সম্প্রতি সাফ গেমস ফুটবলের ব্যর্থতা নিয়ে দুই বন্ধুর সংলাপ তৈরি করো।
ইমরান : কিরে, খেলা শুরু না করে ফুটবল নিয়ে বসে আছিস যে।
তূর্য : তমাল, হিমু ওরা এখানো আসেনি। গত দুদিন তো খেলাই হয়নি ৷
ইমরান : কেন? খেলা হবে না কেন? তোরা কি সব একসাথে অসুস্থ ছিলি
নাকি?
তূর্য : না, ইচ্ছে করেই ওরা ফুটবল খেলতে আসে না। সাফ গেমসের
ব্যর্থতা ওদের ফুটবলের প্রতি অনিহা সৃষ্টি করেছে। আমি মনে করেছিলাম তুইও আসবি না।
ইমরান : আরে, আমি তো অসুস্থ ছিলাম তাই দুইদিন আসতে পারিনি। যদিও
সাফ গেমস ফুটবলে বাংলাদেশের খেলা দেখে আমিও হতাশ হয়েছি। বাংলাদেশ কেন যে ভালো
করতে পারছে না।
তূর্য : আমার মনে হয়, ক্লাব ফুটবলে বিদেশি খেলোয়াড়দের অতি
প্রাধান্যই এর কারণ। লক্ষ করবি বাংলাদেশ দল যে সব অবস্থানে দুর্বল, ক্লাব ফুটবলে
সেসব স্থানে বিদেশি খেলোয়াড় খেলে।
ইমরান : সেটা আমিও লক্ষ্য করেছি। তাছাড়া স্কুল পর্যায়ে ফুটবলার
তৈরির কোনো প্রচেষ্টাও নেই।
তূর্য : শুধু কি তাই? ফুটবলারদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এবং বিদেশি
কোচ নিয়ে সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। আমার মনে হয় আমাদের দেশি কোচ তৈরি করা উচিত ।
ইমরান : তোর হয়তো মনে আছে। অতীতে সাফ ফুটবলে আমরা খুব ভালো
খেলেছি।
তূর্য : হ্যা, বাঙালি ফুটবল পাগল জাতি। আমাদের মতো লক্ষ-কোটি
দর্শকের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে আরো শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল হতে
হবে।
ইমরান : ক্লাব ফুটবল ও অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে,
বাংলাদেশ সাফ গেমসের শিরোপা জিতবেই।