২০২১ সারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড থেকে নবম-দশম শ্রেণির নতুন ব্যাকরণ বই বের হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুরোনো যে বই চলছিল, তার চেয়ে এখন অনেক জায়গায় পার্থক্য রয়েছে। এসব পার্থক্যের কারণ অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো জানা নেই। আবার নতুন ব্যাকরণের অনেক জায়গায় বুঝতেও সমস্যা হয়। এসব দ্বিধা ও প্রশ্ন নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো।
স্বরধ্বনির সংখ্যা কতটি
বাংলা স্বরবর্ণ ১১টি : অ, আ, ই, ঈ, উ, ঊ, ঋ, এ, ঐ, ও, ঔ। তবে স্বরধ্বনি ৭টি : ই, এ, অ্যা. আ, অ, ও, উ। ঈ-এর উচ্চারণ ই-এর মতো; তাই এটি স্বরধ্বনির তালিকায় নেই। একইভাবে, ঊ-এর উচ্চারণ উ-এর মতো; তাই এটি স্বরধ্বনির তালিকায় নেই। ঋ উচ্চারণগতভাবে একটি ব্যঞ্জনধ্বনি; এটিও স্বরধ্বনির তালিকায় নেই। ঐ এবং ঔ এই দুই বর্ণ আসলে যৌগিক স্বর বা দ্বিস্বর। তাই এ দুইও স্বরধ্বনির তালিকায় নেই। তবে স্বরধ্বনির তারিকায় ‘অ্যা’ যুক্ত হয়েছে। ‘অ্যা’ আমাদের বর্ণমালায় না থাকলেও, এটি স্বরধ্বনি হিসেবে বাংলা ভাষায় উচ্চারিত হয়।
ব্যঞ্জনবর্ণের চেয়ে ব্যঞ্জনধ্বনি কম কেন
বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণ ৩৯টি; কিন্তু ব্যঞ্জনধ্বনি ৩০টি। লক্ষ করুন, ঙ, ং-এর উচ্চারণ একই; ফলে এখানে বর্ণ দুটি হলেও ধ্বনি একটি। তেমনি জ, য-এর উচ্চারণ একই; ফলে এখানে বর্ণ দুটি হলেও ধ্বনি একটি। একইভাবে ণ, ন-এর উচ্চারণ একই; ফলে এখানে ধ্বনি একটি। এভাবে ত, ৎ-এর উচ্চারণ একই। ফলে বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের চেয়ে ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কম।
রূপতত্ত্ব বলতে কী বোঝায়
শব্দ ও শব্দের অংশ নিয়ে যেখানে আলোচনা করা হয়, ব্যাকরণে তাকে বলা হয় রূপতত্ত্ব। শব্দ ও শব্দের অংশকে ভাষাবিজ্ঞানে রূপমূল বলে। যেসব রূপমূল নিজে নিজে অর্থ প্রকাশ করতে পারে, সেগুলোকে বলা হয় মুক্ত রূপমূল। যেমন নীল, নৌ, দোকান। আবার যেসব রূপমূল নিজে নিজে অর্থ প্রকাশ করতে পারে না, সেগুলোকে বলে বদ্ধ রূপমূল। যেমন উপ, টি, রা ইত্যাদি।
কারক কোথায় আলোচনা করা হয়
ক্রিয়াপদের সঙ্গে অন্য পদের সম্পর্ককে কারক বলে। বাংলা কারক আলোচনা করা হয় বাক্যতত্ত্বে। কারণ, বাক্য দেখে কারক নির্ধারণ করা যায়। অন্যদিকে সংস্কৃত কারক শব্দ ও শব্দের সঙ্গে যুক্ত বিভক্তি দেখে বোঝা যায়। ফলে সংস্কৃত ব্যাকরণে কারক আলোচনা হয় শব্দতত্ত্বে।
প্রমিত রীতি
অঞ্চল বিশেষের মানুষের বলার ভঙ্গি ও ভাষা এক রকম নয়। ভাষার একটি সাধারণ রূপকে আদর্শ বা মান রীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যেটিকে প্রমিত রীতি বলে। প্রমিত রীতিতে রেডিও-টেলিভিশনে সংবাদ পড়া হয়, আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়া হয়। আবার লেখার কাজেও একটি মান বা আদর্শ রীতিকে প্রমিত রীতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। দাপ্তরিক কাজে, পাঠ্যপুস্তকে, সংবাদপত্রে প্রমিত রীতিতে লেখা হয়।
