কলেজের বার্ষিক বনভোজনের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তোমার বন্ধুকে একখানি পত্র লেখ।
মগবাজার, ঢাকা
১১ অক্টোবর, ২০২১
প্রিয় হামিদ,
অনেক প্রীতি ও শুভেচ্ছা। তোমার চিঠি পেয়েছি। তোমার কলেজ জীবনের আনন্দ মুখরিত
দিনগুলো বেশ ভালই কাটছে বলে জানিয়েছ। সেই সাথে আমাদের বার্ষিক বনভোজনের
অভিজ্ঞতার কথা জানতে চেয়েছ।
ছাত্রজীবনে তো পড়ার চাপ থাকেই। সেই চাপে মাঝে-মধ্যে হাঁফিয়ে উঠি। সেরকম
অবস্থায় মাঝে-মধ্যে একটি মানসিক অবকাশের সুযোগ পেলে সবকিছু খুবই আনন্দ মুখরিত
হয়ে ওঠে। ঠিক সেই সুযোগেই কলেজে এসেগেল বার্ষিক বনভোজন। স্থান নির্বাচন হল ঢাকা
থেকে চল্লিশ কিলোমিটার দূরে গাজীপুর। সেখানে বনভোজনের জন্য বিস্তৃত চমৎকার
কতকগুলো বিশ্রামাগার রয়েছে। আমরা ৮০ জনের একটি দল দুটি বাসে করে সেখানে পৌঁছে
যাই। আমাদের পাঁচজন শিক্ষকও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। গাজীপুর জেলার গজারি বনের মধ্যে
আমরা সবাই ছড়িয়ে পড়ি।
খাওয়া-দাওয়ার সমস্ত ব্যবস্থা আমরা সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলাম। কয়েকজন
বাবুর্চিও সাথে ছিল। খাওয়া দাওয়ার সমস্ত দায়-দায়িত্ব ছিল তাদের উপর। তারপর
চারিদিকে ঘোরাফেরা, খেলাধুলা, গাছে চড়া, কৃত্রিম হ্রদে নৌকা চড়া, গান-বাজনা আরও
কত কি। তারপর খাওয়া-দাওয়া। সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি— সবকিছু
দারুণ উপভোগ্য হয়ে উঠেছিল। অবশেষে সন্ধ্যার আগে ঘরে ফেরা।
ইতি
আব্দুর রশিদ
good
ReplyDelete