বাংলাদেশ পুলিশ বিষয়ক সাধারণ জ্ঞান - ১ম পর্ব

(১) পুলিশ বিষয়ক সাধারণ তথ্য


‘POLICE’ শব্দটির পূর্ণরূপ কি?
— P-Polite, O-Obedient, L-Loyal, I-Intelligent, C-Courageous, E-Efficient

পুলিশ (Police) শব্দের অর্থ কি?
— ‘Police’ শব্দটি Noun হলে এর অর্থ হয় শৃঙ্খলা, শান্তি ও আইন রক্ষা করার ব্যবস্থা (The system of preservation of order and peace and enforcement of law)। অথবা পুলিশ বলতে বোঝায় এমন একটা প্রতিষ্ঠানের সদস্য, যাদের দায়িত্ব হচ্ছে দুর্নীতি দমন ও প্রতিহত করা এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখা। (The member of an official organization whose job is to keep public orders and demolish and prevent of corruption crime)
শব্দটি Verb হলে তখন তার অর্থ দাঁড়ায় পুলিশ বা তৎসমতুল্য কোনোকিছু দ্বারা কোনো স্থানে শৃঙ্খলা বজায় রাখা (to keep orders in a place with or as if with police)।

বাংলাদেশ পুলিশের মূলনীতি কি?
— শান্তি, শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতি।

পুলিশের মূলমন্ত্র কি?
— দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন।

(২) বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রাম, ড্রেস ও ক্যাপ


বাংলাদেশ পুলিশের মনোগ্রাম কি?
— এক পাশে ধানের শীষ ও অপর পাশে গমের শীষ এবং মাঝখানে ভাসমান পালতোলা নৌকা, শীর্ষে শাপলা ও নিচে বাংলায় লেখা পুলিশ।

পুলিশের নতুন পোশাক কবে চালু করা হয়?
— ১০ জানুয়ারি ২০০৪

বর্তমান মেট্রোপলিটন সিটির পুলিশ বাহিনীর পোশাক কিরূপ?
— ডিপ ব্লু প্যান্ট ও হালকা অলিভ রঙের হাফশার্ট।

মেট্রোপলিটন সিটির বাইরে পুলিশ বাহিনীর পোশাক কিরূপ?
— ডিপ ব্লু প্যান্ট ও ডিপ গ্রে রঙের হাফশার্ট।

আর্মড পুলিশ সদস্যদের পোশাক কিরূপ?
— প্রিন্টেড প্যান্ট ও প্রিন্টেড ফুল শার্ট।

সকল মেট্রোপলিটন পুলিশের একই ড্রেস কবে চালু করা হয়?
— ১৫ এপ্রিল ১৯৯৩।

আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ড্রেস কেমন ছিল?
— খাকি প্যান্ট ও নীল জামা।

পূর্বে মেট্রোপলিটনের বাইরের পুলিশের ড্রেস কি ছিল?
— খাকি প্যান্ট ও খাকি শার্ট।

পুলিশের উর্দি/পোশাক সম্পর্কে পুলিশ রেগুলেশন অ্যাক্টের কোন ধারায় উল্লেখ আছে?
— ২০নং ধারায়।

(৩) বাংলাদেশ পুলিশের ইতিহাস


বিশ্বের প্রথম অভ্যন্তরীণ শান্তিরক্ষায় কে পুলিশ বাহিনী গঠন করেন?
— রোম সম্রাট সিজার অগাস্টাস।

সম্রাট সিজার অগাস্টাসের এ পুলিশ বাহিনী কত বছর টিকেছিল?
— প্রায় সাড়ে তিন শ বছর।

বঙ্গ-ভারত উপমহাদেশে প্রথম পুলিশব্যবস্থা কে চালু করেন?
— সম্রাট আকবর।

আকবর পুলিশ প্রশাসনকে কিভাবে সংগঠিত করেছিলেন?
— আকবর ফৌজদার, মীরআদল, কাজী ও কোতওয়াল নিয়োগের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনকে সংগঠিত করেছিলেন।

ইংল্যান্ডে পোশাকধারী পুলিশব্যবস্থা চালু হয় কবে?
— ১৮২৯ সালে।

উপমহাদেশে পুলিশ অফিসারদের সরাসরি ইম্পেরিয়াল সার্ভিসে নিয়োগ শুরু হয় কবে থেকে?
— ১৯২১ সালে।

নিয়মিত পুলিশ বাহিনী গঠনের বিল ব্রিটিশ গভর্নর ইন কাউন্সিলে পাস হয় কবে?
— ৭ ডিসেম্বর ১৭৭২

