রিকশাচালক ও যাত্রীর মধ্যে একটি সংলাপ লেখো।
লুনা : চাচা দিনকাল কেমন চলে? আয়-রোজগার ভালো?
রিকশাচালক : আল্লা যেমন রাখছে এই আরকি। ভালাই আছি, পোলামাইয়া
লইয়া ভালাই কাটে ।
লুনা : ছেলেমেয়ের লেখাপড়া কত দূর?
রিকশাচালক : পোলাডা কেলাস সিক্সে আর মাইয়াডা নাইনে। একলা একলা
পড়ে, মাস্টার রাখতে পারি না। মাস্টার দেওনের টাকা পামু কই।
লুনা : চাচা, কষ্ট করে ছেলেমেয়ের লেখাপড়া চালিয়ে যান দেখবেন
একদিন ওরাই আপনার সম্পদ হবে।
রিকশাচালক : এর জন্যই নিজের কষ্ট অইলেও তাদের পড়ালেখা করাই। ওরাও
কষ্ট করে। সবার শখ-আল্লাদ পূরণ করবার পারি না। ইন্টারমিডিয়েট পাস করান। তারপর
দেখবেন ওরা ভালো জায়গায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের খরচ নিজেরা
চালাতে পারবে। আমিওতো টিউশনি করে খুব ভালোভাবে চলছি।
রিকশাচালক : হু, নিজে মুরখো অইছি তাই বইলা পোলামাইয়ারে তা হইতে
দিমু না। যেমনে পারি ওগোরে লেখাপড়া করামু। আমার পোলামাইয়ার লাইগা দোয়া কইরেন।
লুনা : অবশ্যই। আর ক্যাম্পাসে রিকশা চালালে হয়তো আবার দেখা হবে।
আমি ওইখানেই বেশি সময় থাকি।
রিকশাচালক : মা, আপনিও অনেক বড় হন। খুব ভালা লাগল আপনার সাথে কথা
কইয়া। সবাই যেন আপনার মতো ভালা মানুষ হয়।
লুনা : দোয়া করবেন। আসলেই যেন মানুষ হতে পারি।