কোচিং বাণিজ্য নিয়ে দুজন শিক্ষার্থীর মধ্যে সংলাপ

কোচিং বাণিজ্য নিয়ে দুজন শিক্ষার্থীর কথোপকথন রচনা করো।


অর্ক : কেমন আছিস বল? হাতে এত কাগজপত্র কীসের?

অহনা : ভালো নেই; আর হাতে যা দেখছিস সব কোচিং-এর নোট।

অর্ক : কত টাকা লাগল এগুলো নিতে?

অহনা : ২৫০০ দিয়েছি, আরো ৫০০ লাগবে।

অর্ক : কোচিং সেন্টারগুলো টাকা ছাড়া কিছুই বোঝে না!

অহনা : কী করব বল, না দিয়ে উপায় নেই। কারণ আমাদের পড়াশোনা এখন কোচিং নির্ভরই হয়ে গেছে।

অর্ক : সে চান্সটাই ওরা নিচ্ছে। নোট ধরিয়ে দিচ্ছে আর একগাদা টাকা নিয়ে নিচ্ছে।

অহনা : ক্লাসের ওই অল্প সময়ে ভালোমতো কিছুই বুঝি না; তাই বাধ্য হয়ে কোচিং-এ যাই।

অর্ক : কিন্তু কোচিং-এ এখন নামেমাত্র পড়াশোনা হয়। তার বদলে ওরা যে ফিস নেয় তা রীতিমতো বাণিজ্য!

অহনা : উপায় কী বল? কোচিং-এ না গেলেও নানারকম সমস্যা।

অর্ক : বিভিন্ন কোচিং-এর বিভিন্ন নিয়ম। আর এই নিয়মের মধ্যে ফেলে আমাদের কাছ থেকে একগাদা টাকা আদায় করে নিচ্ছে।

অহনা : ক্লাস লেকচার, নোট, দৈনিক পরীক্ষার ফি, সাপ্তাহিক পরীক্ষার ফি, মাসিক পরীক্ষার ফি— শুধু টাকা আর টাকা!

অর্ক : শুধু তাই বল, প্যাকেজের নাম করেও কোচিংগুলো বিভিন্নভাবে আমাদের কাছ থেকে একগাদা টাকা নেয়।

অহনা : তাহলে আমরা কী করব বল? আমাদের তো আর উপায় নেই।

অর্ক : নিজেরা পড়াশোনা না করলে কোচিং-এর ওপর নির্ভরতা কমানো যাবে না।

অহনা : ঠিকই বলেছিস, তবে কোচিংগুলোর ক্ষেত্রে একটা সাধারণ নিয়ম প্রয়োজন, যাতে তারা ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করতে না পারে।

অর্ক : ঠিক বলেছিস, এ বিষয়ে ছাত্রছাত্রীদেরই দাবি তুলতে হবে।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post