কুটির শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী পত্র

তোমাদের এলাকায় কুটির শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশের উপযোগী একটি পত্র লেখ।


তারিখ : ১৫-০৫-২০২২

মাননীয় সম্পাদক
দৈনিক জনকণ্ঠ,
২৪/এ, নিউ ইস্কাটন রোড, ঢাকা।

বিষয় : চিঠিপত্র কলামে প্রকাশের জন্য আবেদন।

জনাব,
আপনার বহুল প্রচারিত সংবাদপত্র ‘দৈনিক জনকণ্ঠের’ চিঠিপত্র কলামে নিম্নলিখিত পত্রটি প্রকাশ করলে আমরা কৃতার্থ হয়।

নিবেদক
আপনার বিশ্বস্ত
মো:কাউছার হামিদ
নাগরপুর, টাঙ্গাইল

কুটির শিল্প স্থাপন

টাঙ্গাইল জেলার সমিলাবাদ একটি ঐতিহ্যবাহী থানা। এই থানাটি যমুনার অববাহিকায় অবস্থিত। লোকসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। বর্তমানে এখানে বৃহৎ শিল্প গড়ে উঠছে। কিন্তু বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুটির শিল্প আজ লোপ পেতে বসেছে। এককালে এ অঞ্চলে মাটির পাত্র তৈরি, তাঁত ও কাঠের কাজ ইত্যাদি কুটির শিল্পের প্রচলন ও প্রসার ছিল। আজও সেসব কুটির শিল্পের কারিগরদের উত্তরসূরীরা বেঁচে আছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা তাদের পিতৃপুরুষের পেশাকে ত্যাগ করে অন্য পথে জীবিকার্জনের পথ খুঁজছে। এসব কারিগররা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশাকে আবার সচল করে তুলতে পারবে। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান হারে জনসংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা অনেক। বৃহৎ শিল্পের যুগে কুটির শিল্প নগণ্য হতে পারে। কিন্তু এই কুটির শিল্পের পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। বিশেষ করে বেকারদের কর্মসংস্থান ও জীবিকা নির্বাহের উপায় হিসেবে কুটির শিল্প এক ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা মনে করি, সদাশয় বর্তমান সরকার সলিমাবাদ থানা অঞ্চলে কুটির শিল্পের প্রসারে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে বেকার যুবক ও মহিলাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে ঐ অঞ্চলের কল্যাণ সাধনে এগিয়ে আসবেন।

মো:করিম
সলিমাবাদ, টাঙ্গাইল।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post