অনুবর্ণ
ব্যঞ্জনবর্ণ অনেক সময় সাধাণ আকৃতির বাইরে বিশেষ রূপ লাভ করে, এগুলোকে অনুবর্ণ বলে। যেমন ম-ফলা (¥) , র-ফলা (্র), রেফ (র্), ন-এর সংক্ষিপ্ত রূপ (্ন), স-এর সংক্ষিপ্ত রূপ (্স) ইত্যাদি।
সংবৃত স্বর ও বিবৃত স্বর
যেসব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট কম খোলে, সেগুলেঅকে বলে সংবৃত স্বর। আর যেসব স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ঠোঁট বেশি খোলে, সেগুলোকে বলে বিবৃত স্বর। বাংলা সংবৃত স্বর তিনটি: ই, এ, ও, উ। বাংলা বিবৃত স্বর তিনটি : এ্যা, আ, অ।
উষ্ম ব্যঞ্জন
উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি তিনটি : শ, স, হ। ধ্বনির বিবেচনায় ‘ষ’ বাদ যায়; কারণ, ষ-এর উচ্চারণ শ-এর মতো। আবার, শ ও স-কে শিসধ্বনিও বলা হয়; কারণ এ দুটি ধ্বনি উচ্চারণে অনেকক্ষণ শ্বাস ধরে রাখা যায়।
শব্দ
গঠনগতভাবে শব্দ দুই রকম : মৌলিক শব্দ ও সাধিত শব্দ। সাধিত শব্দ তিন ধরণের : সমাস-সাধিত, উপসর্গ-সাধিত, প্রত্যয়-সাধিত। এই বিবেচনায় শব্দের অংশ উপসর্গ ও প্রত্যয়।
পদ
শব্দ যখন বাক্যে ব্যবহৃদ হয়, তখন তাকে পদ বলে। যেমন ছেলেটি বাজারে গেল-এই বাক্যে তিনটি পদ আছে। বিভক্তি, নির্দেশক, বচন এগুলো পদের অংশ। এখানে -টি, -এ ইত্যাদি পদের অংশ।
উপসর্গের প্রকার
আগে বাংলা, সংস্কৃত ও বিদেশি- উপসর্গের এই তিন ধরনের বিভাজন আলোচনা করা হতো। এখন এ ধরনের বিভাজন দেখানো নেই। নতুন ব্যাকরণে উপসর্গ দিয়ে সাধিত শব্দ তৈরি করে দেখানো হয়েছে। যেমন অ উপসর্গ দিয়ে শব্দ গঠন করা হয়েছে : অ+কাজ = অকাজ। আর অর্থের দ্যোতনায় লেখা হয়েছে : ‘অকাজ’ বলতে বোঝানো হচ্ছে অনুচিত কাজ।
কৃৎপ্রত্যয় ও তদ্ধিত প্রত্যয়
ধাতুর সঙ্গে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেগুলোকে বলে কৃৎপ্রত্যয়। আর শব্দের সঙ্গে যেসব প্রত্যয় যুক্ত হয়, সেগুলোকে বলে তদ্ধিত প্রত্যয়। এই আলোচনা আগের মতোই আছে। তবে আগের মতো বাংলা প্রত্যয়, সংস্কৃত প্রত্যয়, বিদেশি প্রত্যয় এ রকম শ্রেণীকরণ নেই।
অব্যয়ীভাব সমাস
অব্যয়ীভাব সমাসের আলোচনা নতুন ব্যাকরণে নেই। সংস্কৃত ব্যাকরণে শব্দের আগে উপসর্গ বসে যেসব নতুন শব্দ তৈরি হয়, সেগুলো আলোচনা করা হয় অব্যয়ীভাব সমাসের মধ্যে। আর বাংলা ভাষায় এ ধরনের শবদএক বলে উপসর্গ-সাধিত শব্দ। ফলে বাংলা ব্যাকরণে, অব্যয়ীভাব সমাসের আলোচনা আলাদা করে থাকার দরকার নেই। পুরোনো ব্যাকরণে উপকূল, প্রতিহিংসা, অনুগমন ইত্যাদি শব্দ যে কারণে অব্যয়ীভাব সমাস ও উপসর্গ দুই জায়গাতেই আছে। নতুন ব্যাকরণে এগুলো আছে শুধু উপসর্গের আলোচনায়।
দ্বিগু সমাস
