পহেলা বৈশাখ

জন্মদিন উদযাপন সম্পর্কে দিনলিপি

জন্মদিন উদযাপন সম্পর্কে দিনলিপি লেখ।

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮

আজ ছিল পৃথিবীর আলো দেখার প্রথম দিন, আমার জন্মদিন। আজ থেকে দেড় যুগ আগে আমি এ দিনে এই ভোরের সূর্যালোক দেখেছিলাম। জন্মদিন পালনে আমার আগ্রহ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কমে এসেছে; কিন্তু মায়ের আগ্রহে আগের মতোই। তার কাছে আমি এখনও সেই ছোট্ট অংকুর। জন্মদিন উপলক্ষে কেনাকাটা, আত্মীয়স্বজনকে নিয়ন্ত্রণ, আমার সহপাঠী, খেলার সাথী, বন্ধুদের, তাদের বাবা মাদের ফোন করে নিমন্ত্রন, বাবাকে নানা কাজে ব্যস্ত করে তোলা তাঁর কাছে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ঈদ উৎসব কেউ না এলেও মায়ের কোনো অভিযোগ নেই। কিন্তু আমার জন্মদিনে সবাইকে আসতেই হবে। যথারীতি ১২টা ১মিনিটে কেক কাটা, খাবার খাওয়া, গান শোনা, গল্প করা ইত্যাদি চলে। এক কথায় আমার জন্মদিনকে ঘিরে পারিবারিক মিলন উৎসব হয় প্রতি বছর এই দিনে। আমিও মা বাবার মুখ দেখে মুগ্ধ হই। সবাই যখন ‘হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ, অংকুর’ কোরাস করে তখন আমি কেক কাটি। প্রথমে মাকে, তারপর বাবাকে এবং পরে একে একে সবাইকে কেক তুলে দিই। আজকের জন্মদিনের উৎসবে ব্যাতিক্রম ছিল আমার কলেজে অধ্যক্ষ মহোদয়ের উপস্থিতি। তিনি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন একজন বাউল সাধককে। তাঁর কন্ঠে লালন সাঁইয়ের মরমি গান আমাদের অভিভূত করে। আমরা সবাই করতালি দিয়ে তাঁকে অভিনন্দিত করলাম।

অংকুর, ঢাকা।

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post