সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি ভাষণ তৈরি কর।
সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ ও বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনার
শ্রদ্ধাভাজন সভাপতি, সম্মানিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত শ্রোতামন্ডলী আসসালামু
আলাইকুম,
আজ আমরা এক ক্রান্তিকালে দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের সমাজের চারদিকে আজ বিশৃঙ্খলা।
সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিতে অস্থির সময়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে দেশের সকল উন্নয়ন
ব্যাহত হচ্ছে। বিদেশিরা এদেশে পুঁজি বিনিয়োগে ভয় পাচ্ছে। ফলে দেশের বেকার
সমস্যা দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। বিশ্বের
দরবারে আজ বাংলাদেশ এক নম্বর দুর্নীতিবাজ দেশ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে। চাঁদা না
দিলে তারা ছেলেমেয়ে কর্তাকে জিম্মি করে নিয়ে যায়, হত্যার হুমকি দেয়। থানা
পুলিশ করতে গেলে আরও সমস্যার সৃষ্টি হয়। অনেক রাজনৈতিক নেতা কিংবা কোনো কোনো
স্থলে টাকা দিয়ে মীমাংসাও করে দেওয়া হয়। যেমন—
- নতুন জমি বা বাড়ি কিনতে গেলে চাঁদা দিতে হয়।
- শিল্পকারখানা স্থাপন করতে গেলে চাঁদা দিতে হয়।
সরকারের কোনো উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হলে যিনি কাজটি নিয়েছেন তাকে ঐ এলাকার
চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হয়। এ চাঁদাবাজির জন্য অনেক সময় মারামারি,
হানাহানি হয়। আমাদের সমাজে যত সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটে এর প্রায় প্রতিটির পেছনে
আছে চাঁদাবাজি। সুতরাং সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে হলে যা যা করতে হবে তা হলো—
- আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একের বিপদে অন্যদের ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
- সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র তাদের প্রতিরোধ করতে হবে।
- সন্ত্রাসীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে।
- সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করার জন্য নিকটস্থ থানার সহযোগিতা নিতে হবে।
- প্রতিটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে নিরাপত্তা কর্মী রাখতে হবে।
সুতরাং উল্লিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করলে আমরা সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়তে পারব।
আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।