একটি ঐতিহাসিক স্থানে আমার ভ্রমণ
ঐতিহাসিক স্থানের প্রতি আমাদের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। এর রয়েছে শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক মূল্য। কয়েক মাস পূর্বে আমি বাগেরহাট পরিদর্শনের সুযোগ পাই। তখন আমাদের স্কুল বন্ধ ছিল। আর তাই এটা ছিল আমার ইচ্ছাপূরণের একটি বিশেষ সুযোগ। আমি আমার কিছু বন্ধুর সাথে সেখানে গিয়েছিলাম। আমরা সেখানে এক দিন অবস্থান করেছিলাম। আমরা বাগেরহাটে অবস্থিত খান জাহান আলীর মাজার পরিদর্শন করি। মাজারটি একটি উঁচু স্থানে অবস্থিত। সমাধিসৌধটি পাথরের তৈরি। হযরত খান জাহান আলী ইসলাম প্রচারের জন্য দিল্লি থেকে এখানে আসেন। তিনি ১৪৫৯ সালের ২৫ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। আমরা আরও অনেক কিছু দেখেছিলাম এবং সেগুলো খুবই উপভোগ করেছিলাম। মাজারের সামনে একটি বড় দীঘি রয়েছে। দীঘিতে বেশ কতকগুলো কুমির রয়েছে। এখানকার তত্ত্বাবধায়ক যখন তাদের ডাকে, কুমিরগুলো তখন কাছে চলে আসে। এটি খুবই মজার ব্যাপার। মাঝে মাঝে দর্শনার্থীরা কুমিরগুলোকে কিছু খেতে দেন। আমরা ষাট গম্বুজ মসজিদটিও পরিদর্শন করি। এটি ষাটটি থামের ওপর দাঁড়িয়ে আছে এবং এর ৭৭টি গম্বুজ রয়েছে। এটি দেখতে খুবই সুন্দর। এটি সারাদেশে পরিচিত। এই ভ্রমণটি সত্যিকার অর্থে আমার দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করেছে। আমার এখন মনে হয় দেশের অন্যান্য ঐতিহাসিক স্থানগুলোও আমার পরিদর্শন করা উচিত।
🌸🌸🌸🌸🌸nice
ReplyDelete