ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন/স্থাপনা
সোমপুর বিহার কোথায় অবস্থিত? – পাহাড়পুর।
শালবন বিহার কোথায়? – কুমিল্লার ময়নামতি পাহাড়ের পাশে।
আনন্দ বিহার কোথায় অবস্থিত? – ময়নামতি।
বাংলাদেশের প্রাচীনতম ঐতিহাসিক স্থান হলো - মহাস্থানগড়।
মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত? – করতোয়া।
বাংলাদেশে হিন্দুদের একটি তীর্থস্থান – লাঙ্গলবন্ধ।
ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের সংখ্যা কত? – ৮৩টি (মতান্তরে ৮৭টির উল্লেখ পাওয়া যায়)।
লালবাগ কেল্লায় নির্মিত সুন্দর সমাধি স্থলটি কার? – পরী বিবি বা বিবি পরী (আসল নাম ইরান দুখ্ত)।
রামসাগর কোথায় অবস্থিত? – দিনাজপুরে।
কুসুম্বা মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – নওগাঁ জেলার মান্দা থানায়।
সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত? – সঙ্গোপসাগরে।
মহাস্থানগড়
বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহর পুন্ড্রবর্ধনের বর্তমান নাম কী? – মহাস্থানগড়।
মহাস্থানগড় কী জন্য বিখ্যাত? – বাংলাদেশের প্রাচীন নগর পুন্ড্রবর্ধনের ধ্বংসাবশেষ এবং মৌর্য ও গুপ্ত রাজবংশের পুরাকীর্তির জন্য।
লক্ষ্মীন্দরের মেধ কোথায় অবস্থিত? – মহাস্থানগড়ে।
পরশু রামের প্রাসাদ ও সভাবাটী কোথায় অবস্থিত? – মহাস্থানগড়ে।
গোবিন্দ ভিটা কোথায় অবস্থিত? – মহাস্থানগড়।
ভাসু বিহার কোথায় অবস্থিত? – মহাস্থানগড়।
প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মহাস্থানগড় কোথায় অবস্থিত? – বগুড়া জেলায়।
মহাস্থানগড় কোন নদীর তীরে অবস্থিত? – করতোয়া।
বৈরাগীর ভিটা/খোদার পাথর ভিটা কোথায় অবস্থিত? – বগড়া জেলার মহাস্থানগড়ে।
মহাস্থানগড়ে কোন যুগের শিলালিপি পাওয়া যায়? – মৌর্য যুগের।
পাহাড়পুর/সোমপুর বিহার
পাহাড়পুরের বৌদ্ধ বিহারটি কী নামে পরিচিত? – সোমপুর বিহার। [বর্তমান নাম]
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার (সোমপুর বিহার) কোথায় অবস্থিত? – নওগাঁ জেলায়।
সোমপুর বিহার কে নির্মাণ করেন? – রাজা ধর্মপাল (৭৭—৮৯০ খ্রিঃ), পালবংশীয় রাজা।
সোমপুর বিহারের খনন কাজ প্রথম কে, কবে শুরু করেছিলেন? – ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে স্যার কানিংহাম নামক একজন ইংরেজ পণ্ডিত।
সোমপুর বিহারের এত গুরুত্ব কেন? – পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহারগুলোর মধ্যে এটি একটি এবং একক বিহার হিসেবে এটিকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বৌদ্ধ বিহারও বলা যায়।
সোমপুর বিহারে কয়টি শিলালিপি পাওয়া যায়? – ৪টি। (মূর্তি-৬৩টি, ধাতুর তৈরি মুদ্রা-৫টি।)
সোমপুর বিহারে মোট কতটি কামরা রয়েছে? – ১৭৭টি।
সোমপুর বিহারে কোন যুগের তাম্রলিপি পাওয়া যায়? – গুপ্ত যুগের (৪৭৯ খ্রিঃ)।
সত্যপীরের ভিটা কোথায় অবস্থিত? – নওগাঁ জেলার সোমপুর বিহারের ৩০০ গজ পূর্বদিকে।
ময়নামতি
কার নামনুসারে ময়নামতির নামকরণ করা হয়? – রাজা মানিকচন্দ্রের স্ত্রী মায়নামতির নামে।
