শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সংলাপ রচনা কর।
অদিতি : স্যার, সামাজিকভাবে আমরা ক্রমশ হীনমম্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছি।
রাজীব স্যার : সেটা কী রকম?
অদিতি : আমরা কেমন দিন দিন নৈতিকতা হারিয়ে সভ্য থেকে ক্রমশ অসভ্য হয়ে যাচ্ছি। পত্র-পত্রিকায়, টেলিভিশনে দেখেন না স্যার, প্রতিদিনই শিশু-হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনার খবর?
রাজীব স্যার : তা তো দেখিই। সাধারণ মানুষ যেন গুটি কয়েক অমানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অদিতি : স্যার, এসব দেখে আমার প্রচণ্ড ভয় হয়, কবে কখন কার যে কী হয়। সবসময় কেমন একটা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হয়।
রাজীব স্যার : সবাই ভয়ে পিছিয়ে গেলে সমাজ পরিবর্তন করবে কে? ঐ যে গুটি কয়েক অমানুষ। যাদেরকে শতকরা হিসেবে এক ভাগও ধরা যাবে না। অথচ তারাই সমাজকে অস্থির করে তুলছে।
অদিতি : তাহলে আমরা কী করতে পারি, স্যার?
রাজীব স্যার : এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের অমানবিক আচরণ ও জঘন্য কাজকে প্রতিহত করতে হবে। তুমি একজন অদিতি সাহস করে সামনে দাঁড়াও। দেখবে তোমার পেছনে হাজারো অদিতি এসে দাঁড়িয়েছে। তখন ঐসব অপরাধী তোমাদের বয়ে পালাতে থাকবে।
অদিতি : স্যার, ইদানিং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এর কারণ কী?
রাজীব স্যার : এক শ্রেণির হীন প্রকৃতির মানুষের লোভ ও হিংস্রতা। এদের অপতৎপরতার কারণেই নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে।
অদিতি : তাদের এরকম বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণ কী স্যার? আগে তো এমন ছিল না।
রাজীব স্যার : তুমি ঠিকই বলেছ। আগে এমন ছিল না। এখন কেন হচ্ছে? এমন হচ্ছে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে।
অদিতি : স্যার, আমারও তাই মনে হয়। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী স্যার?
রাজীব স্যার : নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। মানবিববোধের শিক্ষা দিতে হবে। আইনের শাসন ও শাস্তি বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অদিতি : আমার মনে হয় কী স্যর, অপরাধীকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, তাহলে এ অপরাধ অনেক কমে আসবে।
রাজীব স্যার : তোমার ধারণা একদম ঠিক। সমাজের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইন প্রশাসন এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে ‘শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা’ বন্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অদিতি : আমি আপনার কথা শুনে অনুপ্রাণিত হলাম স্যার। আমি বাসার কাছে এসে পড়েছি। বিদায় নেব। আসি স্যার। আদাব।
রাজীব স্যার : শোনো, আগামীকাল আমাদের কলেজে এ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, এসো।
অদিতি : আসব, স্যার।
অদিতি : স্যার, সামাজিকভাবে আমরা ক্রমশ হীনমম্মন্যতার পরিচয় দিচ্ছি।
রাজীব স্যার : সেটা কী রকম?
অদিতি : আমরা কেমন দিন দিন নৈতিকতা হারিয়ে সভ্য থেকে ক্রমশ অসভ্য হয়ে যাচ্ছি। পত্র-পত্রিকায়, টেলিভিশনে দেখেন না স্যার, প্রতিদিনই শিশু-হত্যা, অপহরণ, নারী নির্যাতনের ভয়াবহ ঘটনার খবর?
রাজীব স্যার : তা তো দেখিই। সাধারণ মানুষ যেন গুটি কয়েক অমানুষের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।
অদিতি : স্যার, এসব দেখে আমার প্রচণ্ড ভয় হয়, কবে কখন কার যে কী হয়। সবসময় কেমন একটা উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকতে হয়।
রাজীব স্যার : সবাই ভয়ে পিছিয়ে গেলে সমাজ পরিবর্তন করবে কে? ঐ যে গুটি কয়েক অমানুষ। যাদেরকে শতকরা হিসেবে এক ভাগও ধরা যাবে না। অথচ তারাই সমাজকে অস্থির করে তুলছে।
অদিতি : তাহলে আমরা কী করতে পারি, স্যার?
রাজীব স্যার : এদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এদের অমানবিক আচরণ ও জঘন্য কাজকে প্রতিহত করতে হবে। তুমি একজন অদিতি সাহস করে সামনে দাঁড়াও। দেখবে তোমার পেছনে হাজারো অদিতি এসে দাঁড়িয়েছে। তখন ঐসব অপরাধী তোমাদের বয়ে পালাতে থাকবে।
অদিতি : স্যার, ইদানিং নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা আগের তুলনায় অনেকগুণ বেড়ে গেছে। এর কারণ কী?
রাজীব স্যার : এক শ্রেণির হীন প্রকৃতির মানুষের লোভ ও হিংস্রতা। এদের অপতৎপরতার কারণেই নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা বেড়ে গেছে।
অদিতি : তাদের এরকম বেপরোয়া হয়ে ওঠার কারণ কী স্যার? আগে তো এমন ছিল না।
রাজীব স্যার : তুমি ঠিকই বলেছ। আগে এমন ছিল না। এখন কেন হচ্ছে? এমন হচ্ছে মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের কারণে। প্রকৃত শিক্ষার অভাবে।
অদিতি : স্যার, আমারও তাই মনে হয়। এ থেকে উত্তরণের উপায় কী স্যার?
রাজীব স্যার : নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। মানবিববোধের শিক্ষা দিতে হবে। আইনের শাসন ও শাস্তি বিষয়ে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
অদিতি : আমার মনে হয় কী স্যর, অপরাধীকে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া যায়, তাহলে এ অপরাধ অনেক কমে আসবে।
রাজীব স্যার : তোমার ধারণা একদম ঠিক। সমাজের সবাইকে এ বিষয়ে সচেতন ও সতর্ক হতে হবে। সমাজের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আইন প্রশাসন এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে ‘শিশু ও নারীর প্রতি সহিংসতা’ বন্ধের জন্য ঐক্যবদ্ধ সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
অদিতি : আমি আপনার কথা শুনে অনুপ্রাণিত হলাম স্যার। আমি বাসার কাছে এসে পড়েছি। বিদায় নেব। আসি স্যার। আদাব।
রাজীব স্যার : শোনো, আগামীকাল আমাদের কলেজে এ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে, এসো।
অদিতি : আসব, স্যার।
Well
ReplyDelete