বনভোজনের অভিজ্ঞতার আলোকে দিনলিপি

বনভোজনের অভিজ্ঞতার আলোকে দিনলিপি

১০মার্চ,২০১৮
গাজীপুর।

সকাল সাতটার মধ্যে কলেজ গেটে উপস্থিত থাকতে হবে। এজন্য ছয়টার মধ্যেই বিছানা ছাড়তে হলো। চল্লিশ মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে গেলাম। সাতটার মধ্যে পৌঁছে দেখি দুটি বাসই প্রায় ভর্তি হয়ে গেছে। সকালের নাশতা ছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় সবকিছু তোলা হলো। দায়িত্বপ্রাপ্ত স্যার ম্যাডামরা চলে এলেন। গাড়ি ছাড়ল সাড়ে সাতটায়। নয়টার মধ্যে বনভোজনের জায়গায় পৌঁছে গেলাম। তার আগেই নাশতার প্যাকেট ও পানির বোতল দেয়া হয়েছে। আমরা সবুজ ঘাসের উপর বসে আরাম করে নাশতা খেলাম। তারপর স্যারদের সাথে আশেপাশের বন এলাকায় ঘুরতে বের হলাম। বরই আর পেয়ারা বাগান দেখে ঢুকে পড়লাম। বরই পেরে খাচ্ছি আর হৈচৈ করছি। বাগানের লোক আমাদের কাছ থেকে কিছু দাম নিয়ে নিল। চলে এলাম মাঠে। সেখানে মজার কিছু খেলা হবে। আমি ব্যাঙ দৌড় আর বস্তা দৌড়ে অংশ নিলাম। তিথি পড়ে গিয়ে নাক ফাটিয়ে ফেলল। তাকে দ্রুত ক্লিনিকে নেয়া হলো। খাসির রেজালা, মুরগির রোস্ট আর পোলাও রান্না চলছে। দুপুরের খাওয়া সেরে কিছুটা অবসর। তারপর শুরু হলো লটারি। যার ভাগ্যে সেটা উঠবে সেটাই করে দেখাতে হবে। আমি তোতলার অভিনয় করতে গিয়ে তোতলা হয়ে গেলাম। খুব মজা হলো এ আসরে। এরপর পুরষ্কার বিতরণ করলেন অধ্যক্ষ মহোদয়। সন্ধ্যায় হয়ে আসছে। যাওয়ার সময় হলো। বাস ছেড়ে দিল। গান গাইতে গাইতে চলে এলাম কলেজ গেটে, তারপর বাসায়।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post