ভূমিকা : সন্ত্রাস বর্তমানে আমাদের দেশের একটি ভয়াবহ সমস্যায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোথাও না কোথাও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটেই চলছে। সম্প্রতি সন্ত্রাস কোনো সীমাবদ্ধ গণ্ডির মধ্যে আটকে নেই, সারা দেশ জুড়ে এর সহিংস বিস্তার ঘটেছে। সরকারি অফিস, শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, ব্যক্তিজীবন কিছুই আজ সন্ত্রাসী থাবা থেকে মুক্ত নয়। সন্ত্রাসীদের নির্বিচার অস্ত্রের আঘাত থেকে নিরীহ শিশু, মেধাবী ছাত্র, সাধারণ ব্যবসায়ী, বিত্তবান শিল্পপতি, কৃতি অধ্যাপক, লেখক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ, পথচারী এমনকি বিদেশি রাষ্ট্রদূতের মতো লোকও সন্ত্রাসীদের থাবার শিকার। বোমাবাজির মতো ভয়াবহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মুহূর্তের মধ্যে ছিনিয়ে নিচ্ছে শত শত মানুষের অমূল্য জীবন, ভেঙে দিচ্ছে তাদের সাজানো সংসার। চারদিকে সন্ত্রাসী তৎপরতা এমনভাবে অক্টোপাসের মতো আকড়ে ধরেছে যে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ঘরে ফেরার নিশ্চয়তা কারোর নেই। মানুষ আজ সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাসের নগ্ন ছোবল থেকে আজ আর কেউই নিরাপদ নয়। এ কারণে আজ সর্বমহল থেকে দাবি উঠেছে, ‘সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ চাই’।
সন্ত্রাস কী : ‘সন্ত্রাস’ শব্দের অর্থ অত্যধিক ভয়, প্রভূত শঙ্কা ও ভীতিপূর্ণ পরিবেশ। স্বাভাবিকভাবে যে পরিবেশ বজায় নেই, অর্থাৎ একটি ত্রাস বা ভিতীকর পরিবেশের সৃষ্টি করেছে এমন একটি উপসর্গ। এভাবেই বলা যায়, মানুষ যখন স্বেচ্ছাচারিতার প্রকাশ ঘটিয়ে অন্যায়ভাবে নীতিকে লঙ্ঘন করে কিংবা মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার করে বা ভীতিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে কোনো কাজ করে ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করে তাই সন্ত্রাস। বস্তুত সন্ত্রাস একটি ব্যাপক ও জটিল প্রত্যয়। সন্ত্রাসের গতিপ্রকৃতি বহুমুখী এবং বিচিত্র বলে এর সংজ্ঞা নিরূপণ জটিল কাজ। সন্ত্রাস সমাজের প্রচলিত নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধের পরিপন্থী বিশেষ ধরনের অপরাধমূলক আচরণ। সন্ত্রাসের সাথে পেশা, ক্ষমতা, সুযোগ-সুবিধা, পদবী প্রভৃতি অপব্যবহার সংশ্লিষ্ট।
সন্ত্রাসের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও সমাজে সন্ত্রাসের প্রভাব : সন্ত্রাসের কবলে পড়ে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে দেশ। সম্প্রতি সন্ত্রাস নতুন মাত্রা পেয়েছে। সহিংস সন্ত্রাসের সাথে যোগ হয়েছে বোমাবাজি, অতি সম্প্রতি গ্রেনেড হামলা, আত্মঘাতি বোমাবাজি, পেট্রোল বোমা ইত্যাদি। এই তো কিছুদিন আগে পর্যন্ত আমাদের দেশে আমরা সন্ত্রাসী শব্দটা ব্যবহার করে আসছি ছিঁচকে ছিনতাইকারী, পটকা ফোটানোওয়ালা, বড়জোর দাগি খুনি-চাঁদাবাজদের বোঝাতে। