তোমার দেখা একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে প্রতিবেদন রচনা করো।
====
অধ্যক্ষ
আবুজর গিফারি কলেজ
মালীবাগ, ঢাকা।
জনাব,
আপনার স্মারক নং.....তারিখ..... মোতাবেক আপবার কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ সম্পর্কে সরেজমিনে পর্যবেক্ষন করে নিম্নোক্ত প্রতিবেদন আপনার অবগতির জন্য পেশ করছি।
ঢাকা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষার পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে আবুজর গিফারি কলেজ কয়েক বছর ধরেই সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এটি ঢাকার মালিবাগ এলাকায় অবস্থিত। এবারও এটি উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৮ এর পরীক্ষা কেন্দ্র। আমি বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার দিন কলেজের গেট দিয়ে ঢোকার সময় দেলহেছি, কর্তব্যরত পুলিশের উপস্থিতিতে কলেজের সিকিউরিটি গার্ড তিনজিন পরীক্ষার্থীকে সার্চ করে ভেতরে ঢোকার অনুমতি দিচ্ছেন। মোবাইলসহ কোনো কাগজপত্র এমনকি মানিব্যাগও তারা ভেতরে নিতে দিচ্ছে না। অবশ্য মানিব্যাগের টাকা পরীক্ষার্থীরা নিয়ে যেতে পারছে।
পরীক্ষা শুরুর ১৫মিনিট আগেই পরিদর্শকরা হলে গিয়ে গিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন। ঠিক দশটায় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো কিছু জানার থাকলে পরিদর্শকরা সাহায্য করেছেন। কিন্তু কোনো পরীক্ষার্থীক কোনো ধরনের অসুদপায় অবলম্বনের সুযোগ দেয় নি। ফলে ছাত্রছাত্রীরা নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিয়েছে। দু-একটা হলে প্রথম দিন প্রশ্ন নিয়ে গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছিল, তবে প্রশ্নপত্র পুরোটা দেখতে বলা হলে গুঞ্জন থেমে যায়।
পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন অসুস্থ ছিল। তাদের জন্য বরাদ্দ কক্ষটা ছোট হওয়ায় তারা মৃদু ক্ষোভ প্রকাশ করে। তাছাড়া কক্ষের সঙ্গে কোনো টয়লেট ছিল না। তাদের কক্ষের জন্য কোনো পিয়নও ছিল না। ফলে কিছুটা অসুবিধা হয়েছিল। পিয়ন স্বল্পতার জন্য দু-একটি কক্ষে কিছুটা অসন্তোষ দেখা গেছে। হিসাববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিত পরীক্ষার দিন পরিদর্শকেত কড়াকড়ির নামে বাড়াবাড়ির কথা জানা গেছে। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মন্তব্য 'এটা শোভন ছিল না'। তাছাড়া প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার সময় বিশেষ করে পদার্থ ও রসায়নের দিন অর্থ আদায় ও পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে অসহযোগিতার কথা শোনা গেছে, যা মোটেই কাম্য নয়।
এসব ছোটখাটো ত্রুটি ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রের সার্বিক পরিবেশ ছিল খুবই সন্তোষজনক।
প্রতিবেদক
লিমন আখতার
very nice.
ReplyDelete