রোজাকালীন সময়ের কিছু বিধি-নিষেধ ও প্রশ্নের-উত্তর
রোজায় কানে যদি পানি প্রবেশ করে তবে কি রোজার কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর : রোজা অবস্থায় কানে যদি পানি যায় এবং আপনি যদি সেটি ঝেড়ে ফেলে দিতে পারেন, এতে রোজার কোনো সমস্যা হবে না।স্বামীর ও স্ত্রীর জাকাত কি আলাদা?
উত্তর : অবশ্যই প্রত্যেকের জাকাতের হিসাব আলাদা।রোজা রেখে ফোনে কথা বলা যাবে কিনা?
উত্তর : যাবে, তবে অতিরিক্ত কথা, অপ্রয়োজনীয় কথা বলা যাবে না। প্রয়োজন থাকলে অবশ্যই কথা বলা যাবে।রোজা অবস্থায় তেল-সুরমা-আতর বা চুল-নখ কাটলে রোজার কোনো সমস্যা হবে কিনা?
উত্তর : না, এতে রোজার কোনো সমস্যা হবেনা, এগুরো খাদ্য বা পনীয়ের কাজ নয় বিধায় এতে কোনো সমস্যা হবে না।সেহেরী না করলে কি রোজা হবে?
উত্তর : হ্যা, সেহেরী না করলেও রোজা হবে।একাধিক মসিজিদে তারাবীর নামাজ পড়লে কি সমস্যা হবে?
উত্তর : না, সমস্যা হবে না।রোজা রেখে মহিলারা কি খাবারের লবণ চেক করতে পারবেন?
উত্তর : যেকোনো মহিলা বা পুরুষ রান্না করতে গিয়ে যদি রান্নার স্বাদ বিষয়ে সন্ধিহান হন। তবে অবশ্যই জিহ্বার অগ্রভাগ দিয়ে স্বাদ চেক করে দেখা যাবে, তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন পেটে না যায়। স্বাদ পরখ করার পর অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে। তবে মনোযোগ দিয়ে রান্না করতে হবে যেন পরখ করার প্রয়োজন না পড়ে।জাকাতের টাকা থেকে কি এতিমদের দেয়া যাবে?
উত্তর : হ্যা দেয়া যাবে।রোজা রেখে কি ইঞ্জেকশন দেয়া যাবে?
উত্তর : অবশ্যই দেয়া যাবে, ইঞ্জেকশন যদি পাকস্থলীতে না যায়। শুধু চামড়ার নিচে প্রবেশ করানো হয়, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। কিঞ্চিৎ রক্ত বের হলেও সমস্যা নেই, কারণ এটি আপনার সুস্থতার জন্যই দেয়া হচ্ছে। যদি গ্লোকজ জাতীয় ইঞ্জেকশন হয় তবে তা দেয়া যাবে না। কারণ তা খাদ্যের বিকল্প।রোজা অবস্থায় যদি প্রিয়ড হয়ে যায় তবে কি রোজা রাখা যাবে?
উত্তর : না, রোজা রাখা অবস্থায় প্রিয়ড হয়ে গেলে আপনি আর রোজা রাখতে পারবে না। রমজানের পর এই রোজাগুলো পালন করতে হবে।রোজা রেখে শিশুকে মায়ের দুধ পান করানো যাবে কি?
উত্তর : হ্যা, যাবে।কোনো মসজিদে যদি ২০ রাকাত নামাজ হয়, তবে আপনি যদি ৮ রাকাত পড়ে চলে আসেন, তাতে কি গুনাহ্ হবে?
উত্তর : গুনাহ্ হবে না। তবে নবী (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি ইমামের সাথে নামাজ পড়ে এবং ইমাম যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তার জন্য রাতজেগে এবাদতের সোওয়াব লেখা হয়। সুতরাং আপনি এই সোওয়াব থেকে বঞ্চিত হবেন।গোসল ফরজ অবস্থায় গোসল না করে কি সাহেরিহ্ খাওয়া যাবে?
উত্তর : যদি সাহেরিহ্ এর আগে গোসলের সময় না থাকে তবে গোসলের আগে সেহেরিহ্ খেতে পারবেন। তবে চেষ্টা করবেন পাক পবিত্র হয়ে খাবার খেতে। ফজরের সালাত আদায়ের জন্য অবশ্যই গোসল করতে হবে।সাহেরিহ্ এত আজান চলা অবস্থায় কি পানি পান করা যাবে?
উত্তর : জ্বি না, যদি তাহজ্জতের নামাজ হয় তাহলে পারবেন।রোজা অবস্থায় টুথ-পেস্ট দিয়ে দাঁত মাঝা যাবে কি না?
উত্তর : জ্বি যাবে, ব্রাশ বা মেসওয়াক তবে খেয়াল রাখতে হবে, পেটে পেস্ট বা পানি যেন প্রবেশ না করে। এটি মাকরু বা অপছন্দনীয় তাই এটা না করাই ভালো।রমজান মাসে ওষুধের মাধ্যমে প্রিয়ড বন্ধ রেখে কি রোজা রাখা যাবে?
উত্তর : রোজার মাসে ওষুধের মাধ্যমে প্রিয়ড বন্ধ করে রোজা রাখা যাবে, তবে শর্ত হলো সেই ওষুধ শরীরের কোনো ক্ষতি যেন না করে। মনে রাখতে হবে প্রাকৃতিক নিয়মের বাহিরে গিয়ে কিছু করা আমাদের জন্য অনুচিত। কিন্তু যদি এমন হয় যে রোজার মাসের পর আপনার পক্ষে রোজা রাখা কষ্টকর হয়ে যাবে, শুধু সেই ক্ষেত্রে শরীরের কোনো ক্ষতি না করে যদি ওষুধ খেয়ে প্রিয়ড বন্ধ রেখে রোজা রাখতে পারেন, তবে তা জায়েজ আছে।- শায়ক আহমাদুল্লাহ