অনুচ্ছেদ : নারীর ক্ষমতায়ন

নারীর ক্ষমতায়ন


১৯৭২ সালে নবগঠিত রাষ্ট্র বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার বিধান সন্নিবেশিত হয়েছে। সংবিধানের ২৭ ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’। সংবিধানের ২৮(২) ধারায় বলা হয়েছে, নারীরা রাষ্ট্র ও জনজীবনের সর্বস্তরে পুরুষের সমান অধিকার লাভ করবেন। নারীর প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন তথা উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ১৯৭২ সালে। সরকারি চাকরিতে দশ ভাগ কোটা নারীর জন্য সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৭৩ সালে দুজন নারীকে মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৭৪ সালে নারীকে প্রথম বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক নিয়োগ করা হয়। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভায় ২ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৩ জন প্রতিমন্ত্রীসহ মোট নারী মন্ত্রী রয়েছে ৫ জন। বর্তমান সরকারপ্রধান ও বিরোধীদলীয় নেত্রী দুজনই নারী। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৮টি আসনে ২৭ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একমাত্র নারী প্রার্থী হিসেবে দুই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচনে ১৯টি আসনে ১৮ জন নারী এমপি নির্বাচিত হন। এর মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ৮ জন নারী। ৩০ জুন ২০১১ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাসের মাধ্যমে জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য ৫০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবসে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে অন্যতম বড় অর্জন। এই নীতিমালা জাতীয়, স্থানীয় ও পারিবারিক পর্যায়ে নারী ইস্যুকে মূলধারায় নিয়ে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post