পহেলা বৈশাখ

সুন্দরবন ভ্রমণের বর্ণনা দিয়ে দিনলিপি

সুন্দরবন ভ্রমণের বর্ণনা দিয়ে দিনলিপি লেখ।

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮
সুন্দরবন ভ্রমণ।

সালমান রুশদি ১৯৮১ সালে প্রকাশিত তাঁর ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ উপন্যাসে সুন্দরবনের সৌন্দর্য রহস্য সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন ‘জাদুময়, অপরিমেয়, অননুমেয়।’ পৃথিবীর ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের মধ্যে অনন্য সুন্দর সুন্দরবন ভ্রমণ করতে গিয়ে আমারও সেই অনুভূতি হয়েছে। পরিবারের সবার সঙ্গে বন বিভাগের লঞ্চে করে হিরণ পয়েন্ট এলাকায় গেলাম। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঘ-হরিণের চারণভূমিতে ধীরে ধীরে নতুন ডালপালা পাতাসমৃদ্ধ বন গড়ে উঠেছে দেখে ভালো লাগল। নানা রঙের অনেক পাখি চোখে পড়ল, কিন্তু বানর বা হরিণ দেখা গেল না। একটা খালের ভেতর বেশ কিছু দূর ঢুকল লঞ্চটি। কাঁকড়া, বেজি চোখে পড়ল। বানরের শব্দ শুনে উপরে গাছের দিকে তাকাতেই কয়েকটা বানর দেখলাম। কেউ ফল খাচ্ছে, কেউ লাফাচ্ছে বা ডাল ঝঁকাচ্ছে। জেলে বা বাওয়ালি কাউকে দেখলাম না। কাদার উপর বাঘের পায়ের ছাপ দেখালেন একজন খালাসি। লঞ্চ দ্রুত ফিরে এলো বন বিভাগের বাংলোয়। নদীর তাজা মাছ রান্না হয়েছে। মজা করে খাওয়া দাওয়া সেরে রওযানা হলাম ঢাকার উদ্দেশ্যে।

2 Comments

Post a Comment
Previous Post Next Post