ফার্মাসিস্ট পরীক্ষার প্রস্তুতি
C-Grade
পর্ব - ১
১. অ্যামেরিকান ফার্মাসিস্ট এসোসিয়েশন এর সদস্যপদ।
২. ১৯৯৪ সালের ২৭শে অক্টোবর ফার্মাসিস্টদের জন্য কোড অব ইথিকস গ্রহণ করা হয়।
৩. ফার্মাসিস্টগণ হচ্ছেন স্বাস্থ্য পেশাজীবী যারা ব্যাক্তি বা রোগীকে ওষুধ প্রয়োগের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম ব্যবহার করতে সাহায্য করেন।
৪. প্রাচীনকালে মানুষ রোগমুক্তির জন্য যে ওষুধ ব্যবহার করতো তার অধিকাংশই ছিল ভেষজ।
৫. এবারস প্যাপিরাস এক ধরণের কাগজের স্কল।
৬. এবারস প্যাপিরাস খ্রিষ্টের জন্মের ১৬০০বছর আগে লিখিত স্কল।
৭. এবারস প্যাপিরাস ৬০ফুট লম্বা এবং ১ফুট চওড়া।
৮. এবারস প্যাপিরাস সহজে গুটিয়ে রাখা যায়।
৯. এবারস প্যাপিরাস এ আছে ৭০০টি ওষুধের বর্ণনা এবং ৮০০টিরও বেশি ফর্মূলা।
১০. ইমহোটেপ খ্রিষ্টপূর্ব ২৭২৫ সালে মিশরে জন্মগ্রহণ করেন।
১১. আজ থেকে ৪৭৪৪ বছর আগে ইমহোটেপ জন্মগ্রহণ করেন।
১২. ইমহোটেপ মিশরের সম্রাট ছিলেন।
১৩. মৃতদেহ সংরক্ষণ এর জন্য মমি তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেন ইমহোটেপ।
১৪. ইমহোটেপ ছিলেন একাধারে প্রথম স্থপতি, প্রকৌশলী এবং চিকিৎসক।
১৫. এবারস প্যাপিরাস অনুযায়ী ইমহোটেপ অনেক গাছগাছড়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
১৬. ইমহোটেপ এসফাটিডা, খেজুর, রসুন, ক্যাষ্টরওয়েল প্রভৃতি গাছেগাছড়া ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
১৭. ইমহোটেপ যুদ্ধে আহত সৈন্যদের হাড় জোড়া লাগানোর জন্য বিশেষ ব্যান্ডেজ ও লতাগুল্ম ব্যবহার করতেন।
১৮. চীনারা খ্রিষ্টপূর্বের প্রায় ৫০০০ বছর আগে থেকে ভেষজ ওষুধ ব্যবহার করতো।
১৯. খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ সালে চীনের সম্রাট শেননাং রচনা করেন পেন টি সাও নামের এক ভেষজ গ্রন্থ।
২০. পেন টি সাও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে পুরনো চৈনিক ওষুধ বিষয়ক বই।
২১. শেন নাং সম্রাট হলেও সাধারণ মানুষের মতো জীবন-যাপন করতেন।
২২. চীনের সম্রাট শেন নাং নিজের ওষুধ নিজের শরীরে প্রয়োগ করতেন।
২৩. শেন নাং এর গাছপালার প্রতি বিশেষ আগ্রহ ছিল।
২৪. শেন নাং এর সময়কালে চীনের দূর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল শিকারের অভাবে।
২৫. শেন নাংকে চীনের কৃষির জনক বলা হয়।
২৬. শেন নাং প্রথম চা আবিষ্কার করেন।
২৭. শেন নাং চা প্রস্তূত প্রনালী এবং তার ওষুধি গুণ সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করেন।
২৮.শেন নাং চিকিৎসা কাজে ব্যাবহারের জন্য উদ্ভিদের শ্রেনী বিন্যাস ও মানদন্ড তৈরি করেন।
২৯. শেন নাং ৩৬৫টি উদ্ভিদ, প্রানী এবং খনিজ ওষুধের তালিকা তৈরি করেন।
৩০. শেন নাং এর ঔষধগুলো যেমন রুবাব, পডোফাইলাম, জিনসেং, ইফিড্রা প্রভৃতি আজকের দিনেও ব্যবহার হয়।
৩১. চৈনিক ফার্মাকোপিয়ার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় শেন নাং এর কাজকে।
