পরিচ্ছন্ন রাজধানী নির্মাণে কী করা উচিত, এ বিষয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে একটি
সংলাপ রচনা করো।
চয়ন : উঁহু, কী গন্ধ ৷ বাবা জানালাটা বন্ধ করো না কেন?
মি. ইকবাল : আরে আমি একটু বাতাসের জন্যে খুললাম। এখন তো ঘরে থাকাই
মুশকিল দেখছি।
চয়ন : তুমি তো জানোই বাবা, ওই জায়গায় সবাই ময়লা ফেলে। গন্ধ তো
আসবেই!
মি. ইকবাল : সেদিন সবাইকে কত অনুরোধ করলাম ময়লা না ফেলতে; একটা
পোস্টারও লাগিয়ে দিলাম। কিন্তু কোনো কাজ হল না।
চয়ন : নিজেরা সচেতন না হলে তোমার পোস্টারে কিছুই হবে না বাবা।
মি. ইকবাল : ঢাকা শহরটাকে দিন দিন এরা ডাস্টবিন বানিয়ে ফেলছে।
প্রায় সবাই যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে।
চয়ন : না বাবা, এখানে ডাস্টবিনের যথেষ্ট অভাব আছে। তাছাড়া
মানুষকে সেভাবে সচেতন করা হয় না।
মি. ইকবাল : পরিচ্ছন্ন ঢাকা শহর, স্বপ্ন বলে মনে হয়। মানুষ একটু
ইচ্ছা করলেই শহরটাকে অনেকটা পরিষ্কার রাখতে পারে।
চয়ন : শুধু যদি পয়োনিষ্কাশন আর ময়লা ফেলার বিষয়ে মানুষ নিয়ম
মেনে চলে তাহলে ৭০ ভাগ কাজ হয়ে যাবে।
মি. ইকবাল : ঠিকই বলেছিস, গার্মেন্টস আর পুরান ঢাকার কারখানাগুলোও
আস্তে আস্তে শহরের বাইরে নিতে হবে।
চয়ন : হাজারীবাগের চামড়ার কারখানাগুলো কিন্তু সাভারে নেয়া
হচ্ছে।
মি, ইকবাল : টিভিতে দেখলাম সেদিন; বুড়িগঙ্গা নদী তো একেবারে দূষিত
হয়ে গেছে।
চয়ন : এ কারণেই শহর পরিচ্ছন্ন করতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
মি. ইকবাল : তোদের কলেজে বোধ হয় সেদিন এগুলো নিয়ে কী একটা
হয়েছিল?
চয়ন : হ্যা, একটা ওয়ার্কশপ হয়েছে; কীভাবে রাজধানী পরিষ্কার রাখা
যায় সে বিষয়ে।
মি. ইকবাল : তাহলে তুই তো অনেক কিছুই শিখেছিস।
চয়ন : শিখেছি বাবা, তোমাকেও শিখিয়ে দেব, এখন দয়া করে জানালাটা
বন্ধ করো।
মি. ইকবাল : ও হ্যা, বন্ধ করে দিচ্ছি।