ময়নামতির পূর্ব নাম কী? – রোহিতগিরি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রত্মতাত্ত্বিক জাদুঘর কোনটি? – কুমিল্লার ময়নামতি যাদুঘর, ১৯৫৫ সালে নির্মিত।
শালবন বিহার সৃষ্টি করেন কে? – ভবদের (খ্রিষ্টিয় ৮ম শতকে)।
শালবন বিহার কোথায় অবস্থিত? – কুমিল্লার ময়নামতিতে।
শালবন বিহারে কতটি প্রত্নতত্ত্ব পাওয়া গেছে? – ১১৫টি।
ময়নামতিতে বৌদ্ধ সভ্যতার খনন কাজ করা হয় কখন? – ১৯৫৫ সালে।
আনন্দ বিহার কোথায় অবস্থিত? – শালবন বিহারের দুই মাইল উত্তরে (কুমিল্লা জেলার) ময়নামতিতে।
কুমিল্লার ময়নামতিতে অবস্থিত আনন্দ বিহারের খনন কাজ শুরু হয় কখন? – ১৯৭৬ সালে।
রাণীর বাংলা বিহার, ভোজ রাজার বিহার, কুটিলা মুড়া, বৈরাগীর মুড়া কোথায় অবস্থিত? – ময়নামতিতে।
সীতাকোট বিহার
সীতাকোট বিহার কোথায় অবস্থিত? – দিনাজপুর।
বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন কে? – সুবাদার ইসলাম খান।
সীতাকোট বিহারের খনন কাজ কবে শুরু হয়? – বেসরকারিভাবে ১৯৬৮ সালে এবং সরকারিভাবে ১৯৭৩ সালে।
সোনারগাঁও
বাংলার রাজধানী সোনারগাঁ স্থাপন করেন কে? – ঈসা খাঁ।
প্রাচীন ঐতিহাসিক সোনারগাঁও কোথায় অবস্থিত? – ঢাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে নারায়ণগঞ্জে।
কার নামানুসারে সোনারগাঁও নামকরণ করা হয়? – ঈশা খাঁর স্ত্রী সোনাবিবির নামে।
ইসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী ও দুর্গের জন্য বিখ্যাত – জামালপুর।
কোন আমলে সোনারগাঁও বাংলাদেশের রাজধানী ছিল? – মুঘল আমলে। [বার ভূঁইয়াদের]।
গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের কবর ও পাঁচ পীরের মাজার কোথায় অবস্থিত? – সোনারগাঁয়ে।
সোনারগাঁয়ের পূর্বে বাংলার রাজধানী ছিল কোথায়? – মহাস্থানগড়ে।
সোনারগাঁয়ের চারদিকে চারটি নদীর নাম কী কী? – মেঘনা, ব্রহ্মপুত্র, ইছামতি, শীতলক্ষ্যা।
কোন পর্যটন ১৩৪৫ সালে সোনারগাঁও ভ্রমণ করেন? – ইবনে বতুতা (উত্তর আফ্রিকার মরক্কোর অধিবাসী)।
সোনারগাঁও থেকে মধ্য এশিয়া (পাঞ্জাবের সিন্ধু প্রদেশ) পর্যন্ত বিখ্যাত রোডের নাম কী? – গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড (শেরশাহ কর্তৃক নির্মিত)।
বাংলাদেশের একমাত্র লোক শিল্প যাদুঘরটি কোথায় অবস্থিত? – সোনারগাঁও (বর্তমান নাম জয়নুল লোক ও কারুশিল্প যাদুঘর)।
পানাম নগর কোথায় অবস্থিত? – সেনারগাঁও (সোনারগাঁও যাদুঘর এলাকা)।
রূপসী বাংলা কোথায় অবস্থিত? – সোনারগাঁও যাদুঘর এলাকায়।
সংগ্রাম ভাস্কর্য কোথায় অবস্থিত? – সোনারগাঁও।
মহামুনি বৌদ্ধ বিহারটি কোথায় অবস্থিত? – রাউজানে।
ছোট কাটরা ও বড় কাটরা
ঢাকার ঐতিহাসিক ছোট কাটরা কে নির্মাণ করেন? – শায়েস্তা খাঁ।
ঢাকার ঐতিহাসিক বড় কাটরা কে নির্মাণ করেন? – শাহ সুজা।
সপ্তদশ শতাব্দীতে নির্মিত ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাত গম্বুজ মসজিদের নির্মাতা কে? – শায়েস্তা খাঁ।
সাত গম্বুজ মসজিদের গম্বুজ সংখ্যা প্রকৃতপক্ষে কয়টি? – তিনটি (তবে এর চার কোণায় অর্ধকোণাকার চারটি ফাঁপা মিনার রয়েছে।)
ঘাট গম্বুজ মসজিদ
বিখ্যাত ষাট গম্বুজ মসজিদের নির্মাতা কে? – খান জাহান আলী।