৩২. ভেষজ লতাপাতাকে ভারতীয় সভ্যতার চিকিৎসকেরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তাদের ওষধি গুণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করেন।
৩৩. খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে চরক তাঁর লিখিত বইতে ৫০টি শ্রেনী তৈরি করেন যার প্রতিটিতে ছিল ১০টি করে ওষুধ।
৩৪. চরকের মতে ৫০ ধরনের ওষুধ ছিল একজন চিকিৎসকের মূল হাতিয়ার।
৩৫. চরক ছিলেন কাশীর মহারাজার রাজবৈদ্য।
৩৬. চরক তাঁর ওষুধগুলোকে আসব, অবিষ্ট, বাটিকা, চূর্ন, তৈল ইত্যাদি উপস্থাপনায় বা ডোজেস ফর্মে তৈরি করতেন।
৩৭. চরকের চিন্তাধারা ও চিকিৎসা পদ্ধতির হাত ধরেই আজকের আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠা।
৩৮. চরকের চরক সংহিতা বইটি আয়ূর্বেদ শাস্ত্রের প্রথম বই।
৩৯. চরক শরীরবিদ্যা, রোগতত্ত্ব এবং ভ্রূণবিদ্যার সুপন্ডিত ছিলেন।
৪০. চরক ওষুধের উৎসগুলোকে উদ্ভিজ, প্রানিজ ও খনিজ এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করেন।
৪১. চরকের বই থেকে আজ থেকে ২৮০০ বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশে কি ধরনের অসুখ হতো , সেগুলোর চিকিৎসায় কী ওষুধ ব্যবহার হতো, কীভাবে সেগুলো তৈরি হতো , কোন মাত্রায় ব্যবহার হতো, এমনকি রোগীর পথ্য কি হবে এসব বিষয়ে জানতে পারি।
৪২. ইউরোপের Scientisra চরককে ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক বলে অভিহিত করেন।
৪৩. খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালে শুশ্রুত তাঁর 'শুশ্রুতসংহিতা' বইতে ৭৬০ ধরনের ওষুধকে তাদের সাধারণ গুন অনুযায়ী ৭টি গোষ্ঠীতে ভাগ করেন।
৪৪. শুশ্রুত প্রথম অস্ত্রোপাচার প্রবর্তন করেন।
৪৫. শুশ্রত ভারতীয় সভ্যতায় শল্যবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
৪৬. শুশ্রুত অস্ত্রোপাচারে ব্যবহৃত ১২০টি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির নকশা লিপিবদ্ধ করেন তা আজো অনুসরণ করা হয়।
৪৭. শুশ্রুত ছিলেন বেনারসের অধিবাসী।
৪৮. গঙ্গা নদীর তীরে শুশ্রুত এর হাসপাতাল ছিল।
৪৯. চরক এবং শুশ্রুত যে কাজ করে গেছেন সেগুলোই আজকের আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রের ভিত।
৫০. ভারতীয় জনগণের একটি বড় অংশ এখনো আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রমতে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
৫১. হিপোক্রেটিস কে 'ফাদার অব মেডিসিন' বলা হয়।
৫২. হিপোক্রেটিস ৪২৫ সালে গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন।
৫৩. হিপোক্রেটিস এর লিখিত বইয়ের নাম ম্যাটেরিয়া মেডিকা।
৫৪. হিপোক্রেটিস এর ম্যাটেরিয়া মেডিয়া নামক বইতে অসংখ্য গাছগাছড়াজাত ঔষধ, সেগুলো তৈরির প্রক্রিয়া, সেবনবিধি ও মাত্রা ইত্যাদি রয়েছে।
৫৫. হিপোক্রেটিস চিকিৎসকদের নৈতিকতার ওপর খুব জোর দিতেন
