বর্ষণমুখর দিন/সন্ধ্যা সম্পর্কে দিনলিপি লেখ।
আজ সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হলো। বিকালে মাঠে যাওয়া হলো না। কী করে যাব, অবিরাম
বৃষ্টি। শ্রাবণের বর্ষণের মধ্যেই দিনের সূর্য হারিয়ে সন্ধ্যা মেনে এলো। একইভাবে
অশান্ত বর্ষণ। মেঘের কালো ছায়ায়, বৃষ্টিতে, ঝড়ো হাওয়ায়, ঘন ঘন মেঘের গুরু গুরু ডাকে
অদ্ভুত একটা মায়াবী পরিবেশ লক্ষ করলাম আজ সন্ধ্যায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতা মনে
পড়ল, গান মনে পড়ল এসবের মধ্যেও মনে পড়ল হাঘরে হাভাতে মানুষের কথা। বর্ষণমুখর
সন্ধ্যার রূপ কবির কাছে যেভাবে ধরা পড়ে ক্ষুধার্তের কাছে সেভাবে ধরা পড়ে না।
অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়। কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়। শ্রমজীবী মানুষের
ভোগান্তি বাড়ে। “ওগো, আর তোরা যাসবে ঘরের বাহিরে”, আর যাদের ঘর নেই, তারা কোথায়
যাবে? মানুষ যদি মানবিক হয় তবেই এদের রক্ষা, কবির কথার সার্থকতা; নচেৎ তা নয়।
সারাদিন কালিদাসের ‘মেঘদূত’ পড়েও আমার মন থেকে অসহায় মানুষের করুণ মুখ মুছে ফেলতে পারলাম না।
সৈয়দ জোবায়ের
গাজীপুর।