বিষ্ণু দে
বিষ্ণু দে কবে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? — ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে, কলকাতায়।
তিনি মূলত কী ছিলেন? — কবি, প্রাবন্ধিক ও চিত্র সমালোচক।
তিনি কোন সাহিত্য গোষ্ঠীর লেখক ছিলেন? — কল্লোল সাহিত্যগোষ্ঠীর।
তিনি কোন সম্পাদক ছিলেন? — পরিচয় পত্রিকায়। (১৯৩১–১৯৪৭ পর্যন্ত)
তাঁর প্রকাশিত অপর পত্রিকার নাম কী? — 'সাহিত্যপত্র' (১৯৪৮)।
বিষ্ণু দের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সমূহের নাম কী? — 'উর্বশী ও আর্টেমিস' (১৯৩৩), 'চোরাবালি' (১৯৩৭), 'সাতভাই চম্পা' (১৯৪৪), 'তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ' (১৯৫৮), 'স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ' (১৯৬৩), 'সেই অন্ধকার চাই' (১৩৩৭), 'রবিকরোজ্জ্বল নিজদেশ' (১৩৮০)।
'উর্বশী ও আর্টেমিস' কাব্যগ্রন্থের পরিচয় দাও।
— বিষ্ণু দে রচিত এই কাব্যগ্রন্থে দেশি ও বিদেশি মিথের প্রয়োগ আছে। সনাতন রোমান্টিকতার বিরোধী বিষ্ণু দে–র প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'উর্বশী ও আর্টেমিস' প্রকাশিত হয় ১৯৩২ খ্রি.। তিনি ঐতিহ্য সচেতন ব্যক্তি ছিলেন বলে আর্টেমিসের চিত্রকল্পের সঙ্গে উর্বশীর চিত্রকল্পের পাশাপাশি স্থান দিয়েছেন। গ্রন্থটির কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কবিতা হলো : উর্বশী,উর্বশী ও আর্টেমিস, প্রেম, ছেদ, পলায়ন, রাত্রিশেষ ইত্যাদি।
তাঁর কাব্য বৈশিষ্ট্য কী ধরনের? — তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য মিথের সাথে বাস্তবতার সংমিশ্রণ ঘটান। তাছাড়া মার্কসীয় মতবাদকে নিজের মতো গ্রহণ করে প্রয়োগ করেন।
তাঁর রচিত প্রবন্ধসমূহের নাম কী কী? — 'সাহিত্যের ভবিষ্যৎ' (১৯৬৮), 'রবীন্দ্রনাথ ও শিল্পসাহিত্যে আধুনিকতার সমস্যা' (১৯৬৬)।
তাঁর রচিত অনুবাদ সাহিত্যের নাম কী? — 'এলিয়টের কবিতা' (১৯৫০)।
তিনি সাহিত্যো অবদানের জন্য কী কী পুরস্কারে ভূষিত হন? — ১৯৫৫ তে সাহিত্য একাডেমির পুরস্কার ও ১৯৭২ এ জ্ঞানপীঠ পুরস্কার।
তিনি তাঁর রচনায় কী উপস্থাপনার ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন? — মার্কসীয় তত্ত্বকে জীবনাবেগ ও শিল্পসম্মত করে।
তিনি কবে মারা যান? — ১৯৮২ সালের ৩রা ডিসেম্বর।