৫৬. নবীন চিকিৎসকদের পেশায় প্রবেশকালে নৈতিকতার শপথ নেয়ার জন্য হিপোক্রেটিস 'হিপোক্রাটিক ওথ' রচনা করেন।
৫৭. ডিওসকোরাইডিস ৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন তুরষ্কে এবং পরবর্তীতে তিনি রোমে চলে যান, কালক্রমে সেখানে বিখ্যাত সম্রাট নিরোর প্রধান চিকিৎসক নিযুক্ত হন।
৫৮. ডিওসকোরাইডিস সম্রাট ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।
৫৯. ডিওসকোরাইডিসের বইয়ের নাম ‘দ্য মেটেরিয়া মেডিকা’।
৬০. ডিওসকোরাইডিসের গ্রন্থ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
৬১. ডিওসকোরাইডিস এর মৃত্যুর দেড় হাজার বছর পরেও এই বইটি মেডিকেল ছাত্রদের পাঠ্য ছিল।
৬২. গ্যালেন ১৩০সালে রোমে জন্মগ্রহণ করেন।
৬৩. গ্যালেন ছিলেন প্রথম ফার্মাসিস্ট, কারণ তিনি চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ সামগ্রী প্রস্তুত ও বিক্রি করতেন।
৬৪. গ্যালেন ইমালশান আবিষ্কার করেন এবং পরবর্তীতে এখান থেকে সর্বপ্রথম কোল্ডক্রীম তৈরি করেন।
৬৫. গ্যালেন বানর ও শুকরের দেহ ব্যবচ্ছেদ করেন এবং ধারণা করেন যে এদের সাথে মানবদেহের অনেক মিল রয়েছে।
৬৬. গ্যালেন স্নায়ুতন্ত্রের উপর বহু পরীক্ষা করে তত্ত্ব প্রদান করেন যে, "মস্তিষ্ক সব মাংসপেশীর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে"।
৬৭. আল রাজি ৮৬৫সালে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন।
৬৮. আল রাজি চিকিৎসার মূল ভিত্তি হিসেবে রসায়নকে গ্রহণ করেন।
৬৯. আল রাজির সময় রসায়নকে বলা হতো আল-কেমী।
৭০. আল রাজিই প্রথম চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাছগাছড়ার বদলে মূল উপাদান বা পিওর কেমিক্যাল ব্যবহার শুরু করেন।
৭১. পেশাগতভাবে আল রাজি ছিলেন ইরাকে বাগদাদে অবস্থিত বিখ্যাত মুক্তাদারি হাসপাতালের প্রধান।
৭২. আল রাজিই প্রথম গুটিবসন্ত ও হামের চিকিৎসা শুরু করেন।
৭৩. ফুলের পরাগরেণু থেকেও যে এলার্জি হতে পারে আল রাজিই প্রথম প্রমাণ করেন।
৭৪. আল রাজিই প্রথম অনুধাবন করেন যে, শরীরে রোগ বিকাশের সাধারণ প্রথম ধাপ হলো জ্বর।
৭৫. কিতাব আল মনসুরি, আল হাউয়ি, মানলা ইয়াহদুরু আল-তাবীব আল রাজীর বিখ্যাত গ্রন্থ।
৭৬. ইবনে সিনা ৯৮০ সালে পারস্যে জন্ম নেয়।
৭৭. ইবনে সিনাই প্রথম ওষুধকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় করার নিয়মের প্রবক্তা।
৭৮. ইবনে সিনাকে ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রধান Scientist হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
৭৯. ইবনে সিনার বিখ্যাত গ্রন্থ 'কানুন' সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
৮০. ইবনে সিনা অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন ফার্মাকোলজিতে অবদানের জন্য।
৮১. ইবনে সিনাই প্রথম সংক্রামক ও যৌন রোগের ধারণা দেন।
৮২. স্বাস্থ্যবিধির আওতায় রোগ সংক্রমণকালে রোগীকে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থারও প্রবর্তক ইবনে সিনা।
