তোমার কলেজের অধ্যক্ষের বরাবরে 'বই পড়ার অভ্যাস গঠন' বিষয়ে আলোচনাচক্র
সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন রচনা কর।
১২ জুন, ২০১৮
অধ্যক্ষ
জদুনাথ ডিগ্রি কলেজ
নাগরপুর, টাঙ্গাইল।
বিষয় : বই পড়ার অভ্যাস সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
জনাব,
আপনার আদেশক্রমে সম্প্রতি কলেজে অনুষ্ঠিত ‘বই পড়ার অভ্যাস গঠন’ বিষয়ে
আলোচনাচক্র সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন আপনার সমীপে পেশ করা হলো।
সুধী ব্যাক্তিরা বলেন, “Reading make a man complete.” অর্থাৎ, কেবল অধ্যায়নই
মানুষের জীবনে পরিপূর্ণতা দান করতে সক্ষম। এ কথা বলা বাহুল্য, বাস্তন জীবনে
প্রতিটি মানুষই অপূর্ণতার বেদনায় আক্রান্ত। তাই বাস্তবে অপূর্ণ মানুষ বইয়ের
মাঝে পূর্ণতার স্বাদ পেতে চায়। শুধু তাই নয়, এ বিশাল ব্রহ্মান্ডে মানুষের
ব্যাপক অভিজ্ঞতা লাভের একান্ত প্রয়োজন। তাই বই পড়ার অভ্যাস করা মানুষের
অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক এ অভ্যাসটি এখনও পর্যন্ত গড়ে তুলতে পারেনি।
আমাদের ছাত্রছাত্রীরা পাঠ্যসূচির বাইরে কোনো বই পড়তে চায় না। সিলেবাসভুক্ত
শিক্ষাকেই তারা প্রয়োজনীয় শিক্ষা বলে মনে করে। কিন্তু পাঠ্যসূচির বাইরে যে
বিশাল জ্ঞানের জগৎ পড়ে রয়েছে তার খোঁজ আমরা কয়জনই বা রাখি? দুঃখের বিষয়, আমাদের
জনসংখ্যার তুলনায় পাঠাগারের সংখ্যা নিতান্তই কম। তার একমাত্র কারণ আমরা বই পড়ি
না। দেহের চিকিৎসার জন্য যেমন হাসপাতাল দরকার, তেমনি মনের চিকিৎসার জন্য দরকার
লাইব্রেরির। চারিত্রিক সমুন্নতি এবং আত্মিক জাগরণের জন্য আমাদের বই পড়া আবশ্যক।
তাই শিক্ষাকে পূর্ণাঙ্গ করতে হলে আমাদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। বই পড়ে
আমরা কেবল নানা বিষয়ে জ্ঞানই লাভ করি না, পাই অনন্ত আনন্দধারা। মনে রাখতে হবে,
বইয়ের মধ্যে লুকিয়ে আছে জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার। আমরা সেখান থেকেই পাই সম্নুখে
এগিয়ে চলার চিরন্তন প্রেরণা।
প্রতিবেদক
কে এ এন মুর্শেদ।