চাকমা
চাকমা সমাজের প্রধান কে? – চাকমা রাজা।
‘পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি’ সংগঠনটি গঠন করেন কে? – কামিনী মোহন দেওয়ান (১০১৭) [সূত্র : আদিবাসী জনগোষ্ঠী, এশিয়াটিক সোসাইট]
পার্বত্য চট্টগ্রাম জেলা গঠন করা হয় কবে? – ১৮৬০ সালে।
পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্কেল কতটি? – ৩টি (চাকমা সার্কেল, বোমাং সার্কেল ও মং সার্কেল)
চাকমা সার্কেলের প্রধান কে? – চাকমা রাজা।
বোমাং সার্কেলের প্রধান কে? – বোমাং রাজা।
মং সার্কেলের প্রধান কে? – মং রাজা।
চাকমারা গ্রামকে কী বলে? – আদাম।
চাকমারা গ্রামের প্রধানকে কী বলে? – কার্বারী।
ত্রিপুরা
ত্রিপুরারা কোন ভাষায় কথা বলে? – কক-বরক্।
ত্রিপুরাদের জাতিসত্তা কতটি দফা বা গোত্রে বিভক্ত? – ৩৬টি।
ত্রিপুরাদের প্রধান উৎসবের নাম কী? – বৈসু (Bwisu)। অন্যান্য উৎসব হলো-কের, গোমতী পূজা, খাচীপূজা, হাবা, রাজপূন্যাহ, কাথারক, চুমলাই।
ত্রিপুরা রমণীদের জাতীয় পোশাক কী? – রিনাই ও রিসা।
মারমা
মং সার্কেলের প্রধান কে? – মং রাজা বা মং চীফ।
মারমাদের লিপিতে বর্ণ সংখ্যা কত? – ৪৫টি (এর মধ্যে ব্যঞ্জন বর্ণ ৩৩টি ও স্বরবর্ণ ১২টি)।
মারমাদের প্রধান পেশা কী? – জুম চাষ।
রাখাইন
রাখাইনদের আদিনিবাস কোথায় ছিল? – আরাকান (মিয়ানমার)।
বাংলাদেশী অনেকে রাখাইনদেরকে কী বলে অভিহিত করে? – মগ।
জলকেলি কাদের উৎসব? – রাখাইন।
রাখাইনদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব কী? – বুদ্ধপূর্ণিমা।
সাঁওতাল
সাওতালরা তাদের বসবাসের নির্দিষ্ট এলাকাকে কী বলে অভিহিত করে? – দেশ।
সাঁওতালদের বিচারব্যবস্থার সর্বোচ্চ আদালত এর নাম কী? – ল’বীর বা জঙ্গল মহাসভা।
চাঁপাই নবাবগঞ্জের নাচোলে কৃষক বিদ্রোহ করে সংগঠিত হয়? – ১৯৫০ সালে।
সাঁওতালদের সমাজে কোন বিবাহের প্রচলন রয়েছে? – বিধবা বিবাহ।
সাঁওতালী ভাষায় বিধবাকে কী বলা হয়? – রাণ্ডি।
সাঁওতালদের প্রধান উৎসব কী? – সোহারাই উৎসব।
সাঁওতালদের ভাষার নাম কী? – সাঁওতালী (এর কোনো লিখিত বর্ণমালা নেই)।
মণিপুরী
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীরা কোন ভাষাভাষী? – ইন্দো-এশিয়ান।
মৈ তৈ মণিপুরী কোন জনগোষ্ঠীর লোক? – মঙ্গোলীয়।
মণিপুরীদের প্রধান উৎসব কী? – রাসোৎসব (মহা রাস লীলা)।
বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে, কোথায় পরিভ্রমণ করতে এসে মণিপুরীদের রাসনৃত্য উপভোগ করেন? – ১৯১৯ সালে; শ্রীহট্টে (বর্তমান সিলেট)।
মণিপুরী ললিতকলা একাডেমী কবে, কে স্থাপন করেন? – ১৯৭৬-৭৭ সালে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
কবে, কোথায় ‘ভানুবিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী কৃষক প্রজা আন্দোলন’ সংগঠিত হয়? – ১৯৪০ সালে; কমল গঞ্জ, সিলেট।
গারো
গারোদের ঐতিহ্যবাহী চাষ পদ্ধতি কী? – জুমচাষ।
গারোদের ভাষার স্থানীয় নাম কী? – মান্দি ভাষা বা গারো ভাষা।
পাঙন
পাঙনদের সৃষ্টিকর্তা কে? – আল্লাহ।
পাঙনদের ধর্মীয় গ্রন্থ কী? – কুরআন শরীফ।
পাঙন সমাজ কোন তান্ত্রিক? – পিতৃ তান্ত্রিক।
পাঙনদের ধমীয় উৎসব কী? – ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, শব-ই-বরাত, শব-ই-কদর প্রভৃতি।
পাঙনরা কোন ভাষায় কথা বলে? – মৈ তৈ মনিপুরীদের ভাষায়।
হাজং
হাজংরা কোন ধর্মে বিশ্বাসী? – হিন্দু।
কোন উপজাতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ, বহু বিবাহ ও বিধবা বিবাহের প্রচলন রয়েছে? – হাজং।
খিয়াং
খিয়াংরা নিজেদের কী বলে? – হ্যউ (Hiou)।
খিয়াংরা কোথায় থেকে এসেছে? – আরাকান-ইয়োমা উপত্যকা হতে এসেছে।
খিয়াংরা ঈশ্বরকে কী বলে? – হ্নাদাগা।
খিয়াংদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব কী? – সাংলান।
খাসিয়া
খাসিয়া গ্রামগুলো কী নামে পরিচিত? – পঞ্জি।
খাসিয়া সমাজ কীরূপ? – মাতৃতান্ত্রিক।
খাসিয়াদের প্রধান দেবতার নাম কী? – উব্লাই নাংথউ।
কোন ক্ষুদ্র জাতিসত্তা পিতাকে দেবতা মনে করে পূজা করে? – খাসিয়ারা।