশোনায় মনোযোগী হয়ে ওঠে।
স্কুলে ওর আচরণ ও ফলাফলে সবাই বিস্মিত হয়। স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষায় মাঈশা প্রথম
স্থান অধিকার করলে শিক্ষক ও সহপাঠীরা তাকে শুভেচ্ছা জানায়। কয়েকজন সহপাঠী এসে
তাদের পূর্বের আচরণের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। মাঈশার মুখে তখন বিজয়ের হাসি
ফুটে ওঠে।
My name is also mysha. But I'm not প্রতিবন্ধী।😆😆😆😆😆
ReplyDelete