বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের সাম্প্রতিক প্রবণতা বিষয়ে
দুই বন্ধুর কথোপকথন তৈরি করো।
রাশেদ : কী অসহ্য গরম পড়েছে দেখেছ?
শাহীন : হ্যা, মনে হচ্ছে চামড়া পুড়ে যাবে।
রাশেদ : আগে তো এমন ছিল না। এখন দেখছি গ্রীষ্মের আগেই অসহ্য গরম
শুরু হয়ে যায়।
শাহীন : কারণ টা বলতে পারবে?
রাশেদ : কারণ তো একটাই, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি।
শাহীন : কিন্তু দিন দিন পৃথিবী এত উষ্ণ হচ্ছে কেন?
রাশেদ : অক্সিজেনের মাত্রা হ্রাস ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের মাত্রা
বৃদ্ধি – এটাই উষ্ণতা বাড়ার মূল কারণ।
শাহীন : আচ্ছা, কেন এমন হচ্ছে বলো তো?
রাশেদ : পৃথিবীর কলকারখানাসহ যানবাহনের ধোয়া ও বৃক্ষ নিধনের ফলে
অক্সিজেন কমছে।
শাহীন : আর কার্বন ডাইঅক্সাইড?
রাশেদ : অক্সিজেন কমলে স্বভাবতই কার্বন ডাইঅক্সাইড বাড়বে। আর
কার্বন ডাইঅক্সাইড বাড়লে তাপমাত্রাও বাড়বে।
শাহীন : এর ফলে পৃথিবীর অনেক ক্ষতি হতে পারে, তাই না।
রাশেদ : অবশ্যই। উষ্ণতা বাড়লে মেরু অঞ্চলের বরফ গলবে। আর বরফ গললে
সাগরের পানির পরিমাণও বেড়ে যাবে।বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলসহ, মালদ্বীপের মতো
অনেক দেশ সাগরে ডুবে যাবে।
শাহীন : বলো কী? তাহলে তো জলবায়ু পরিবর্তন পৃথিবীর জন্য মারাত্মক
হুমকির ব্যাপার।
রাশেদ : শুধু তাই নয় ৷ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি
সবই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে।
শাহীন : তাহলে এর থেকে পরিত্রাণের উপায় কী?
রাশেদ : সচেতনতা। মানুষ সচেতন হলে এর প্রভাব ধীরে ধীরে কমে আসবে।
শাহীন : যেমন বৃক্ষ নিধন বন্ধ করা, বৃক্ষরোপণ করা, ধোয়া
নিঃসরণকারী কারখানার বিকল্প উৎপাদন পদ্ধতির ব্যবস্থা করা এইতো?
রাশেদ : হ্যা, এগুলো করতে পারলে পৃথিবীর আবার পূর্বের অবস্থায়
ফিরে যাবে।
শাহীন : তোমার সাথে কথা বলে অনেক ভালো লাগল বন্ধু।
রাশেদ : শুধু নিজে সচেতন হলেই চলবে না। অন্যকেও সচেতন করতে হবে।
শাহীন : হ্যা বন্ধু, আমরা একটি সংগঠন করব। এর কাজ হবে মানুষকে
সচেতন করা।
রাশেদ : চমৎকার আইডিয়া। আমিও থাকব তোমার সাথে।