৮৩. রাজ-রোষের শিকার হয়ে ইবনে সিনাকে অকালে প্রাণ দিতে হয়।
৮৪. চিকিৎসার ধারা অনুযায়ী ওষুধের চারটি শ্রেণী। এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিয়, ইউনানী।
৮৫. অষ্টাদশ শতকে জার্মান চিকিৎসক ও রসায়নবিদ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির ধারণা দেন।
৮৬. বেলাডোনা, নাক্সভমিকা, থুজা ভেষজ উদ্ভিদ থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়।
৮৭. চরক, শুশ্রুত, ধন্বন্তরী, ভরদ্বাজ ।
৮৮. চরক-সংহিতা ও শুশ্রুত-সংহিতা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের মূল ভিত্তি।
৮৯. আয়ুর্বেদ মতে বিশ্বব্রক্ষান্ড যেমন বিভিন্ন উপাদানের তৈরি, তেমনি মানবদেহেও বিভিন্ন উপাদানের তৈরি।
৯০. উদ্ভিদ, প্রানীজ বা খনিজ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ওষুধ উপযুক্ত পথ্যের সহায়তায় শরীরকে সুস্থ করে।
৯১. আয়ুর্বেদ ধারায় চিকিৎসকরা কবিরাজ বা বৈদ্য নামে পরিচিত।
৯২. গ্রিসের ইউনান প্রদেশে সর্বপ্রথম এই ধারার উৎপত্তি বলে এটি ইউনান নামে পরিচিত।
৯৩. ইউনানী রোগলক্ষণকে পাশ কাটিয়ে রোগের চিকিৎসা করা হয়।
৯৪. ইউনানি চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রধানত রোগটির বা রোগটির নাড়ির গতি, মল-মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
৯৫. আয়ুর্বেদ এর মতো ইউনানী চিকিৎসায় উদ্ভিজ, প্রাণীজ বা খনিজ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
৯৬. ইউনানী চিকিৎসা ব্যবস্থায় ওষুধকে সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও সুগন্ধময় করে তৈরি করা হয়।
৯৭. ইউনানী ধারার চিকিৎসকরা হেকিম বা হাকিম বা তিব্ব নামে পরিচিত।
৯৮. এন্টিবায়েটিক সেফরাডিন, সেফিক্সিম, সেফুরক্সিম, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিন।
৯৯. রোগ নিরাময় এর জন্য যেসব রাসায়নিক যৌগ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয় তাকে ওষুধ বলে, এক কথায় বলা যায় যা গ্রহনের মাধ্যমে আমরা রোগমুক্ত হই তাই ওষুধ।
১০০. ক্লক্সাসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক।
১০১. সালফার ড্রাগস্, সিপ্রোফ্লক্লাসিন এরকম এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা।
১০২. ওষুধ হচ্ছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা মানুষ বা প্রাণীর অসুস্থ অবস্থায় একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রা বা পরিমানে ব্যবহৃত হয়।
১০৩. প্যারাসিটামল ট্যাবলেটে ৫০০ মি.গ্রা. প্যারাসিটামল থাকে।
১০৪. ডাক্তাররা হচ্ছেন একমাত্র স্বীকৃত পেশাজীবী যারা রোগ নির্ণয় ও ওষুধের নাম ও মাত্রা নির্ধারণ করে থাকেন।
১০৫. ঔষধের ব্যবহার নির্ভর করে ডাক্তার রোগী ও ফার্মাসিস্টের উপর।
১০৬. কোন ব্যাক্তির সংক্রমণ হলে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এমপিসিলিন (৫০০মি.গ্রা) ৮ঘন্টা অন্তর অন্তর দিন ৩ বার করে ৭দিন খেতে হবে।