দ্বিগু সমাসকে বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে কর্মধারয়ের মধ্যে আনা হয়েছে। কারণ, বিশেষ্য ও বিশেষণের সমাসকে কর্মধারয় সমাস বলে। দ্বিগু সমাসের উদাহরণ- চৌ রাস্তার সমাহার, ত্রি ফলের সমাহার ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রথম অংশ বিশেষণ, এবং দ্বিতীয় অংশ বিশেষ্য।
সন্ধি
সন্ধি আলোচনা করা হয় ধ্বনিতত্ত্বে; কারণ, এর কাজ ধ্বনির মিলন ঘটানো। সমাস, উপসর্গ ও প্রত্যয়ের মাধ্যমে শব্দ গঠনের সময় সন্ধি সহযোগিতা করে। যেমন ‘উদ্ধার’ শব্দটি উপসর্গ-সাধিত; কিন্তু এই শব্দ গঠনে (উৎ+হার) সন্ধির সহায়তা আছে। আবার, ‘নাবিক’ শব্দটি প্রত্যয়=সাধিত; তবে এই শব্দ গঠনে (নৌ+ইক) সন্ধির সহায়তা আছে। একইভাবে ‘বিদ্যালয়’ শব্দটি সমাস-সাধিত; এই শব্দ গঠনেও (বিদ্যা+আলয়) সন্ধির সহায়তা আছে। নতুন ব্যাকরণে তাই উপসর্গ, প্রত্যয় ও সমাসের আলোচনার পরে সন্ধির আলোচনা করা হয়েছে।
ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব
যেসব দ্বিত্ব শব্দের সঙ্গে ধ্বনির সম্পর্ক আছে, সেগুলোকে বলা হয় ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব। যেমন ঠুক ঠুক (পেরেক ঠোকার শব্দ), কোঁত কোঁত (গিলে খাওয়ার শব্দ) তবে কিছু ধ্বনি কাল্পনিক; যেমন : টনটন (ফোড়া পাকার শব্দ), টকটকে (লাল)। এগুলোও ধ্বন্যাত্মক দ্বিত্ব।
সংখ্যাবাচক শব্দ
পুরোনো ব্যাকরণে সংখ্যাবাচক শব্দকে চার ভাগে দেখানো হয়েছিল : অঙ্ক বা সংখ্যাবাচক, পরিমাণ বা গণনাবাচক, ক্রম বা পুরণবাচক এবং তারিখবাচক। নতুন ব্যাকরণে দুই ভাগ করে দেখানো হয়েছে : ক্রমবাচক সংখ্যাশব্দের উদাহরণ : ১ (এক), ২ (দুই) ইত্যাদি। আর পূরণবাচক সংখ্যাশব্দের উদাহরণ : প্রথম, দ্বিতীয় ইত্যাদি। পূরণবাচক সংখ্যাশব্দের মধ্যে তারিখবাচক সংখ্যাশব্দও রয়েছে; ১লা, ২রা ইত্যাদি।
অর্ধতৎসম শব্দ নেই
অর্ধতৎসমের ধারণাটি ভাষাবিজ্ঞানসম্মত নয়; তাই বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার অনেক শব্দ বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় প্রায় এক রকম; এগুলোকে বলা হচ্ছে তৎসম শব্দ। আর প্রাচীন ভারতীয় আর্য ভাষার যেসব শব্দ বাংলা ও সংস্কৃত ভাষায় আলাদা, সেগুলোকে বলা হচ্ছে তদ্ভব শব্দ।
পদের বিবেচনায় শব্দের প্রকার
আগে বাংলা ব্যাকরণে পদ ছিল পাঁচ প্রকার : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, অব্যয়। নতুন ব্যাকরণে ইংরেজি ব্যাকরণের সঙ্গে মিলিয়ে পদ আট প্রকার দেখানো হয়েছে : বিশেষ্য, সর্বনাম, বিশেষণ, ক্রিয়া, ক্রিয়াবিশেষণ, অনুসর্গ, যোজক, আবেগ।
ভূত, ভাবী, শর্ত অসমাপিকা
অসমাপিকা ক্রিয়া সহজেই চেনা যায়। যেসব ক্রিয়ার শেষে ইয়া/এ, ইতে/তে, ইলে/এ থাকে, সেগুলোকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন বলিয়া/বলে, বলিতে/বলতে, বলিলে/বললে। অর্থ প্রকাশের দিক থেকে এগুলোর তিন রকম নাম দেওয়া হয়েছে। হয়ে যাওয়া বোঝাতে ভূত অসমাপিকা (বলিয়া/বলে), হবে বোঝাতে ভাবী অসমাপিকা (বলিতে/বলতে) এবং কারণ বোঝাতে শর্ত অসমাপিকা (বলিলে/বললে) নাম দেওয়া হয়েছে।
