নিজ নিজ পেশার বৈশিষ্ট্য নিয়ে কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সংলাপ রচনা করো।
রমিজ : তুমিও ভালো থেকো বশির।
রমিজ : আরে বশির না; কেমন আছ?
বশির : ভালো আছি রমিজ ভাই। আপনি কেমন আছেন?
রমিজ : কেমন আর থাকব, এবার ফসল ভালো হয়নি। তুমি তো চাল কলে
কাজ করো। তোমাদের অনেক কষ্ট করতে হয় তাই না?
বশির :
ভাই, আপনাদের কষ্টের কাছে আমাদের কষ্ট তো কিছুই না। আপনারা একটানা রোদে পুড়ে কাজ
করেন। এছাড়া সেচ দেওয়া, সার দেওয়া, যত্ন করে বড় করে তোলা, ধান কাটা, মাড়াই
করা- এত কিছুর পরেও ফসলের ন্যায্য মূল্য পান না আবার ফলন খারাপ হওয়ার আশঙ্কা তো
আছেই।
রমিজ : ঠিকই বলেছ বশির। কিন্তু তোমাদের পরিশ্রম
তো কম নয়। ভারি ভারি বস্তা মাথায় চাপিয়ে কলে নিয়ে যাওয়া, শুকানো, মাড়াই করে
চালে পরিণত করে আবার তা দোকানে পাঠানো কম কষ্টের নয়।
বশির :
হ্যা ভাই, আমাদেরও অনেক কষ্ট করতে হয়। কিন্তু কষ্ট হলেও দিন শেষে আমাদের
পারিশ্রমিকের নিশ্চয়তা আছে। বশির আপনারা তো অনিশ্চয়তায় ভোগেন।
রমিজ : দেখো বশির, বেশি কিছু পাবার আশায় আমরা ফসল ফলাই না। ফসল ফলাই ভালোবাসায়।
বশির :
আপনাদের কষ্টের ফসল সবাই ভোগ করছে কিন্তু আপনাদের প্রতি সবাই উদাসীন।
রমিজ :
সবার দোষ দেওয়া ঠিক হবে না। এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে এমন হচ্ছে।
বশির : সরকার এ বিষয়ে কঠোর হচ্ছে। আপনাদের সমস্যা নিয়ে ভাবছে। একদিন এ সমস্যা কেটে
যাবে ভাই।
রমিজ : তাই যেন হয় বশির, তাছাড়া তো আমাদের বাঁচার উপায় নেই।
বশির : ভালো থাকবেন রমিজ ভাই।
রমিজ : তুমিও ভালো থেকো বশির।