তোমার ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং-এর সুফল সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়ে বন্ধুকে একটি
পত্র লিখুন।
৭ ফেব্রুয়ারি ১০১৩
বাংলাবাজার
প্রিয় ‘ক’,
ইতি
তোমার প্রীতিধন্য
‘জ’
৭ ফেব্রুয়ারি ১০১৩
বাংলাবাজার
প্রিয় ‘ক’,
প্রীতি ও শুভেচ্ছা নিও। আশা করি বাড়ির সবাইকে নিয়ে ভালোই আছো। গতকাল তোমার চিঠি
পেয়েছি। চিঠিতে তুমি আমাদের ইউনিয়নের ‘কমিউনিটি পুলিশিং’ -এর সুফল সম্পর্কে জানতে
চেয়েছো। তোমার এ বিষয়ে জানার আগ্রহ দেখে আমারও খুব ভালো লেগেছে। আজ সে সম্পর্কে
তোমাকে কিছু লিখতে বসলাম।
কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক এলাকায় অপরাধ দমন ও অপরাধ উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার,
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পুলিশ ও ঐ এলাকার জনগণের
পারস্পরিক সহযোগিতা ও যৌথ অংশীদারিত্বের বিত্তিতে সমস্যা ও সমস্যার কারণ চিহ্নিত
করে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রমের সাধ্যমে সমস্যা সমাধানের উপায় উদ্ঘাটন ও
বাস্তবায়নের পদ্ধতিই কমিউনিটি পুলিশিং। বর্তমানে পৃথিবীর অনেক দেশেই কমিউনিটি
পুলিশিং ব্যবস্থা চালু আছে। জনগণের সঙ্গে পুলিশের সুসম্পর্ক স্থাপন করাই কমিউনিটি
পুলিশের লক্ষ্য। আমাদের দেশে ২০০৭ সালে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের কার্যক্রম শুরু হয়।
কমিউনিটি পুলিশের চলমান কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করতে দেশব্যাপী প্রায় ৪১ হাজার
কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব কমিটি বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম উদ্ঘাটনে কাজ করে
যাচ্ছে। আমাদের ইউনিয়নেও কমিউনিটি পুলিশের অনেক সফলতা রয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং-এর
ফলেই পুলিশ ও জনগণের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অপরাধ
দমন ও এলাকার সমস্যা সমাধানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে
পারস্পরিক আস্থা, সমঝোতা এবংপারস্পরিক শ্রদ্ধা পেয়েছে। যার ফলে সমাজে শান্তি
শৃঙ্খলা ফিরে আসছে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হচ্ছে। এছাড়াও জনগণকে অপরাধ দমন,
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও সমাজের বহুবিধ সমস্যা সমাধানে সম্পৃক্ত করে কুলিশ ও জনগণের
পারস্পরিক সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি কার্যকর ও টেকসই গণমুখী পুলিশী
ব্যবস্থা গড়ে তোলাই কমিউনিটি পুরিশিং-এর লক্ষ্য।
আজ আর নয়। চাচা-চাচিকে আমার সালাম দিও। আর সময় পেলে মাঝে মধ্যে চিঠি দিও।
ইতি
তোমার প্রীতিধন্য
‘জ’