সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথোপকথন
রচনা করো।
সুমন, শম্পা, রিংকু, রিনি : স্যার কেমন আছেন?
শফিক স্যার : ভালো আছি, তোমরা কেমন আছ?
সুমন : আমরা ভালো আছি স্যার। আপনি কী একটা বলবেন বলছিলেন?
শফিক স্যার : হ্যা, ভাষা নিয়ে তোমাদের সঙ্গে একটু কথা বলা দরকার।
শম্পা : সামনে তো ফেব্রুয়ারি মাস স্যার।
শফিক স্যার : হ্যা, ফেব্রুয়ারি এলেই ভাষার কথা মনে হয় আমাদের।
কিন্তু ভাষাটা শুধু ফেব্রুয়ারি মাসের ব্যাপার নয়, সারা বছরই এর চর্চা করতে হয়।
রিংকু : আসলে স্যার আমরা সারা বছর ভাষার দিক খেয়ালই করি না।
শফিক স্যার : এ কারণেই চারদিকে বাংলা ভাষার এত দুরবস্থা ৷
রিনি : টিভিতে অনেকেই বলেন ‘সর্বস্তরে’ বাংলা ভাষার প্রচলন করতে
হবে। এটা আসলে কী স্যার?
শফিক স্যার : এ কথার মানে হলো আমাদের জীবনের প্রতিক্ষেত্রে
শুদ্ধভাবে বাংলা ভাষার ব্যবহার বাড়ানো বা চর্চা করা বলতে পারো।
সুমন : কিন্তু স্যার রাস্তায় বেরোলেই আমারা ইংরেজি শব্দের
ব্যবহার দেখি। প্রায় সব জায়গাতেই ইংরেজি ব্যবহার করার চেষ্টা করা হয়।
শম্পা : স্যার, এটা নাকি স্মার্টনেসের লক্ষণ?
রিংকু : আমিও এমন শুনেছি স্যার।
শফিক স্যার : রিনি, তুমি কিছু শোনোনি?
রিনি : ওদের মতোই আমারও একই অবস্থা স্যার।
শফিক স্যার : নিজের ভাষাকে ত্যাগ করে মানুষ স্মার্ট হতে পারে না।
অন্য ভাষা শিখতে পারো, বলতে পারো, ব্যবহারও করতে পারো, তবে নিজের মাতৃভাষার
গুরুত্ব সবার আগে।
সুমন : স্যার, আমরা এক্ষেত্রে কী করতে পারি?
শফিক স্যার : তোমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শুদ্ধভাবে বাংলা
বলার ও লেখার চেষ্টা করতে হবে এবং আশপাশের মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
শম্পা : ঠিক বলেছেন স্যার, অনেক শিক্ষিত মানুষও এ বিষয়ে সচেতন
নয়।
শফিক স্যার : বাকিরা কী ভাবছ?
রিংকু ও রিনি : আমাদেরও একই মত স্যার।