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসবাদ বলতে যা বোঝায়, তার কোনো অস্তিত্ব এ দেশে ছিল না। এমনকি যখন উদীচীর সম্মেলনে কিংবা ছায়ানটের আসরে বোমা পড়ল, তখনো এটাকে একটা বিচ্ছন্ন তৎপরতা বলেই অনেকে হালকাভাবে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু যখন বোমা পড়েছে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের ওপর, বোমা পড়েছে জাতীয় নেতৃবৃন্দের ওপরে, মাজার, সিনেমা হল, গির্জা, আহমদিয়া মসজিদ, পূজার মণ্ডপ, বৌদ্ধবিহার ইত্যাদির ওপর, তখন আমরা কিছুটা সচেতন হই। সর্বশেষ হলি আর্টিজন বেকারিতে হামলার পর বুঝতে পারি আমরা ঢুকে পড়েছি সন্ত্রাসবাদের সর্বনাশা অগ্নিগোলকের ভেতর। এর আগে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এ দেশ ছেড়ে গেছেন। আর কত না সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী পালিয়ে যাচ্ছে আসার আগেই।
আমাদের সবকিছু নিয়ে আমাদের সহস্র বছরের ইতিহাস, আমাদের ভাষা-সঙ্গীত-সাহিত্য, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা, আমাদের মধুসূধন, রবীন্দ্র-নজরুল, বেগম রোকেয়া, লালন, আমাদের পীর-দরবেশ-আউলিয়া, আমাদের সকল রাজনৈতিক দল চৌদ্দ কোটি মানুষকে সন্ত্রাস নামের একটি মহাব্যাধিতে গ্রাস করতে চলেছে। আমরা এটা সহ্য করতে পারব না। এত গরিব দেশ, এত দুর্বল অর্থনীতির একটা দেশের পক্ষে সন্ত্রাসবাদের বিলাসিতা সাজে না। আমরা এর প্রতিকার চাই, সন্ত্রাসমুক্ত সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে চাই। বাংলাদেশ একটি দরিদ্র কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ। দারিদ্র বিমোচন করে ব্যাপক উন্নয়ন এর লক্ষ। এই দেশ আগুনে পুড়ে যাওয়া জনবসতির মতো ছাই ভস্ম আর পোড়া কাঠ নিয়ে পড়ে থাকবে বিরানভূমির মতো, এই দেশের কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না, এটা আমরা মানতে পারি না। তীব্র ভাষায় আমরা এর প্রতিবাদ করছি।
সন্ত্রাসের কারণ ও রোধ করার উপায় : এখন এটি আর কারো অজানা নয় যে, রাজনৈতিক দলের পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই সন্ত্রাস ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। ১ জানুয়ারি, ২০০৫, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তেও এর পক্ষেই মত দেওয়া হয়েছে, বলা হয়েছে যে, ‘এ কথা অস্বীকার করা যাবে না যে, অস্ত্রের রাজনীতি চালু করার পশ্চাতে বর্তমান রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবদানও কম নয়- প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলও এ-প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত। রাজনৈতিক নেতারা নিজেরাও সশস্ত্র ক্যাডার পালন করেন। আমাদের বৃহত্তম দুটি রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ পৃথকভাবে দেশে অব্যাহত সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে কিছু করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সঠিক রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের স্বাক্ষর রাখতে হবে। আমরাও বলি শুধু দুই প্রধান দলের বিবাদ, মারামারি, হানাহানির কারণেই এ সন্ত্রাসের হাত থেকে মুক্তি পাচ্ছি না। বর্তমান ধারার অদূরদর্শী রাজনীতি চলতে থাকলে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ও হিংস্রতা আরও তীব্র এবং অধিকতর ব্যাপক হবার আশঙ্কা বেশি থাকবে। সন্ত্রাসরোধে তাই সুস্থধারার রাজনীতির কোনো বিকল্প নেই। বোমাবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার