সংস্কৃতি ও অপসংস্কৃতি নিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ।
সীমা : জানিস, মা-বাবার সঙ্গে এখন আর টিভি দেখা যায় না।
শান্ত : কেন, কী হয়েছে?
সীমা : আর বলিস না, যা সব দেখায় টিভিতে একবারে সেন্সর নেই।
শান্ত : বুঝেছি, তুই বাইরের চ্যানেলগুলোর কথা বলছিস; তো সেগুলো না
দেখলেই তো পারিস।
সীমা : ধ্যাত, কী যে বলিস না, কত সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান হয়
চ্যানেলগুলোতে।
শান্ত : তোর কথা একেবারে ফেলে দেয়া যায় না, কিন্তু আমাদের দেশের
চ্যানেলগুলোতেও কিন্তু অনেক ভালো অনুষ্ঠান হয়।
সীমা : দূর, এখানকার আর্টিস্টরা সব সেকেলে পোশাক আর মেকআপে অভিনয়
করে।
শান্ত : বিষয়টা তা নয়, ওগুলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির সঙ্গে
ভারসাম্যপূর্ণ; তাছাড়া সেগুলো দেখতেও বেশ ভালো ।
সীমা : তা ঠিক, কিন্তু আমাদের বয়সি ছেলেমেয়েরা ওগুলো ফলো করে না।
তুই আমি কি করেছি, বল?
শান্ত : আমরাও আসলে পারিনি, কিন্তু আমাদের দেশের শিল্প-সাহিত্য,
নাটক, সিনেমা, গান সত্যিই খুব ভালো রে।
সীমা : মাও তাই বলে, কিন্তু আমরা চাইলেই কি আমাদের মধ্য থেকে
অপসংস্কৃতি দূর করতে পারব বল?
শান্ত : হয়তো পুরোটা পারব না, কিন্তু চেষ্টা করতে হবে দেশের
সংস্কৃতিকে সব জায়গায় রিপ্রেজেন্ট করতে।
সীমা : হ্যা, দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও সংগঠন এ কাজের
চেষ্টা করছে। আশা করা যায় খুব তাড়াতাড়ি ভালো কিছু পাওয়া যাবে।
শান্ত : এভাবে চেষ্টা করতে করতেই একদিন সফল হবে তারা, হাত বন্ধ করে
তো বসে থাকা যাবে না।
সীমা : এই রে ক্লাসের সময় হয়ে গেল, চল এখন ক্লাসে যাই।
শান্ত : হ্যা, চল।