ষাট গম্বুজ মসজিদের গম্বুজের সংখ্যা কত? – ৮৩টি। (মতান্তরে ৮৭টির উল্লেখ পাওয়া যায়)।
লালবাগের কেল্লা
লালবাগ শাহী মসজিদটি কে নির্মাণ করেন? – যুবরাজ মোহাম্মদ আযম।
লালবাগের কেল্লা নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেন কে? – শায়েস্তা খাঁন। (১৬৭৮ সালে।)
লালবাগ কেল্লার পুরাতন নাম কী? – আওরঙ্গবাদ কেল্লা বা আওরঙ্গবাদ দুর্গ।
পরী বিবি কে? – শায়েস্তা খানের কন্যা।
পরী বিবির মাজার কোথায় অবস্থিত? – লালবাগ কেল্লায়।
লাল কেল্লা কোথায় অবস্থিত? – ভারতের দিল্লিতে।
উত্তরা গণভবন
বাংলাদেশের সরকারের উত্তরাঞ্চলীয় সদর দফতর কোনটি? – উত্তরা গণভবন।
উত্তরা গণভাবনের নির্মাতা কে? – রাজা প্রমদা নাথ রায় (১৮৯৭ সালে)।
উত্তরা গণভবনের বিভিন্ন নামকরণ কী কী? – গভর্নর হাউস (১৯৬৭), উত্তরা গণভবন (১৯৭২), দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ভবন (১৯৮০ সাল থেকে)।
উয়ারি-বটেশ্বর
উয়ারি-বটেশ্বর গ্রাম দুটি কোন যুগে গঠিত? – প্লাইস্টোসিন।
উয়ারি-বটেশ্বর কোন নদীর তীরে অবস্থিত? – কয়রা নদী।
উয়ারি-বটেশ্বরের প্রাপ্ত প্রত্নাবশেষ কোন সময়কার? – ৪৫০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের।
উয়ারি-বটেশ্বরে প্রত্নতাত্ত্বিক গুরুত্ব সর্বপ্রথম কে কবে জনসমক্ষে তুলে ধরেন? – মুহাম্মদ হানিফ পাঠান; ১৯৯৩ সালে।
প্রথমে উয়ারি-বটেশ্বর থেকে প্রত্নবস্তু সংগ্রহ এবং গবেষণা শুরু করেন কে? – মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ পাঠান।
আহসান মঞ্জিল
আহসান মঞ্জিল কে, কবে নির্মাণ করেন? – ঢাকার নবাব আব্দুল গণি, ১৮৫৯ সালে আহসান মঞ্জিলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে ১৮৭২ সালে সমাপ্ত হয়।
আহসান মঞ্জিল কার নামানুসারে নামকরণ করা হয়? – নবাব আবদুল গণির পুত্র খাজা আহসান উল্লাহ।
আহসান মঞ্জিল কে নিমার্ণ করেন? – ঢাকার নবাব আঃগণি, ১৮৭২ সালে।
আহসান মঞ্জিলে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয় কবে? – ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৯২।
কত সালে ভয়াবহ টর্নেডোতে আহসান মঞ্জিল ক্ষতিগ্রস্থ হয়? – ১৮৮৮ সালে।
বাহাদুর শাহ পার্ক
(ভিক্টোরিয়া পার্ক)
১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের রক্তস্নাত ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত পার্ক কোনট? – ভিক্টোরিয়া পার্ক। কার নামে এবং কবে ভিক্টোরিয়া পার্কের নামকরণ করা হয় বাহদুরশাহ পার্ক? – মোঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ-এর নামানুসারে; ১৯৫৭ সালে।
ইংল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া কবে ভারতের শাসনভার গ্রহণের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন? – ১৮৫৮ সালে (বাহাদুর শাহ পার্কে)।
১৮৫৭ সালে বিদ্রোহের শতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৯৫৭ সালে এ পার্কে কি নির্মাণ করা হয়? – তৎকালীন ডিআইটি এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন।