ভয়াবহ পরিণতি হতে রাজনৈতিক নেতা ও জনগণকে রক্ষা করতে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অবসানের জন্য আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই একমাত্র পথ। আর সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গড়ে তুলতে হবে সন্ত্রাস বিরোধী ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন। তবেই আমরা সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে এগিয়ে যেতে পারব। এছাড়া সন্ত্রাসের অন্যান্য যেসব কারণ রয়েছে এবং তা কীভাবে রোধ করা যায় তার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দিক আলোচিত হল:
- অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতি, লোভ-লালসা, স্বেচ্ছাচার যখন সমাজে মাথাচারা দিয়ে ওঠে, তখন সে সমাজে নিয়ম-নীতি হারিয়ে যায়। ফলে মানুষের মধ্যে হতাশা, নৈরাশ্য বাড়তে থাকে, সমাজে দেখা দেয সন্ত্রাসী কার্যকলাপ।
- সুশাসনহীন সমাজ আসলে শাসনহীন সমাজ অর্থাৎ নৈরাজ্য। শাসন বলতেই আমরা সুশাসন বুঝে থাকি। সুশাসনের অভাবে সমাজে দেখা দিচ্ছে নৈরাশ্য ও হতাশা। মানুষ আজ চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছে নানা অন্যায়-অবিচার। তার কোনো প্রতিকার নেই। সমাজে অনিয়ম-দুর্নীতি বাড়ছে, সবল দুর্বলের ওপর চালাচ্ছে নিপীড়ন-নির্যাতন, অন্যায়-অসততা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি সমাজ জীবনকে করে তুলেছে দুর্বিষহ, বিভীষিকাময়। সুশাসন অর্থাৎ শাসনের অভাব ঘটলে, নিয়মনীতি লংঘিত হলে সমাজ তথা রাষ্ট্রীয় জীবনে এ ধরনের উপসর্গ প্রবল হয়ে ওঠে।
- রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে সুশাসন। দেশে নির্বাচন হয় গণতন্ত্রের জন্য, ক্ষমতার জন্য নয়। কিন্তু আমরা দেখি তার বিপরীত। ক্ষমতার জন্য ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী পথ বেছে নিতে কেউ দ্বিধা করে না।
- শাসনকার্যের একটি বড়ো স্তম্ভ প্রশাসনিক কাঠামো। কিন্তু নানা কারণে সিভিল প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতাও প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। নিম্নমানের প্রশাসনিক ব্যবস্থা জনগণকে উপহার দিচ্ছে দুর্ভোগ ও দুর্গতি। এ প্রশাসনিক দুর্বলতা ও অব্যবস্থার কারণেই প্রশাসনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি ও অনিয়ম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমাজে নানা ধরনের সংকটও দেখা দিচ্ছে। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানিসহ বিভিন্ন অপরাধের কোনো কূলকিনারা হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ হয়ে পড়ছে অসহায় ও বিপন্ন।
- রাষ্ট্র পরিচালনায় সাধারণ মানুষের প্রতি যে দায়িত্ববোধ থাকে তার অভাব দিনের পর দিনই প্রকট হয়ে উঠছে। দেশ ও সমাজের এই অবস্থাকে পাশ কাটিয়ে বাহ্যিক আড়ম্বর ও চাকচিক্য বাড়ানো যেমন অবান্তর তেমনি নতুন পথের সন্ধানে সমাজের উন্নতির চিন্তাও অবান্তর। সমাজকে উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হলে সর্বস্তরে সর্বাগ্রে সুশাসনের নিশ্চয়তা বিধানই হবে প্রধান কর্তব্য।
- সন্ত্রাস বন্ধ করতে হলে ক্ষমতার অপব্যবহার, সেচ্ছাচারিতা ও বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে হবে।
