সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে দুই বন্ধুর মধ্যে সংলাপ রচনা কর।
রাকিব : কেমন আছিস বন্ধু? অনেক দিন তোর কোনো খোঁজখবর পাচ্ছি না।
রাজিব : আর ভালো থাকা! সড়ক দুর্ঘটনায় আহত মামাকে নিয়ে খুবই ঝামেলায়
ছিলাম।
রাকিব : কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? কই কিছুই তো জানি না।
রাজিব : কেন পত্র-পত্রিকায় এবং মিডিয়া তো ফলাও করে প্রচার করছে
ঢাকা-মাওয়া রুটের দুর্ঘটনার কথা।
রাকিব : তা তো প্রতিদিনই দেখি। দেশে প্রতিদিন গড়ে তিনজন করে বছরে
এক হাজারের বেশি লোক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। পঙ্গু হয়ে বছরে ৫ থেকে ১০ হাজার
মানুষ।
রাজিব : সেদিন দেখলাম সড়ক দুর্ঘটনার এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
রাকিব : কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের মধ্যে কোনো ধরনের সচেতনতা বোধ
আছে বলে মনে হয় না।
রাজিব : কেন? ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলন তো তাদের কর্মসূচি চালিয়ে
যাচ্ছে।
রাকিব : তা যাচ্ছে কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ ড্রাইভারদের
বেপরোয়া গাড়ি চালানো তো থামছে না।
রাজিব : এমনকি ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন এবং নির্দিষ্ট স্টপেজ ছাড়া
যেখান-সেখান থেকে যাত্রী তোলাও বন্ধ হচ্ছে না।
রাকিব : দক্ষতাহীন অপ্রাপ্ত বয়স্কদের লাইসেন্স প্রদান ও ট্রাফিক
আইন অমান্য করা তো চলছেই।
রাজিব : এজন্য স্কুল-কলেজের ছাত্র-শিক্ষকসহ সবাইকেই সচেতন হতে হবে।
রাজিব : এক্ষেত্রে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং মিডিয়া
সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড, বিজ্ঞাপন, ডকুমেন্টারি ফিল্ম ইত্যাদি
তৈরি করে প্রচারাভিযান চালাতে পারে।
রাকিব : তবে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে, যাতে সবাই ট্রাফিক আইন
মেনে চলতে বাধ্য হয়।
রাজিব : প্রশাসন এবং জনগণের মিলিত শক্তিই সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সফল
হতে পারে বলে আমি মনে করি।
রাকিব : এ জন্য আমাদের সবাইকেই এগিয়ে আসা উচিত।
রাজিব : হ্যাঁ, যদি আমরা নিজেরা সচেতন হই এবং অন্যকে সচেতন করে
তুলতে পারি, তবে সড়ক দুর্ঘটনা নির্মূল করা সম্ভব হতে পারে।
রাকিব : আমাদের সবার সম্মিলিত প্রয়াসেই সড়ক দুর্ঘটনা বিষয়ে জনমনে
সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং আমরা মুক্তি পাব মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার কবল থেকে।
রাজিব : ভালো থাকিস। এখন আমাকে আবার হাসপাতালে যেতে হবে।