ভিক্টোরিয়া পার্ক কোথায় অবস্থিত? – জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল কলেজের সামনে।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার কবে আবিস্কৃত হয়? – ২৩ মার্চ ২০১৩ খ্রি.। (খনন কাজ শুরু ২০১০ সালে)।
কাকে কেন্দ্র করে মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ও রামপাল অঞ্চলে প্রত্ন খনন কাজ শুরু করে? – বৌদ্ধ ধর্মের মহাপুরুষ জ্ঞানতাপস অতীশ দীপঙ্কর।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহারে পাওয়া গ্রাম দুটি কোন যুগে গঠিত? – প্লাইস্টোসিন।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার কোন নদীর তীরে অবস্থিত? – শীতলক্ষ্যা।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার প্রাপ্ত প্রত্নাবশেষ কোন সময়কার? – ১২০০ – ১৩০০ বছর আগের।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহারের সাথে কার গভীর সম্পর্ক রয়েছে? – বৌদ্ধধর্মের মহাপুরুষ অতীশ দীপঙ্করের।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহারে কয়টি ভিক্ষু কক্ষ পাওয়া যায়? – ৫টি (প্রতিটি কক্ষ ৩.৫মি / ৩.৫ মি)।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহারে কী কী পাওয়া যায়? – মৃৎ শিল্প, প্রাচীন শিলা লিপি, ইট, নৌকা ইত্যাদি।
অন্যান্য ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্তিক নিদর্শন
হযরত মোহাম্মদ (সঃ) এর বংশধরদের বাসস্থান - লক্ষ্মীপুরের হায়দারগঞ্জে।
বিখ্যাত সাধক বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) এর মাজার কোথায় অবস্থিত? – চট্টগ্রামে।
হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর মাজার কোথায়? – সিলেটে।
বিখ্যাত সুফী শাহ মখদুম (রহঃ) এর মাজার কোথায়? – রাজশাহীতে।
প্রাচীনকালে ‘সমতট’ বলতে কোন অঞ্চলকে বোঝায়? – কুমিল্লা ও নোয়াখালী।
লালঘাট অবস্থিত - সিলেট।
লালপুর কোন জেলায় অবস্থিত? – নাটোর।
কুষ্টিয়া জেলার “পোড়াদহ” কী জন্য বিখ্যাত? – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুটিবাডির জন্য।
প্রবাল কীটের জীবাশ্ম দ্বারা তৈরি দ্বীপ – সেন্টমার্টিন।
বজরাঁ শাহী মসজিদটি কোথায় অবস্থিত? – নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে।
রামসাগর কে, কখন নির্মাণ করেন? – দিনাজপুরের রাজা (১৭৫০-১৭৫৫ সালে) যুবরাজ রামনাথের নামানুসারে এর নামকরণ করেন।
বাবা আদম শাহীর মাজার কোথায় অবস্থিত? – বগুড়ার আদমদীঘি নামক স্থানে।
মনসা মুড়া কোথায় এবং কী জন্য বিখ্যাত? – চাঁদপুর জেলার কচুয়ায়। কল্পনা করা হয় মনসা দেবী এখানে রাতে বিচরণ করতেন।
আদিনা মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – ভারতের মালদহ জেলার পান্ডুয়াতে।
কান্তজীর মন্দির কোথায় অবস্থিত? – দিনাজপুরে।
কান্তজীর মন্দির কে, কখন নির্মাণ করেন? – দিনাজপুরের জমিদার প্রাণনাথ; ১৭৩২ সালে পোড়ামাটির ইট দিয়ে তৈরী করেন।
প্রাচীন চন্দ্রদ্বীপ এর বর্তমান নাম কী? – বরিশাল।
বাংলাদেশের প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর কোনটি? – রাজশাহীর ‘বরেন্দ্র জাদুঘর’।
বরেন্দ্রভূমি কোথায় অবস্থিত? – উত্তরবঙ্গে (রাজশাহীর দক্ষিণ পশ্চিম পার্শ্বে)।
