বটগাছ ও পাখির মধ্যে একটি সংলাপ তৈরি করো।
পাখি : চলো, আমরা এ অঞ্চল ছেড়ে অন্য কোথাও যাই।
বটগাছ : এ কী করে সম্ভব বন্ধু? তুমি তো জানো আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা
এবং মৃত্যু এখানেই। শুধু তোমরা ছিলে আমার সময়ের সঙ্গী ।
পাখি : কিন্তু আমিও তো তোমার বুকেই জন্মেছি। আমার শৈশব, কৈশোর সবই
তো তোমার সাথে। এখন তুমিই বলো তোমাকে ছাড়া আমি কেমন করে থাকব?
বটগাছ : আমি এই আকাশ, মাটি, নদী, গাছ, বাতাস সবকিছুর সাথে বাঁচতে
চেয়েছিলাম। অথচ বড় অসময়ে আমাকে মরতে হচ্ছে! আমি চাইলেই এখান থেকে অন্য কোথাও
গিয়ে বাঁচতে পারি না।
পাখি : আজকে যারা তোমাকে বিক্রি করেছে, যারা তোমাকে কাটবে তারা
একদিন তোমার কথা মনে করবে!
বটগাছ : হয়তো করবে, হয়তো করবে না। আমি তাদের অভিশাপ দেব না। তবে
আমার অনুপস্থিতি তারা একদিন বুঝবে। এভাবে সব গাছ কাটতে কাটতে পৃথিবী মরুময় হবে।
তারা আর কোনো অক্সিজেন পাবে না তখন বাঁচার জন্য ছটফট করবে আর আমার কথা মনে করবে।
পাখি : যদি তোমরা না বাঁচ তবে আমরাও একসময় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাব।
আমাদের প্রাণ যাবে তবু আমরা বলতে পারব না কিছু করতে পারব না। শুধু এটুকু বলব,
তারা একদিন টের পাবে আমাদের ধ্বংস করার ফল।
বটগাছ : এসব এখন থাক বন্ধু। আমি তো এখন পারছি না। তোমার যেহেতু
বাঁচার সুযোগ আছে তুমি অন্য কারো বুকে ঘর বেঁধে যত দিন পার বেঁচে থেকো। কষ্ট পেও
না। সবাই একদিন যাব। শুধু কোনোদিন ভুলে যেওনা আমায় ।
পাখি : আজ তবে আসি, যত দিন পারি পালিয়ে বেঁচে থাকব।