অবিভক্ত বাংলায় কখন প্রথম পুলিশ কমিশন গঠন করা হয়?
— ১৮৬০ সালে।

ভারতীয় উপমহাদেশে কবে থেকে পুলিশ সার্ভিস চালু হয়?
— ১৮৬১ সাল থেকে।

ভারতীয় পুলিশ বাহিনীর আধুনিকায়নে দ্বিতীয় কমিটি গঠিত হয় কখন?
— ১৮৯০ সালে, লে. গভর্নর স্যার স্টুয়ার্ট বেইলির সময়।

উপমহাদেশে পুলিশ সার্ভিস প্রথম চালু হয় কার আমলে?
— ভাইসরয় লর্ড ক্যানিং।

উপমহাদেশে কবে ফৌজদারি আইন প্রবর্তিত হয়?
— ১৮৯৮ সালে।

উপমহাদেশের পুলিশ প্রশাসনকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কবে প্রথম কমিটি গঠন করা হয় এবং উক্ত কমিটির চেয়ারম্যান কে ছিলেন?
— ১৮৬৮ সালে, মি. বার্ড।

উপমহাদেশে কবে প্রথম ফৌজদারি ও দেওয়ানি আদালত স্থাপিত হয়?
— ১৭৭২ সালে।

পাক-ভারত উপমহাদেশে সারদা পুলিশ একাডেমি চালু হয় কার সময়ে?
— লর্ড-হার্ডিঞ্জ-এর সময়ে।

জেলাসমূহকে ৪০০ বর্গমাইলের পুলিশ থানায় বিভক্ত করা হয় কবে?
— ১৭৭৪ সালে।

(৪) পুলিশ আইন


উপমহাদেশে কবে প্রথম পুলিশ রেগুলেশন প্রণীত হয়?
— ১৮৬১ সালে।

‘পাঁচ আইন’ কি?
— ১৮৬১ সালের পুলিশ সংক্রান্ত বিধিকে ‘পাঁচ আইন’ বলে।

ভারতীয় পুলিশ সংগঠনকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে কত সালে প্রথম কমিটি গঠন করা হয়?
— ১৮৩৮ সালে (চেয়ারম্যান ছিলেন মি. বার্ড)।

বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসন পরিচালিত হয় কোন রেগুলেশন অনুসারে?
— ১৮৬১ সালে প্রণীত রেগুলেশন অনুসারে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন তৈরি ও মহিলাদের পুলিশ সার্ভিসে নিয়োগ করা হয় কোন সালের অধ্যাদেশ বলে?
— ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশ বলে।

জাতীয় সংসদে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব আইন কবে পাস হয়?
— ৯ জুলাই ২০০৩।

আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন কবে সংসদে পাস হয়?
— ৯ এপ্রিল ২০০২।

জাতীয় সংসদে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) সংশোধন বিল কবে পাস হয়?
— ১৬ মার্চ ২০০৪।

(৫) আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইন ও মন্ত্রণালয়


বাংলাদেশ পুলিশ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের।

বাংলাদেশে প্রচলিত ‘অস্ত্র আইন’ প্রণীত হয় কবে?
— ১৮৭৮ সালে।

বাংলাদেশে কার্যকরী ‘বিস্ফোরক আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৮৮৪ সালে।

বাংলাদেশে প্রযোজ্য ‘সরকারি গোপনীয়তা আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৯২৩ সালে।

বাংলাদেশে প্রচলিত ‘ভবঘুরে আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৯৪৩ সালে।

বাংলাদেশে প্রযোজ্য ‘আনসার আইন’ জারি হয় কবে?
— ১৯৪৭ সালে।

বাংলাদেশে ‘মোটরযান সংশোধনী আইন’ পাস হয় কবে?
— ১৯৭৮ সালে।

বাংলাদেশে ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন’ কবে জারি হয়?
— ১৯৭৪ সালে।

জাতীয় সংসদে ‘মাদক দ্রব্য আইন’ পাস হয় কবে?
— ২৯ জানুয়ারি ১৯৯০।

জাতীয় সংসদে ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (সংশোধনী) বিল’ পাস হয় কবে?
— ১৫ জুলাই ১৯৯২।

‘সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশ’ জারি হয় কবে?
— ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯২।

জাতীয় সংসদে ‘সন্ত্রাস দমন বিল’ পাস হয় কবে?
— ১ নভেম্বর ১৯৯২।

সন্ত্রাস দমন বিল পাস করা হয় কত বছরের জন্য?
— ২ বছরের জন্য।

‘সন্ত্রাস দমন অধ্যাদেশ’ অনুযায়ী প্রমাণিত অপরাধের ন্যূনতম শাস্তি কি?
— ৫ বছরের কারাদণ্ড।

বাংলাদেশে শিশুর অন্যায় কাজ অপরাধ বলে গণ্য হয় না কত বছর বয়স পর্যন্ত?
— ৭ বছর বয়স পর্যন্ত।

‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’ কোন মন্ত্রণালয়ের অধীন?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

