ভূমিকা : আমাদের বিদ্যালয়ের নাম উজান গোবিন্দ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত রুচিশীল মানুষ। তাঁর উৎসাহে আমরা বিদ্যালয়ের
আঙিনায় একটি বাগান করেছি। নানা ফুলগাছে বাগানটি সুন্দর হয়ে উঠেছে।
বর্ণনা : আঙিনাটি বিদ্যালয়ের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। আস্তিনার
দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে বেশ খানিকটা জায়গাজুড়ে আমরা একটি বাগান করেছি। বাগানে
বিভিন্ন জাতের ফুলগাছ লাগানো হয়েছে দুবছর আগে। সব গাছেই ফুল ধরেছে। গোলাপ আমাদের
সবারই প্রিয় ফুল বলে বেশি বেশি গোলাপ লাগানো হয়েছে। আমাদের প্রধান শিক্ষকের
পছন্দের বেলি ফুলের গাছও লাগানো হয়েছে। এ ছাড়া জুই, জবা, গাঁদা, হাসনাহেনা,
রজনীগন্ধা ইত্যাদি ফুলে গাছগুলো ভরে থাকে।
গুরুত্ব : ফুলের সৌরভ আমাদের আনন্দ দেয়। বাগানটি দক্ষিণ দিকে হওয়ায়
শ্রেণিকক্ষে বসেই আমরা সুগন্ধ পাই। দক্ষিণের বাতাস ফুলের সৌরভ নিয়ে আসে। একুশে
ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবস, বাংলা নববর্ষ ও বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য
অনেকেই ফুল নিতে আসে। বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্যও অনেকে আসে। তাদের ফুল দিয়ে আমাদের
খুব আনন্দ হয়। আজকাল বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সাজগোজের জন্য ফুলের চাহিদা অনেক এবং
প্রচুর ফুল বিক্রি হয়। কাজেই ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম।
রক্ষণাবেক্ষণ : বাগানের যত্ন নিতে হয়। ঠিকমতো রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে
বাগান নষ্ট হয়ে যায়। আমরা প্রতিদিন সকালে বিদ্যালয়ের ক্লাশ শুরু হওয়ার আগেও
বিকেলে ছুটির পর ফুল গাছের যত্ন নেই। গরু-ছাগল যাতে বাগানে ঢুকে গাছ ভেঙে ফেলতে
না পারে, সে জন্য চারপাশে বাঁশের বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাগানের গাছ থেকে আমরা
বেঁচে থাকার অক্সিজেনও পাই।
উপসংহার : বিদ্যালয় শুধু লেখাপড়াই শেখা না, নৈতিকতা, দায়িত্বশীলতা,
সৌন্দর্যবোধ, যত্নশীলতা ইত্যাদিও শেখায়। আমাদের এখন শিক্ষকের উৎসাহে বিদ্যালয়ের
আঙিনায় গড়ে তোলা বাগানটি তার উদাহরণ। আমরা সবাই যার যার বিদ্যালয়ে বাগান গড়ে
তুলব।