১০৭. ওষুধের অপব্যবহার কারণ সমূহ ৪টি।
১০৮. ঔষুধের সঠিক ব্যবহার ফার্মাসিস্ট এর দায়িত্ব ও কর্তব্য ৬টি।
৩১. চৈনিক ফার্মাকোপিয়ার ভিত্তি হিসেবে ধরা হয় শেন নাং এর কাজকে।
৩২. ভেষজ লতাপাতাকে ভারতীয় সভ্যতার চিকিৎসকেরা অত্যন্ত সতর্কতার সাথে তাদের ওষধি গুণ অনুযায়ী বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভক্ত করেন।
৩৩. খ্রিষ্টপূর্ব ৮০০ সালে চরক তাঁর লিখিত বইতে ৫০টি শ্রেনী তৈরি করেন যার প্রতিটিতে ছিল ১০টি করে ওষুধ।
৩৪. চরকের মতে ৫০ ধরনের ওষুধ ছিল একজন চিকিৎসকের মূল হাতিয়ার।
৩৫. চরক ছিলেন কাশীর মহারাজার রাজবৈদ্য।
৩৬. চরক তাঁর ওষুধগুলোকে আসব, অবিষ্ট, বাটিকা, চূর্ন, তৈল ইত্যাদি উপস্থাপনায় বা ডোজেস ফর্মে তৈরি করতেন।
৩৭. চরকের চিন্তাধারা ও চিকিৎসা পদ্ধতির হাত ধরেই আজকের আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রের প্রতিষ্ঠা।
৩৮. চরকের চরক সংহিতা বইটি আয়ূর্বেদ শাস্ত্রের প্রথম বই।
৩৯. চরক শরীরবিদ্যা, রোগতত্ত্ব এবং ভ্রূণবিদ্যার সুপন্ডিত ছিলেন।
৪০. চরক ওষুধের উৎসগুলোকে উদ্ভিজ, প্রানিজ ও খনিজ এই তিন শ্রেণীতে বিভক্ত করেন।
৪১. চরকের বই থেকে আজ থেকে ২৮০০ বছর আগে ভারতীয় উপমহাদেশে কি ধরনের অসুখ হতো , সেগুলোর চিকিৎসায় কী ওষুধ ব্যবহার হতো, কীভাবে সেগুলো তৈরি হতো , কোন মাত্রায় ব্যবহার হতো, এমনকি রোগীর পথ্য কি হবে এসব বিষয়ে জানতে পারি।
৪২. ইউরোপের Scientisra চরককে ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক বলে অভিহিত করেন।
৪৩. খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০ সালে শুশ্রুত তাঁর 'শুশ্রুতসংহিতা' বইতে ৭৬০ ধরনের ওষুধকে তাদের সাধারণ গুন অনুযায়ী ৭টি গোষ্ঠীতে ভাগ করেন।
৪৪. শুশ্রুত প্রথম অস্ত্রোপাচার প্রবর্তন করেন।
৪৫. শুশ্রত ভারতীয় সভ্যতায় শল্যবিদ্যায় অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।
৪৬. শুশ্রুত অস্ত্রোপাচারে ব্যবহৃত ১২০টি বিভিন্ন যন্ত্রপাতির নকশা লিপিবদ্ধ করেন তা আজো অনুসরণ করা হয়।
৪৭. শুশ্রুত ছিলেন বেনারসের অধিবাসী।
৪৮. গঙ্গা নদীর তীরে শুশ্রুত এর হাসপাতাল ছিল।
৪৯. চরক এবং শুশ্রুত যে কাজ করে গেছেন সেগুলোই আজকের আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রের ভিত।
৫০. ভারতীয় জনগণের একটি বড় অংশ এখনো আয়ুর্বেদীয় শাস্ত্রমতে চিকিৎসা গ্রহণ করে।
৫১. হিপোক্রেটিস কে 'ফাদার অব মেডিসিন' বলা হয়।
৫২. হিপোক্রেটিস ৪২৫ সালে গ্রিসে জন্মগ্রহণ করেন।
৫৩. হিপোক্রেটিস এর লিখিত বইয়ের নাম ম্যাটেরিয়া মেডিকা।
৫৪. হিপোক্রেটিস এর ম্যাটেরিয়া মেডিয়া নামক বইতে অসংখ্য গাছগাছড়াজাত ঔষধ, সেগুলো তৈরির প্রক্রিয়া, সেবনবিধি ও মাত্রা ইত্যাদি রয়েছে।
৫৫. হিপোক্রেটিস চিকিৎসকদের নৈতিকতার ওপর খুব জোর দিতেন
৫৬. নবীন চিকিৎসকদের পেশায় প্রবেশকালে নৈতিকতার শপথ নেয়ার জন্য হিপোক্রেটিস 'হিপোক্রাটিক ওথ' রচনা করেন।