৫ জনের অধিক জনসমাবেশ কোন ধারা বলে নিষিদ্ধ?
— ১৪৪ ধারা।

৫৪ ধারা কি?
— বিনা ওয়ারেন্টে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার করার ক্ষমতা।

১৪৪ ধারা কি?
— মানুষের চলাচল, আচরণ এবং কর্মকাণ্ডের ওপর বিধি-নিষেধ বা নিয়ন্ত্রণ। যেমন: ৫ জনের অধিক জনসমাবেশ একত্রে করা নিষেধ।

ক্রিমিন্যাল Procedure Code -এর কোন কোন ধারায় এজাহার রেকর্ড জবানবন্দি রেকর্ড বা চার্জশিট দাখিল করা হয়?
— যথাক্রমে ১৫৪, ১৬৪, ১৭৩ ধারায়।

৪২০ ধারা কি?
— বাংলাদেশ Penal Code -এর একটি ধারা যেখানে প্রতারণার জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে।

FIR কি?
— First Information Report । এটি প্রাথমিক তথ্যাবিবরণী বা এজাহার নামে পরিচিত।

‘জননিরাপত্তা (বিশেষ বিধান) আইন ২০০০’ কবে পাস হয়?
— ৩০ জানুয়ারি ২০০০।

‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আইন বিল ২০০১’ জাতীয় সংসদে পাস হয় কবে?
— ৮ এপ্রিল ২০০১।

‘জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শন আইন ২০০১’ সংসদে কবে পাস হয়?
— ১৮ জানুয়ারি ২০০১।

‘জাতির পিতার প্রতিকৃতি সংরক্ষণ (রহিতকরণ) আইন-২০০১’ কবে জাতীয় সংসদে পাস হয়?
— ২১ মার্চ ২০০২।

‘জাতীয় সংসদে জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন ২০০১’ কবে পাস হয়?
— ২০ জুন ২০০১।

‘জাতির পিতার পরিবার সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) আইন ২০০১’ জাতীয় সংসদে কবে পাস হয়?
— ২ ডিসেম্বর ২০০১।

‘এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন’ কবে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে?
— ২০০২ সালের ১২ মার্চ।

‘এসিড অপরাধ দমন আইন-২০০২’ কবে জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে?
— ২০০২ সালের ১৩ মার্চ।

নতুন আইনে এসিড নিক্ষেপজনিত অপরাধের বিচারপ্রক্রিয়া পৃথক ট্রাইব্যুনালে একটানা কয় দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন হওয়ার কথা বলা হয়েছে?
— ৯০ দিনের মধ্যে।

নতুন আইনে এসিড নিক্ষেপের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি কি?
— মৃত্যুদণ্ড।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল অধ্যাদেশ কেন জারি করা হয়?
— ৬টি মারাত্মক অপরাধের বিচারের জন্য।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কোন ছয়টি অপরাধের বিচার করা হয়?
— হত্যা, ধর্ষণ, বিস্ফোরক, অস্ত্র, মাদক ও মজুতদারী।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কয় দিনের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হবে?
— ৯০ দিনের মধ্যে। তবে নির্ধারিত দিনের মধ্যে মামলা শেষ না হলে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক অবহিত করে আরো ৩০ দিন সময় বাড়ানো যাবে এবং এরপরও শেষ না হলে আরো ১৫ দিন সময় বাড়ানো যাবে।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে কোন সংস্থার জবাবদিহিতার ব্যবস্থার কথা বলা হয়েছে?
— বিচারক, আইনজীবী ও পুলিশের।

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে জামিনের বিধান কিরূপ?
— আগে থেকে বদ্যমান জামিনবিধান।

দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক কে?
— চাকরিরত বা প্রয়োজনবোধে অবসরপ্রাপ্ত দায়রা জজ।

সরকার পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের ওপর নজরদারী করার লক্ষ্যে নতুন কোন গোয়েন্দা ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে?
— কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কমিটি।

(৬) আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অপারেশন


অপারেশন স্পাইডার ওয়েব কি?
— সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের ধরার জন্য দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে পরিচালিত অভিযানের নাম।

যৌথবাহিনী কর্তৃক অপারেশন স্পাইডার ওয়েব শুরু হয় কবে?
— ১৯ জুলাই ২০০৩।

নৌডাকাত ও অপরাধীদের ধরার জন্য সুন্দরবনে যে অভিযান পরিচালিত হয় তার নাম কি?
— ‘অপারেশন গোল্ডেন টাইগার’।

অপারেশন গোল্ডেন টাইগার কবে পারিচালিত হয়?
— ২০০৩  সালের জুলাই মাসে।

‘কম্পিং অপারেশন’ কি?
— দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুরক্ষায় পরিচালিত বিশেষ অভিযান।