সন্ত্রাসরোধে মানবিক চেতনা : একুশ শতকের বাংলাদেশে এতো উন্নতি ও সাফল্যের পরও মানুষ যেন সে অর্থে কোনো স্বস্তি খুঁজে পায় না। স্বাধীনতার পর মানুষের অর্জন অনেক। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই অর্জন সে নিজেই মূল্যহীন করে তুলেছে। যা ছিলো সুখের ও আনন্দের তাকেই করে তুলেছে দুঃখের ও আতংকের। অথচ মানুষ এই দেশকে দেখতে চেয়েছিলো আলোকিত, দেখতে চেয়েছিলো উন্নত মানবিক গুণসম্পন্ন। কিন্তু সে আজ ক্রমেই এক ‘অদ্ভুত আঁধারে’ ঢেকে যাচ্ছে। তাই আমরা যারা দেশকে আলোকিত দেখতে চেয়েছিলাম তারা অসহায় চোখে তাকিয়ে দেখতে পাচ্ছি দেশের এই অন্ধকার, সমূহ অন্ধকার। মানবাধিকার, সুশাসন ও মানবিক সমাজ প্রকৃত অর্থে ক্রমেই যেন অকল্পনীয় হয়ে উঠেছে। মানুষ আশা করেছিলো নতুন সূর্যোদয়, অথচ দেখতে পাচ্ছে দীর্ঘ অমা রাত্রি। দেশ স্বাধীনের পর যে শান্তি ও উন্নত মানবিক পরিবেশ আশা করা গিয়েছিলো, যার জন্য বিরামহীনভাবে চেষ্টা চালিয়েছিলেন এ দেশের জনগণ সর্বোপরি ত্রিশ লক্ষ শহীদ মুক্তিযুদ্ধা, দেখা যাচ্ছে সেই প্রয়াস সফল হয় নি, এই দেশ শংকামুক্ত হয় নি আজো। তাই আমরা যে আলো কমে আসার কথা শুনি, তখন স্বভাবতই মনে হয়, শুধু বাইরের আলোই তো নয়, তার মনের আলোও কমে আসছে। আর এটাই আরো বেশি দুশ্চিন্তার। মানুষের অপরিণামদর্শিতাই এভাবে মানুষকে এই ভয়াবহ পরিণতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মানুষ আজ নিজেই প্রতিষ্ঠা করে চলেছে ভয়ের সাম্রাজ্য, ভীতিররাজত্ব, দেশের আলোকিত নবপ্রভাতকেই একশ্রেণির মানুষ আজ রাত্রির অন্ধকারে ঢেকে দিচ্ছে। আর তাই তার পরিণতি বুঝি অনিশ্চিত অন্ধকারের পথে যাত্রা।
দেশের এই ঘনায়মান অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন জাগে, শেষ পর্যন্ত কি সব আলোই নিভে যাবে? কোনো বিশ্বাসই কি থাকবে না। তা কী করে হয়? মানুষের ওপর তো বিশ্বাস হারানো চলে না। শেষ পর্যন্ত যত দুর্যোগই আসুক মানবতা ও মনুষ্যত্বের ওপরই আস্থা রাখতে বলেছেন রবীন্দ্রনাথ। এ যুগে কথাটার মূল্য কথাটার মূল্য অপরিসীম। ইমানুয়েল কান্টও অন্তরের এই গভীরতম বিশ্বাসের কথাই বলেছেন। তিনি বলেছেন, জাগিয়ে তুলতে হবে অন্তরের নীতিবোধগুলো (Moral Laws Within)। কিন্তু সেখানে প্রশ্ন আছে, জিজ্ঞাসা আছে, সংশয়ও আছে। নিরন্তর এই জিজ্ঞাসা, এই সংশয়, এই অনুসন্ধান, এই প্রশ্নবাদিতা, তবেই তো এগিয়ে যাবে এই দেশ, কাটবে তার অন্ধকার। এত অন্ধকারের মাঝেও সেই আশাতেই তো বুক বেঁধে থাকা।
উপসংহার : আসুন আমরা একটা স্বপ্ন দেখি। আমাদের নেতারা আগুন নিয়ে এই আত্মহননের খেলার শেষপ্রান্তে এসে ঘুরে দাঁড়াবেন। তারা এক্ষুনি বন্ধ করবেন এই সন্ত্রাসের উৎস। সন্ত্রাসবাদীদের উচ্ছেদ করবেন সমূলে। এখনই। দেশ আজ ভয়ানক বিপদের মধ্যে। তা থেকে দশটাকে তারা ঘুরিয়ে নিয়ে আসবেন উন্নতির দিকে। আমাদেরকেও এ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। পতনের শেষ বিন্দুসীমায় দাঁড়িয়ে আসুন আমরা ফিরে দাঁড়াই। ঘুরে পথ চলতে শুরু করি। আসুন আমরা একটা স্বপ্ন দেখি। আগামী ৩০ বছরের মধ্যে আমরাও হব পৃথিবীর এক সেরা দেশ। যেদিন আমরা সত্যিকার গর্বভরে গাইতে পারব: সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি।