কোভিড-১৯ এর সময়কার স্বাস্থ্য সচেতনতা
মহামারী বলতে বোঝায় একটি নতুন রোগের বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া। কোভিড-১৯ মহামারীটি ২০২০ সালের প্রথমার্ধ থেকে মানব সভ্যতাকে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন করেছে। এই মহামারীটির কারণে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি মারাত্মক সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। এই পুরো সময়, বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বারবার সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, ময়লা হাত দিয়ে মুখ স্পর্শ না করা, কাশি এবং হাঁচি দেওয়ার সময় কনুই বা টিস্যু পেপার দিয়ে মুখ ঢেকে নেওয়া, জনবহুল স্থানে ফেস মাস্ক পড়া এবং অন্যের থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে অবস্থান করা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে সংক্রমণ ন্যূনতম পর্যায়ে রাখা যায়। প্রায় সব দেশেই এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে আংশিক বা সম্পূর্ণ লকডাউন পালন করেছে। তবে, সম্প্রতি অনেক দেশ স্বাভাবিক কর্মব্যস্ত জীবনে ফিরে যেতে শুরু করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজে ফিরে গেছে, এবং জনসমাগমে নিয়মিত ফেস মাস্ক পরা এই রোগ থেকে নিরাপদ থাকার কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ফেস মাস্ক পরা সম্পূর্ণ সুরক্ষা প্রদানের নিশ্চয়তা দিতে পারে না, তবে এটি নিশ্চিতভাবেই আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ভাইরাসটির বেরিয়ে আসা রোধে সহায়তা করে। সুতরাং, এটি সংক্রমণের হারকে হ্রাস করতে সহায়তা করে। একটি দেশের সরকার, মিডিয়া, এমনকি শিক্ষিত সমাজকেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে যাতে করে আমরা এই মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি।