একজন গ্রামীণ চিকিৎসক
চিকিৎসকেরা মানুষের পরম বন্ধু। তারা সেবা এবং চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সেবা করেন। বাংলাদেশের গ্রামে গ্রামীণ চিকিৎসক একজন খুব প্রয়োজনীয় এবং পরিচিত ব্যক্তি। তিনি কোনো মেডিকেল কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন না। তিনি সাধারণত একজন চিকিৎসকের অধীনে কয়েক বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন। তারপর তিনি তার স্বাধীন ব্যবসায় শুরু করেন। আজকাল অবশ্য স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন কোর্স শেখানো হচ্ছে। একজন গ্রাম্য ডাক্তার কোনো একটি স্বল্পমেয়াদি কোর্স সম্পন্ন করার পর তার গ্রামে নিজ বাড়িতে অথবা গ্রামের বাজারে তার ডিসপেনসারি প্রতিষ্ঠা করেন। তার ডিসপেনসারিতে প্রচুর আসবাবপত্র থাকে না। সামনে একটি টেবিল নিয়ে তিনি একটি সাধারণ চেয়ারে বসেন। ডিসপেনসারিতে একটি বা দুটি আলমারি থাকে। তার প্রচুর ওষুধের মজুদ থাকে না। কেবল কম দামি এবং দরকারি ওষুধপত্র তার ডিসপেনসারিতে থাকে। ওষুধ নির্বাচনের মতো যথেষ্ট জ্ঞানও তার থাকে না। অথচ গ্রামের লোকেরা তাদের চিকিৎসা সেবার জন্য তার ওপরই নির্ভরশীল।