আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পুলিশ
(তথ্য আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত)
বাংলাদেশ পুলিশ বিদেশে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে নিয়োজিত হয়ে কার তত্ত্বাবধানে কাজ করে?
— জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী।
বর্তমানে শান্তিরক্ষা মিশনে অবদানের দিক থেকে বাংলাদেশ পুলিশের অবস্থান কত?
— চতুর্থ।
বাংলাদেশ পুলিশ এ যাবৎ জাতিসংঘের কতটি মিশনে অংশ নিয়েছে?
— ২২টি।
বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কত জন সদস্য কাজ করছে?
— ৬৫৪ জন।
বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যোগ দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ আগস্ট ১৯৯২।
কতজন পুলিশ সদস্য ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত জাতিসংঘ মিশন সম্পন্ন হয়েছে?
— ১৯,৬৬৮ জন।
হাইতি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের দলটিকে পাঠানো হয় কবে?
— ২ অক্টোবর ১৯৯৪।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মশনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ পুলিশের কত সদস্য শহিদ হন?
— ২১ জন।
বসনিয়ায় এক বছরের জন্য পুলিশ মনিটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ পুলিশের ১০ জন অফিসারকে পাঠানো হয় কবে?
— ১৮ অক্টোবর ১৯৯৬।
অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কতজন সদস্য প্রেরিত হয়?
— ৫ জন।
অ্যাঙ্গোলা শান্তিরক্ষা মশনে পুলিশ দলকে কবে পাঠানো হয়?
— ২১ অক্টোবর, ১৯৯৬।
সর্বশেষ কোথায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীতে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে নিয়োগ করা হয়?
— মালি।
বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশ জাতিসংঘের কতটি শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত আছে?
— ৪টি দেশে।
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কোন দেশে অংশগ্রহণ করে?
— পূর্ব তিমুর।
বাংলাদেশ মহিলা পুলিশ দল কবে পূর্ব তিমুরে যাত্রা করে?
— ৭ ডিসেম্বর ২০০০।
বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা
— আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।
ইন্টারপোল নামকরণ হয়েছে কিভাবে?
— Interpol নামকরণ করা হয়েছে International এর Inter এবং Police এর Pol নিয়ে।
আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থাটির পুরো নাম কি?
— International Criminal Police Organization সংক্ষেপে ICPO
ইন্টারপোল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?
— ১৯২৩ সালে।
ইন্টারপোলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশ কতটি?
— ৫০টি।
প্রতিষ্ঠালগ্নে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায় ছিল?
— অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায়।
ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কখন ভিয়েনা থেকে প্যারিসে স্থানান্তর করা হয়?
— দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়।
বর্তমানে ইন্টারপোলের সদর দপ্তর কোথায়?
— ফ্রান্সের লিওঁতে।
ইন্টারপোল পরিচালিত হয় কোন কমিটির মাধ্যমে?
— ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি’ নামক একটি কমিটির মাধ্যমে।
ইন্টারপোলের প্রধান কাজগুলো কি কি?
— সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অপরাধ বিষয়ক বিবিধ তথ্য, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, মাদকদ্রব্যের চোরাচালান এবং অন্যান্য আন্তঃমহাদেশীয় অপরাধ সম্পর্কিত খবরাখবর বিনিময়।
বাংলাদেশ পুলিশ কবে ইন্টারপোলের সদস্য হয়?
— ১৯৭৬ সালে।
ICPC কি?
— একটি আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা।
ইন্টারপোলের অফিসিয়াল ভাষা কয়টি ও কি কি?
— চারটি। যথা- ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ ও আরবি।
ইন্টারপোলের সদস্য দেশের সংখ্যা কত?
— ১৯৪টি।
ইন্টারপোল কর্তৃক প্রকাশিত পত্রিকার নাম কি?
— International Criminal Police Review
স্বাধীনতা যুদ্ধে পুলিশ
ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটি কি উদ্দেশ্যে নির্মাণ করা হয়?
— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকবাহিনীর আক্রমণে নিহত পুলিশের স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধের নির্মাণ কাজ কখন শেষ হয়?
— ১৯৮৯ সালে।
রাজারবাগ পুলিশ লাইনের স্মৃতিসৌধটির স্থপতি কে?
— মোস্তফা হারুন কদ্দুস হিলি।
স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত পুলিশ কতজন?
— ২ জন (বীরপ্রতীক)।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)
সন্ত্রাস দমনে এলিট বাহিনী র্যাব কবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে?
— ২৬ মার্চ ২০০৪।
কোন অধ্যাদেশ সংশোধন করে র্যাব গঠন করা হয়?
— ১৯৭৯ সালের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন অধ্যাদেশ।
র্যাব কার অধীনে গঠন করা হয়?
— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের অধীনে।
কোন কোন বাহিনীর সমন্বয়ে র্যাব গঠিত?
— সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
র্যাব কবে থেকে পূর্ণাঙ্গভাবে অপারেশন শুরু করে?
— ২১ জুন ২০০৪।
র্যাবের স্নোগান কি?
— বাংলাদেশ আমার অহংকার।
RAB-এর পূর্ণরূপ কি?
— Rapid Action Battalion
র্যাব বিধি অনুসারে কোন বাহিনীর কত শতাংশ জনবল নিয়ে র্যাব গঠিত হবে?
— পুলিশ ৪৪%, সশস্ত্রবাহিনী ৪৪%, বিজিবি ৬%, আনসার ও বিজিপি ৪%, কোস্টগার্ড ১% এবং বেসামরিক প্রশাসন থেকে ১%।
র্যাবের প্রথম মহাপরিচালক কে?
— আনোয়ারুল ইকবাল।