একটি রেল স্টেশনের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করো।
২০১৭ সালের ঘটনা। রাজশাহী বেড়াতে গিয়েছি। নাটোরের উত্তরা গণভবনটা দেখতে যাই।
সবকিছু দেখে নাটোর রেল স্টেশনে যখন পৌঁছলাম তখন রাত আটটা। ভেবেছিলাম যে সময় হোক
ট্রেন পেয়ে যাব। তাই হোটেলে রাতের খাবার খেয়ে স্টেশনের ওয়েটিং রুমে গিয়ে
বসলাম। রাত প্রায় দশটা নাগাদ একজন মাঝ বয়সের লোক ওয়েটিং রুমে প্রবেশ করে আমার
সামনের বেঞ্চে বসলো। হিমেশ আন্তরিকতার সঙ্গে আমার সঙ্গে আলাপ জমানোর চেষ্টা
করছিল। আমিও এখানে কথা বলার একজন লোক পেয়ে খুশিই হয়েছিলাম। লোকটি একসময় আমার পাশে
এসে বসে নানা ধরনের কথা বলেই চলছিল। হঠাৎ আমি অনুভব করলাম আমার প্রচন্ড ঘুম
পাচ্ছে, নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। তারপর আমি কিছুই জানিনা। যখন আমার চেতনা ফিরল,
দেখি আমি হাসপাতালের বেডে শুয়ে আছি। জানতে পারলাম স্টেশন মাস্টার আমাকে অচৈতন্য
অবস্থায় ওয়েটিং রুমে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় এবং তারাই আমাকে হাসপাতালে
নিয়ে আসে। ক্ষণিক পরিচয়ের বন্ধু গ্যাস দিয়ে আমাকে অচেতন করে আমার টাকা -পয়সা,
ব্যাগ, ঘড়ি, চশমা, মোবাইল যাবতীয় কিছু নিয়ে চলে গেছে। তারপরের দিন পুলিশের সাহায্যে আমি আবার দেশের ট্রেনে চেপে বসি। বাড়ি ফেরার জন্য গাড়ি ভাড়ার
টাকা তারাই আমাকে দেয়। এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার ঝুড়ি মাথায় নিয়ে আমি বাড়ি ফিরে
আসি।