বিভক্তি
পুরোনো ব্যাকরণে নামবিভক্তি সাত রকম দেখানো হয়েছে : শূন্য, দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী। এর মধ্যে শূন্য বিভক্তি বলে বিভক্তির আলাদা শ্রেণীকরণের দরকার হয় না। চতুর্থী বিভক্তির চেহারা আসলে দ্বিতীয়া বিভক্তির মতো। তৃতীয়া ও পঞ্চমী বিভক্তি প্রকৃতপক্ষে অনুসর্গ। ফলে নতুন ব্যাকরণে মাত্র তিন ধরনের বিভক্তি দোনো হয়েছে : দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী ও সপ্তমী। তবে এগুলোর কোনো নাম দেওয়া হয়নি।
ক্রিয়ার কাল
ক্রিয়ার কালের বিশিষ্ট প্রয়োগ এবার পরিষ্কার করে দেখানো হয়েছে। যেমন সবাই যেন সভায় হাজির থাকে-এই বাক্যের ক্রিয়ার কাল বর্তমানের; কিন্তু ঘটনা ভবিষ্যতের। আবার, আমি গত বছর পরীক্ষা দিয়েছি-এখানে ক্রিয়ার কাল বর্তমানের; কিন্তু ঘটনা অতীতের।
সক্রিয় বাক্য, অক্রিয় বাক্য
বাক্যে ক্রিয়া থাকলে তাকে বলা হয় সক্রিয় বাক্য; যেমন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। আবার বাক্যে ক্রিয়া না থাকলে তাকে বলা হয় অক্রিয় বাক্য; যেমন আমরা তিন ভাইবোন।
বাক্যের বর্গ
এই ধারণাও নতুন। একগুচ্ছ শব্দকে বর্গ বলে। বাক্যের বর্গকে শব্দগুচ্ছও বলা যায়। যেমন ‘আমার ভাই চলে গেছেন’ বাক্যে ‘আমার ভাই’ এবং ‘চলে গেছেন’ দুটি বর্গ আছে। আবার ‘আমরা ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে গিয়ে দাঁড়ালাম’ এখানে ‘আমরা’, ‘১০ নম্বর প্ল্যাটফর্মে’, ‘গিয়ে দাঁড়ালাম’ তিনটি বর্গ আছে।
সম্প্রদান কারক
নতুন ব্যাকরণে সম্প্রদান কারক নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাকে দান করা হয়, সে যদি সম্প্রদান কারক হয়, তবে যাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয় সে হবে সন্তাড়ন কারক, যাকে লালন করা হয়, সে হবে সংলালন কারক ইত্যাদি। সম্প্রদান কারককে আসলে কর্মকারকের মধ্যেই আলোচনা করা যায়। ফলে সম্প্রদান কারক নতুন ব্যাকরণে নেই। তবে সম্বন্ধ কারক বলে আরেকটি কারক তৈরি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই কারকে বিশেষ্য বা সর্বনামের সঙ্গে অন্য বিশেষ্য বা সর্বনামের সম্পর্ক থাকে।
ভাববাচ্য
ভাববাচ্যের ক্ষেত্রে ক্রিয়ার রূপটি মুখ্য হয়। কাউকে যখন তুমি, আপনি কিংবা তুই কোনোভাবেই সম্বোধন করা সহজ হয় না, তখন আমরা ভাববাচ্যে ক্রিয়াপদের রূপটি গ্রহণ করি। যেমন, ‘কোথা থেকে এসেছিস’-এসব বাক্যের কোনোটিই ভাববাচ্যে নেই। যদি বলা হয়, কোথা থেকে আসা হয়েছে-তবে সেটি ভাববাচ্যের বাক্য হবে।
যতিচিহ্ন
যতিচিহ্ন কয়টি, এ ধরণের প্রশ্ন পরীক্ষায় দেওয়া ঠিক নয়। নতুন ব্যাকরণ বইয়ে ১৩টি যতিচিহ্ন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, তার মানে এই নয়-বাংলা যতিচিহ্ন ১৩টি। কোন যতিচিহ্নে কতটুকু থামতে হয়, এর নির্দিষ্ট সময়সীমাও নেই, তাই এক সেকেণ্ড, দুই সেকেণ্ড-এ-জাতীয় আলোচনা এখানে দেওয়া হয়নি।