৫৭. ডিওসকোরাইডিস ৩০ সালে জন্মগ্রহণ করেন তুরষ্কে এবং পরবর্তীতে তিনি রোমে চলে যান, কালক্রমে সেখানে বিখ্যাত সম্রাট নিরোর প্রধান চিকিৎসক নিযুক্ত হন।
৫৮. ডিওসকোরাইডিস সম্রাট ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিভিন্ন দেশে গিয়েছেন।
৫৯. ডিওসকোরাইডিসের বইয়ের নাম ‘দ্য মেটেরিয়া মেডিকা’।
৬০. ডিওসকোরাইডিসের গ্রন্থ ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতে অনেকগুলো ভাষায় অনুবাদ করা হয়।
৬১. ডিওসকোরাইডিস এর মৃত্যুর দেড় হাজার বছর পরেও এই বইটি মেডিকেল ছাত্রদের পাঠ্য ছিল।
৬২. গ্যালেন ১৩০সালে রোমে জন্মগ্রহণ করেন।
৬৩. গ্যালেন ছিলেন প্রথম ফার্মাসিস্ট, কারণ তিনি চিকিৎসার পাশাপাশি ওষুধ সামগ্রী প্রস্তুত ও বিক্রি করতেন।
৬৪. গ্যালেন ইমালশান আবিষ্কার করেন এবং পরবর্তীতে এখান থেকে সর্বপ্রথম কোল্ডক্রীম তৈরি করেন।
৬৫. গ্যালেন বানর ও শুকরের দেহ ব্যবচ্ছেদ করেন এবং ধারণা করেন যে এদের সাথে মানবদেহের অনেক মিল রয়েছে।
৬৬. গ্যালেন স্নায়ুতন্ত্রের উপর বহু পরীক্ষা করে তত্ত্ব প্রদান করেন যে, "মস্তিষ্ক সব মাংসপেশীর কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে"।
৬৭. আল রাজি ৮৬৫সালে ইরানে জন্মগ্রহণ করেন।
৬৮. আল রাজি চিকিৎসার মূল ভিত্তি হিসেবে রসায়নকে গ্রহণ করেন।
৬৯. আল রাজির সময় রসায়নকে বলা হতো আল-কেমী।
৭০. আল রাজিই প্রথম চিকিৎসা ক্ষেত্রে গাছগাছড়ার বদলে মূল উপাদান বা পিওর কেমিক্যাল ব্যবহার শুরু করেন।
৭১. পেশাগতভাবে আল রাজি ছিলেন ইরাকে বাগদাদে অবস্থিত বিখ্যাত মুক্তাদারি হাসপাতালের প্রধান।
৭২. আল রাজিই প্রথম গুটিবসন্ত ও হামের চিকিৎসা শুরু করেন।
৭৩. ফুলের পরাগরেণু থেকেও যে এলার্জি হতে পারে আল রাজিই প্রথম প্রমাণ করেন।
৭৪. আল রাজিই প্রথম অনুধাবন করেন যে, শরীরে রোগ বিকাশের সাধারণ প্রথম ধাপ হলো জ্বর।
৭৫. কিতাব আল মনসুরি, আল হাউয়ি, মানলা ইয়াহদুরু আল-তাবীব আল রাজীর বিখ্যাত গ্রন্থ।
৭৬. ইবনে সিনা ৯৮০ সালে পারস্যে জন্ম নেয়।
৭৭. ইবনে সিনাই প্রথম ওষুধকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় করার নিয়মের প্রবক্তা।
৭৮. ইবনে সিনাকে ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্রের প্রধান Scientist হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
৭৯. ইবনে সিনার বিখ্যাত গ্রন্থ 'কানুন' সপ্তদশ শতাব্দী পর্যন্ত ইউরোপের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পাঠ্যবই হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
৮০. ইবনে সিনা অবিস্মরণীয় হয়ে আছেন ফার্মাকোলজিতে অবদানের জন্য।
৮১. ইবনে সিনাই প্রথম সংক্রামক ও যৌন রোগের ধারণা দেন।
৮২. স্বাস্থ্যবিধির আওতায় রোগ সংক্রমণকালে রোগীকে পৃথকভাবে রাখার ব্যবস্থারও প্রবর্তক ইবনে সিনা।
৮৩. রাজ-রোষের শিকার হয়ে ইবনে সিনাকে অকালে প্রাণ দিতে হয়।