অপারেশন আগস্ট কবে পরিচালিত হয়?
— ১৯৯২ সালের ১ থেকে ৩১ আগস্ট।

‘অপারেশন ক্লিনস্পট’ কি?
— ঢাকা মহানগরীর মাদকদ্রব্য নির্মূলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পরিচালিত একটি অভিযান।

অপারেশন ক্লিনস্পট কবে পরিচালিত হয়?
— ১২ জানুয়ারি ২০০৪।

অপারেশন ‘নিরাপদ উপকূল’ কি?
— ২০০৩ সালে যৌথবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত একটি অভিযান।

অপারেশন ক্লিনহার্ট কি?
— সন্ত্রাস মূলোৎপাটনের লক্ষ্যে যৌথ বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযান।

অপারেশন ক্লিনহার্ট কবে শুরু হয়?
— ১৬ অক্টোবর ২০০২।

অপারেশন ক্লিনহার্টের ব্যাপ্তিকাল ছিল কত দিন?
— ৮৭ দিন (১৬ অক্টোবর ২০০২ থেকে ৯ জানুয়ারি ২০০৩)।

(৭) পুলিশ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান


উপমহাদেশে কার শাসনামলে বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি চালু হয়?
— লর্ড হার্ডিঞ্জ।

বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
— মেজর এইচ চীমন (১৯১২ – ১৯১৯)

ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
— ৬ এপ্রিল ১৯৬৫।

বাংলাদেশ পুলিশের ‘ফরেনসিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট’ -এর যাত্রা শুরু হয় কবে?
— ১৬ জানুয়ারি ২০১২।

বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার (Victim Support Centre) কবে চালু হয়?
— ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৯।

প্রথম ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার কোথায় অবস্থিত?
— তেজগাঁও থানা, ঢাকা।

বাংলাদেশের একমাত্র পুলিশ একাডেমি কোথায় অবস্থিত?
— সারদা।

সারদা পুলিশ একাডেমির এ দেশীয় প্রথম অধ্যক্ষ কে ছিলেন?
— খান বাহাদুর এস এ খান।

রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় কাদেরকে?
— নায়েক থেকে সকল ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের।

কনস্টেবলদের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে কি বলে?
— জোনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

বাংলাদেশে কয়টি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে?
— ৪টি।

বাংলাদেশে পুলিশের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলো কোথায় অবস্থিত?
— খুলনা, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী ও রংপুর।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম পুলিশ স্টাফ কলেজ কোথায় অবস্থিত?
— ঢাকার মিরপুরে।

নাম অবস্থান প্রতিষ্ঠা
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা ১৯১২
ডিটেকটিভ ট্রেনিং স্কুল (ডিটিএস) রাজারবাগ, ঢাকা ১৯৬৩
ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুল মিল ব্যারাক, ঢাকা ৬ এপ্রিল ১৯৬৫
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার খুলনা ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার নোয়াখালী ১৯৯০
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার রংপুর ১৯৯০
পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার টাঙ্গাইল ১৯৯০
স্পেশাল ব্রাঞ্চ ট্রেনিং স্কুল রাজারবাগ, ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৯২
বাংলাদেশ পুলিশ স্টাফ কলেজ মিরপুর, ঢাকা ৩০ নভেম্বর, ২০০০
ফরেনসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মালিবাগ, ঢাকা ১৬ জানুয়ারি, ২০১২
পুলিশ পিসকিপারস ট্রেনিং স্কুল রাজারবাগ, ঢাকা
মোটর ড্রাইভার ট্রেনিং স্কুল জামালপুর
টেলিকমিউনিকেশনস ট্রেনিং সেন্টার রাজারবাগ, ঢাকা
ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি রাজারবাগ, ঢাকা

(৮) পুলিশ প্রশাসন


বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তর কোথায় অবস্থিত?
— ঢাকার ফুলবাড়িয়ায়।

পূর্বে বাংলাদেশ পুলিশের সদর দপ্তর কোথায় ছিল?
— ঢাকার রাজারবাগে।

পুলিশ প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার পদবি কি?
— ইন্সফেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি), আরো সংক্ষেপে আইজি।

পুলিশ প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করে কোন মন্ত্রণালয়?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পুলিশ পেট্রোল কয় প্রকার ও কি কি?
— ৮ প্রকার। যথা- (1) Foot Patrol, (2) Mobile Patrol, (3) Boot Patrol, (4) Fixed Post Patrol, (5) Clock and Clockwise Patrol, (6) Block Patrol, (7) Ambush Patrol, (8) Dise Patrol.

বাংলাদেশ পুলিশের প্রশাসনিক স্তর বা অঞ্চলগুলো কয়ভাগে বিভক্ত ও কি কি?
— চারভাগে। যথা : রেঞ্জ, জেলা, সার্কেল ও থানা প্রশাসন।

বাংলাদেশ পুলিশের বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো


Post a Comment (0)
Previous Post Next Post