গৌড়ের সোনা মসজিদ নির্মিত হয় কার আমলে – হোসেন শাহের আমলে।
বড় সোনা মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – গৌড়ে [ভারতের গৌড় জেলায়]।
গৌড়ের কদম রসুল ও বড় সোনা মসজিদ নির্মাণ করেন কে? – নুসরাত শাহ।
বর্তমান বাংলাদেশের কোন অঞ্চল প্রাচীন গৌড় রাজ্যের অধীনে ছিল? – উত্তর বঙ্গ।
পান্ডুয়ার আদিনা মসজিদ কে নির্মাণ করেন? – সেকান্দার শাহ।
বাংলাদেশের সকল সমাধিস্থলের মধ্যে কোনটি সবচেয়ে দামী ও দুর্লভ পাথরে নির্মিত? – লালবাগ কেল্লার পরী বিবির মাজার।
রবীন্দ্রনাথের কুঠিবাড়ির জন্য বিখ্যাত শিলাইদহ কোথায় অবস্থিত? – কুষ্টিয়া জেলায় (পদ্মা নদীর তীরে)।
বিজয় সিংহের দীঘি কোথায় অবস্থিত? – ফেনী জেলায়।
আনন্দ রাজার দীঘি কোথায় অবস্থিত? – কুমিল্লার ময়নামতিতে।
জিন্দাপীরের মসজিদ/মাজার কোথায় অবস্থিত? – বাগেরহাট।
ইদ্রাকপুর দুর্গ কোথায় অবস্থিত? – মুন্সিগঞ্জে।
গান্ধী আশ্রম কোথায় অবস্থিত? – নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জে।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসকে জিয়া স্মৃতি যাদুঘর হিসাবে উদ্বোধন করা হয় কবে? – ৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৩।
ইসলামবাদ বা পেরিটো গ্রানডে কার পূর্ব নাম? – চট্টগ্রামের।
সুবেদারদের সময় শিয়া সম্প্রদায়ের মহররম পালনের জন্য কী নির্মাণ করা হয়? – হোসনী দালান।
বর্তমানে পরিচিত হোসনী দালান কে নির্মাণ করেন? – ঢাকার নায়েবে নাজিম জেসারাত খাঁ।
বিখ্যাত শাহ সুফী আমানত শাহের মাজার কোথায় অবস্থিত? – চট্টগ্রামে।
মুজিব নগর কোথায় অবস্থিত? – মেহেরপুর জেলায়।
বাংলাদেশের কোথায় কমনওয়েলথ সমাধি রয়েছে? – চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায়।
ছোট সোনা মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – চাপাইনবাবগঞ্জে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা ১৯১১ সালে কো স্তম্ভ নির্মাণ করেন? – দরবার স্তম্ভ।
দরবার স্তম্ভ কোথায় অবস্থিত? – সাতক্ষীরা জেলার তালা থানায় কপোতাক্ষ নদের তীরে।
রাজবন বৌদ্ধ বিহারটি কোথায় অবস্থিত? – রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের তীরে।
মাটি খুড়ে কোন বিহার প্রথম আবিষ্কার করা হয়? – পাহাড়পুর (পাহাড়পুরের পর শালবন)।
বাংলাদেশ কোন দেশের সাথে মহাস্থানগড়ে চতুর্থবার খনন কার্য চালায়? – ফ্রান্সের সাথে ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘৯৭।
ফয়েজ লেক কোথায় অবস্থিত? – চট্টগ্রামের পাহাড়তলী (ইংরেজ প্রকৌশলী মিঃ ফয়েজ ১৯২৪ সালে পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় পানি সরবরাহের জন্য নির্মাণ করেন)।
বজরা শাহী মসজিদ কার সময়ে নির্মিত হয়েছিল? – মুর্শিদ কুলী খাঁন।
খোদার পাথর ভিটা কোথায় অবস্থিত? – মহাস্থানগড়ে।
৩৬০ আউলিয়ার শহর কোনটি? – সিলেট।
বারো আউলিয়ার শহর কোনটি? – চট্টগ্রাম।
বৈরাগীর চাল কোথায় অবস্থিত? – গাজীপুরের শ্রীপুরে।
শীলা দেবীর ঘাট কোথায় অবস্থিত? – বগুড়ার মহাস্থানগড়।
রাণী পুকুর কোথায় অবস্থিত? – দিনাজপুর।
