১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ তৈরি করো।
বর্ষা : আমার মনটা ভালো নেই রে; কাল ‘স্টপ জেনোসাইড’ দেখার পর
থেকেই খুব কষ্ট হচ্ছে।
বশির : জহির রায়হানের ‘স্টপ জেনোসাইড’? দেখেছি, আমারও কষ্ট
হয়েছে।
বর্ষা : মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে কীভাবে?
বশির : মুক্তিযুদ্ধ সে কারণেই হয়েছে।
বর্ষা : আসলে আমাদের সবরকমের মুক্তি দরকার ছিল।
বশির : তার জন্য আমাদের ত্যাগও কিন্তু অনেক বড়।
বর্ষা : ২৫শে মার্চের রাতের গণহত্যা নাকি পৃথিবীর অন্যতম গণহত্যার
একটি ।
বশির : দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার সঙ্গে এটিকে তুলনা করা হয়।
বর্ষা : এমন নিষ্ঠুরতা সহ্য করা যায় না।
বশির : বঙ্গবন্ধু শান্তির পথে সমাধানের অনেক চেষ্টা করেছিলেন।
কিন্তু পাকিস্তানিদের কৌশল বুঝতে পেরে তিনি ৭ই মার্চের ভাষণেই যুদ্ধের ডাক
দিয়েছেন।
বর্ষা : আহ! ওই ভাষণ শুনলে কেমন গায়ের রক্ত গরম হয়ে ওঠে। এখন
যুদ্ধ হলে অবশ্যই আমি যুদ্ধে যেতাম।
বশির : সত্যিই বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষের নেতৃত্ব ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে
বিজয় অর্জন সম্ভব হতো না।
বর্ষা : শুনলাম প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে নাকি একটা করে মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘর হবে।
বশির : দ্যাখ, সারাদেশেই তো মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে; ঢাকার একটা
জাদুঘরে সেগুলো সব সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়।
বর্ষা : আমাদের এখানেও তো একটা বদ্ধভূমি আছে। তাছাড়া এখানে ভয়াবহ
যুদ্ধও হয়েছে।
বশির : এ কারণেই প্রথমে বিভাগীয় শহরে ও পরে জেলায় জেলায় একটি
করে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হওয়া প্রয়োজন।
বর্ষা : আসলে পড়ে জানার চেয়ে দেখে অনেক তাড়াতাড়ি জানা যায়।
চোখের সামনে মুক্তিযুদ্ধের চিহ্ন দেখতে পেলে একটা অন্যরকম অনুভূতি হবে।
বশির : সে কারণেই মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর খুব প্রয়োজন।