নির্বাচনি পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার দিনের দিনলিপি
০৭ জানুয়ারি, ২০১৮
দনিয়া, ঢাকা।
০৭ জানুয়ারি, ২০১৮
দনিয়া, ঢাকা।
নির্বাচনি পরীক্ষার আগে আমার জ্বর হয়েছিল। স্বভাবতই আমার শরীর ছিল দুর্বল।
মা-বাবার উৎসাহেই আমি নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। প্রতিটি পরীক্ষার দিনেই
আমার মনে হয়েছে আমি বোধহয় কিছু লিখতে পারবো না। কিন্তু প্রশ্ন হাতে পেয়ে লিখতে
শুরু করলে আর তা মনে হয় নি। প্রথম থেকে প্রতিটি পরীক্ষা আমার ভালোই হয়েছে।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর আমার মনে হয়েছে আমি জিপিএ-৫ পাবো। কিন্তু ফল প্রকাশের আগের
দিন থেকে আমার বুকের ভেতর দুরু দুরু করতে থাকে। কেমন একটা ভয়! আমি জিপিএ-৫ পাব
তো! আশা নিরাশার দোলায় রাতটা কেটে যায়। সকাল বেলায় আমাকে ডাকতে এসে আমাকে ভরসা
দেন, তুই যেমন আশা করেছিস তোর রেজাল্ট তেমনই হবে। এখন উঠে তৈরি হয়ে নে। ন’টা বেজে
গেছে। তাড়াতাড়ি তৈরি হলাম। নাশতা খেলাম। তারপর বেড়িয়ে পরলাম। কলেজ গেটে আসতেই
রাজিব ফোন করে খবরটা দিল। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। ভেতরে ঢুকতেই
আশরাফ, শামসু, মহির, সুভাষ, নাজির আমাকে জড়য়ে ধরে অভিনন্দন জানাল। আমি এগিয়ে গেলাম
রেজাল্ট বোর্ডের দিকে। দেখে আমার চোখ ছানাবড়া। সত্যিই দেখছি তো! রসায়সেন স্যার
এসে বললেন, হ্যাঁ, সত্যিই তুমি তিন গ্রুপ মিলিয়ে প্রথম হয়েছ। এক অনাস্বাদিত আনন্দ
নিয়ে স্যারদের সালাম করে বাড়ি চলে এলাম। স্রষ্টার কাছে কৃতজ্ঞতা জানালাম অনেকবার।
মা আমাকে জড়িয়ে ধরে কপাল্ব চুমু খেলেন। আর বাবা মাথায় হাত বুলিয়ে এ রেজাল্ট ধরে
রাখার জন্য আশীর্বাদ করলেন। মনে মনে আমিও প্রতিজ্ঞা করলাম আমাকে আরও ভালো করতে
হবে।