৮৪. চিকিৎসার ধারা অনুযায়ী ওষুধের চারটি শ্রেণী। এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, আয়ুর্বেদিয়, ইউনানী।
৮৫. অষ্টাদশ শতকে জার্মান চিকিৎসক ও রসায়নবিদ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথির ধারণা দেন।
৮৬. বেলাডোনা, নাক্সভমিকা, থুজা ভেষজ উদ্ভিদ থেকে হোমিওপ্যাথি ওষুধ তৈরি করা হয়।
৮৭. চরক, শুশ্রুত, ধন্বন্তরী, ভরদ্বাজ ।
৮৮. চরক-সংহিতা ও শুশ্রুত-সংহিতা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা শাস্ত্রের মূল ভিত্তি।
৮৯. আয়ুর্বেদ মতে বিশ্বব্রক্ষান্ড যেমন বিভিন্ন উপাদানের তৈরি, তেমনি মানবদেহেও বিভিন্ন উপাদানের তৈরি।
৯০. উদ্ভিদ, প্রানীজ বা খনিজ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ওষুধ উপযুক্ত পথ্যের সহায়তায় শরীরকে সুস্থ করে।
৯১. আয়ুর্বেদ ধারায় চিকিৎসকরা কবিরাজ বা বৈদ্য নামে পরিচিত।
৯২. গ্রিসের ইউনান প্রদেশে সর্বপ্রথম এই ধারার উৎপত্তি বলে এটি ইউনান নামে পরিচিত।
৯৩. ইউনানী রোগলক্ষণকে পাশ কাটিয়ে রোগের চিকিৎসা করা হয়।
৯৪. ইউনানি চিকিৎসায় রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রধানত রোগটির বা রোগটির নাড়ির গতি, মল-মূত্র ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
৯৫. আয়ুর্বেদ এর মতো ইউনানী চিকিৎসায় উদ্ভিজ, প্রাণীজ বা খনিজ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।
৯৬. ইউনানী চিকিৎসা ব্যবস্থায় ওষুধকে সুমিষ্ট, সুস্বাদু ও সুগন্ধময় করে তৈরি করা হয়।
৯৭. ইউনানী ধারার চিকিৎসকরা হেকিম বা হাকিম বা তিব্ব নামে পরিচিত।
৯৮. এন্টিবায়েটিক সেফরাডিন, সেফিক্সিম, সেফুরক্সিম, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, লিভোফ্লক্সাসিন।
৯৯. রোগ নিরাময় এর জন্য যেসব রাসায়নিক যৌগ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা হয় তাকে ওষুধ বলে, এক কথায় বলা যায় যা গ্রহনের মাধ্যমে আমরা রোগমুক্ত হই তাই ওষুধ।
১০০. ক্লক্সাসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক।
১০১. সালফার ড্রাগস্, সিপ্রোফ্লক্লাসিন এরকম এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা।
১০২. ওষুধ হচ্ছে বিশেষ ধরনের রাসায়নিক যৌগ যা মানুষ বা প্রাণীর অসুস্থ অবস্থায় একটি সুনির্দিষ্ট মাত্রা বা পরিমানে ব্যবহৃত হয়।
১০৩. প্যারাসিটামল ট্যাবলেটে ৫০০ মি.গ্রা. প্যারাসিটামল থাকে।
১০৪. ডাক্তাররা হচ্ছেন একমাত্র স্বীকৃত পেশাজীবী যারা রোগ নির্ণয় ও ওষুধের নাম ও মাত্রা নির্ধারণ করে থাকেন।
১০৫. ঔষধের ব্যবহার নির্ভর করে ডাক্তার রোগী ও ফার্মাসিস্টের উপর।
১০৬. কোন ব্যাক্তির সংক্রমণ হলে ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী এমপিসিলিন (৫০০মি.গ্রা) ৮ঘন্টা অন্তর অন্তর দিন ৩ বার করে ৭দিন খেতে হবে।
১০৭. ওষুধের অপব্যবহার কারণ সমূহ ৪টি।
১০৮. ঔষুধের সঠিক ব্যবহার ফার্মাসিস্ট এর দায়িত্ব ও কর্তব্য ৬টি।