একদিন খুব পিপাসাকাতর একটি পিঁপড়ে নদীতে পানি খেতে গিয়েছিল। এমন সময় একটা বড় ঢেউ এসে পিঁপড়াটিকে নদীর পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে গেল। পিঁপড়াটি অথৈই পানিতে হাবুডুবু খেতে লাগল। ঐ নদীর পাড়ে গাছের ডালে বাসা ছিল একটি ঘুঘু পাখির। ঘুঘু পাখি দেখল পিঁপড়াটি খুব বিপদে পড়েছে। ঘুঘুর মনে দয়া হলো, সে ভাবতে লাগল পিঁপড়েকে বাঁচানোর উপায় কী? তখন সে বুদ্ধি করে একটা শুকনো পাতা ছিঁড়ে পিঁপডেটার সামনে ফেলে দিল। পিঁপড়েটা পাতাটি আঁকড়ে ধরে তাতে চড়ে বসল। ঢেউয়ে ঢেউয়ে সে আবার নদীর তীরে গিয়ে ঠেকলো। এভাবে সে প্রাণে বেঁচে গেল। পিঁপড়াটি ঘুঘু পাখিটিকে ধন্যবাদ জানালো এবং তারা বন্ধু হয়ে গেল।
ঘুঘু পিঁড়াকে একটি পাতা দিয়ে সাহায্য করছে |
একদিন সেখানে এলো এক পাখি শিকারি। তার হাতে ছিল তীর-ধনুক। শিকারি ঘুঘুকে দেখতে পেয়ে তাকে মারবে বলে ঠিক করল। সে ঘুঘুর দিকে তীর-ধনুক তাক করল। পিঁপড়ে বুঝতে পারল- ঘুঘুর মহা বিপদ! তখন শিকারি যেই-না তীরটা ছুড়তে যাবে, অমনি পিঁপড়ে কামড় দিল শিকারির পায়ে। শিকারির হাত গেল কেঁপে, তীরটা গেল ফসকে। ঘুঘুটিও তাই বেঁচে গেল এবং উড়ে অন্য দিকে চলে গেল।
নীতিকথা : সত্যিকারে বন্ধু কখনো তার উপকারের কথা ভুলে যায় না, ঠিক মনে রাখে।