নাগরিকের কর্তব্য সম্পর্কে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে সংলাপ রচনা করো।
নয়ন : আসসালামুআলাইকুম স্যার। ভালো আছেন?
মি. নোমান : ওয়া আলাইকুম আসসালাম, ভালো আছি নয়ন। তুমি কেমন আছ?
বেশ কদিন তোমাকে দেখলাম না, কোথাও গিয়েছিলে কি?
নয়ন : হ্যা স্যার, একটু গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। আব্বা-আম্মা
ইউনিয়ন পরিষদের ভোট দিল তো ।
মি. নোমান : ও হ্যা, এখন তো ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চলছে। তা ভোট
কেমন হলো? তুমি কি ভোট দিয়েছ?
নয়ন : ভোট ভালোই হয়েছে স্যার; কিন্তু আমি তো এখনো ভোটার হয়নি,
তাই ভোটও দিইনি।
মি. নোমান : তোমার তো ১৮ পূর্ণ হয়নি। তবে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে
কিন্তু অবশ্যই ভোটার হবে। এটি সুনাগরিকের অন্যতম কর্তব্য।
নয়ন : স্যার, নাগরিকদের আর কী কী কর্তব্য রয়েছে?
মি. নোমান : দেখ নাগরিকদের কর্তব্য মোটামুটি দু রকম— সাংবিধানিক আর
আবশ্যকীয়।
নয়ন : ভোটাধিকার প্রয়োগ কি সাংবিধানিক কর্তব্য স্যার?
মি. নোমান : হ্যা, তুমি ঠিকই ধরেছ। তবে অন্য কর্তব্যগুলোও
গুরুত্বপূর্ণ।
নয়ন : স্যার যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন।
মি. নোমান : যেমন পৌরকর প্রদান, আয়কর প্রদান, রাষ্ট্রের আইনের
প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, কারো মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ না করা এরকম আরো কিছু আছে।
নয়ন : অন্যগুলো বুঝেছি স্যার, কিন্তু পৌরকর কী?
মি. নোমান : পৌরকর হলো সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদের
নির্ধারিত কর।
নয়ন : আমি বুঝিনি স্যার।
মি. নোমান : ধরো শহরে বা গ্রামে যে যেখানেই থাক না কেন স্থানীয়
সরকার তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। তার বিনিময়ে তারা কিছু কর নেয়।
নয়ন : স্যার, জমির খাজনা বা পানির বিল বা পরিচ্ছন্নতার বিল কি এই
করের মধ্যে পড়ে।
মি. নোমান : তুমি ঠিকই ধরেছ।
নয়ন : ধন্যবাদ, স্যার একটু বাজারে যেতে হবে। আমি কি উঠব?
মি. নোমান : এসো নয়ন, ভালো থেকো।