তোমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টির দূরাবস্থার প্রতি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি
আকর্ষণের জন্য সংবাদপত্রের একটি পত্র লেখ।
তারিখ : ৭ মার্চ, ২০২২
মাননীয় সম্পাদক,
দৈনিক আজকাল,
২৫৬, ইন্দিরা রোড, ঢাকা।
মহোদয়,
আপনার বহুল প্রচারিত ও বিখ্যাত সংবাপত্র ‘দৈনিক আজকাল’-এর চিঠিপত্র বিভাগে
আমাদের নিম্নলিখিত অভিযোগটি প্রকাশ করলে বাধিত হবো।
বিনীত,
আজিমপুর গ্রামবাসীদের পক্ষে
জিন্নাত আলী খান।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কার চাই
মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিংগাইর উপজেলার আজিমপুর একটি জনবহুল গ্রাম। গ্রামের
লোকসংখ্যা প্রায় ছয় হাজার। গ্রামটি বহুদিন যাবৎ অবহেলিত ছিল। বাংলাদেশ
স্বাধীন হবার পর এখানে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্কুলে
অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ’শ। কিন্তু স্কুলটির অবস্থা বড়ই
শোচনীয়। গ্রামবাসীদের একক প্রচেষ্টায় স্কুলের চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ,
ব্ল্যাকবোর্ড ইত্যাদি তৈরি করে স্কুলটিকে মোটামুটি সজ্জিত করে এতদিন চালিয়ে
আসা হচ্ছিল। কিন্তু বিগত ভয়াবহ বন্যায় ও ঝড়ে স্কুলটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে
গেছে। গ্রামবাসী চাদা তুলে স্কুল ঘরটি কোনো প্রকারে দাঁড় করালেও চারপাশে কোনো
বেড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া চেয়ার, টেবিল, বেঞ্চ ইত্যাদিরও যথেষ্ট অভাব
দেখা দিয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা দারূণ অসুবিধার মধ্যে পড়াশোনা করছে।
এমতাবস্থায় বৃষ্টি বাদলের দিনে স্কুলটি সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। তাই অনতিবিলম্বে স্কুল ঘরটি মেরামত না করলে কাল বৈশাখী ঝড়ে
এটি টিকানো মুস্কিল হবে এবং এ অবস্থা চলতে থাকলে ছাত্র-ছাত্রীদেরকেও পড়াশোনা
ছেড়ে দিতে বাধ্য হতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা
হয়েছে, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
অতএব, উক্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভালোভাবে মেরামত করে উপযুক্ত আসবাবপত্রের
যোগানসহ পড়াশোনার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি
আকর্ষণ করছি। আশা করি, সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের বিদ্যালয়টি জরুরি ভিত্তিতে
মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বিনীত নিবেদক,
জিন্নাত আলী খান
আজিমপুর গ্রামবাসীর পক্ষে।