ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শনের দিনলিপি
১৬ আগস্ট, ২০১৮
বাগেরহাট।
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। টেলিভিশনে ব্রেকিং নিউজ চলছে। ঘূর্ণিঝড়ের
কেন্দ্রস্থল ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। সন্ধ্যার দিকেই হলো জলোচ্ছ্বাস। ঘর ও গাছ
চাপা পড়ে মারা গেল দুজন। অনেকেই আহত। খাদ্যসামগ্রী, হাঁড়ি পাতিল, গরু ছাগল ভেসে
গেল। চারদিকে ঘরহারা ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। রাতের বেলায় ত্রাণসামগ্রী
সংগ্রহ করে সকলেই রওয়ানা হলাম বাগেরহাটের উদ্দেশ্যে। চিত্রা নদীর দুই পাড়ের
বিস্তীর্ণ এলাকায় কেবল ধবংসচিহ্ন। অসহায় মানুষ নিজেদের হারানো জিনিস খুঁজতে
ব্যস্ত। অনেকেই ত্রাণসামগ্রীর আশায় বসে আছে। একজন বৃদ্ধাকে দেখা গেল লাঠি ভর
করে ধীর পায়ে আসার চেষ্টা করছেন। আমি নিজেই তার কাছে গিয়ে তার নিঃস্ব অবস্থার কথা
জানলাম। তার হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দিলাম। আর আমার গায়ের শালটা তার গায়ে
জড়িয়ে দিলাম। ফোকলা মুখে অপূর্ব হাসি ফুটে উঠল। আমি তৃপ্ত ও ধন্য। মনে হলো আমার
ত্রাণ বিতরণ করতে আসা সার্থক হলো। কখনো হেঁটে, কখনো গাড়িতে যতদূর সম্ভব এলাকার
বিপর্যস্ত অবস্থা ঘুরে ঘুরে দেখলাম এবং অসহায় মানুষের মধ্যে খাবার ও কাপড় বিতরণ
করলাম। তারপর ফিরে এলাম বাসায়।