বাঘা মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – রাজশাহী।
আতিয়া জামে মসজিদ কোথায় অবস্থিত? – টাঙ্গাইল।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অবস্থিত বজরা শাহী মসজিদটি কে নির্মাণ করেন? – মুর্শিদকুলী খান।
আফগান দুর্গ কোথায় অবস্থিত? – ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে (শেরশাহ কর্তৃক নির্মিত)।
হিন্দুদের অন্যতম তীর্থস্থান লাঙ্গলবন্ধ কোথায় অবস্থিত? – নারায়ণগঞ্জে।
লালন কমপ্লেক্স কোথায় অবস্থিত? – কুষ্টিয়া।
চট্টগ্রামের নাম ইসলামাবাদ রাখেন কে? – শায়েস্তা খান।
প্রাক মোঘল আমলে ঢাকা শহরের প্রাচীনতম মসজিদ কোনটি? – বিনিত বিবির মসজিদ।
মোঘল আমলে ঢাকা শহরে প্রাচীনতম মসজিদ কোনটি? – আওলাদ হোসেন লেনের জামে মসজিদ।
আওলাদ হোসেন লেনের জামে মসজিদের নির্মাতা কে? – সুবেদার ইসলাম খান।
প্রাচীন গৌড় নগরীর অংশ বিশেষ বাংলাদেশের কোন জেলায় ছিল? – চাপাইনবাবগঞ্জ।
জগদ্দল বিহার কোথায় অবস্থিত? – নওগাঁ জেলার ধামাইর হাট থানার জগলদ গ্রামে।
জগদ্দল বিহার খনন কাজ শরু হয় কবে? – ৭ ডিসেম্বর ১৯৯৬ সালে।
ঢাকা তোরণ নির্মাতা কে? – মুঘল সুবেদার মীর জুমলা।
প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন নবরত্ন কোথায় অবস্থিত? – সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
মীর জুমলার কামান কোথায় অবস্থিত? – ওসমানী উদ্যানে।
অযোধ্যা মঠ কোথায় অবস্থিত? – বাগেরহাট।
নীলকরদের অত্যাচার ও নিপীড়নের স্মৃতি গাঁথা ‘নীল সাগর’ জায়গাটি কোথায় অবস্থিত? – নীলফামারী জেলায়।
পুরাতন কীর্তি/নিদর্শন ও অবস্থান
পরশুরামের প্রাসাদ ও সভাবাটী – মহাস্থানগড় (বগুড়া)
লক্ষ্মীন্দরের বাসরঘর – মহাস্থানগড় (বগুড়া)
পুণ্ড্রবর্ধন – মহাস্থানগড় (বগুড়া)
বৈরাগীর ভিটা – মহাস্থানগড় (বগুড়া)
বৈরাগীর চালা – মহাস্থানগড় (বগুড়া)।
শীলাদেবীর ঘাট – মহাস্থানগড় (বগুড়া)।
ময়নামতি – কুমিল্লার কোটবাড়ী।
আনন্দ বিহার – কুমিল্লার ময়নামতি।
ধর্মসাগর – কুমিল্লা।
শালবন বিহার – কুমিল্লার ময়নামতি
কৌটিল্য মুড়া – কুমিল্লা
আনন্দ রাজার দীঘি – কুমিল্লার ময়নামতি।
সীতাকোট বিহার – দিনাজপুর।
কান্তজীর মন্দির – দিনাজপুর।
কসবা মসজিদ – দিনাজপুর।
রামসাগর – দিনাজপুর।
রাণী পুকুর – দিনাজপুর।
সোমপুর বিহার – নওগাঁ জেলার পাহাড়পুর।
জগদ্দল বিহার – নওগাঁ জেলার ধামাইর হাট।
সত্যপীরের ভিটা – নওগাঁ জেলায়।
পাহাড়পুর – নওগাঁ জেলায়।
কুসুম্বা মসজিদ – নওগাঁ।
জয়নুল আবেদিন সংগ্রহ শালা – ময়মনসিংহ।
নজরুলের স্মৃতিময় ত্রিশালের দরিরামপুর – ময়মনসিংহ।
গারো পাহাড় – ময়মনসিংহ।
তিন গম্বুজ মসজিদ – পাবনা।
জগন্নাথ মন্দির – পাবনা।
সোনারগাঁও – নারায়ণগঞ্জ।
লালবাগ দুর্গ – লালবাগ (ঢাকা)
সাতগম্বুজ মসজিদ – ঢাকার মোহাম্মদপুর।
বঙ্গভবন – ঢাকার গুলিস্তান।
মীর জুমলার কামান – ওসমানী উদ্যান।
বিজয় সিংহের দীঘি – ফেনী।
মহামুনি বিহার – রাউজান, চট্টগ্রাম।
বরেন্দ্র যাদুঘর – রাজশাহী।
বাঘা মসজিদ – রাজশাহী।
বিবি মরিয়ম (কামান) – ওসমানী উদ্যান।
তাজহাট রাজবাড়ী – রংপুর।
পানাম নগর – সোনারগাঁও।
বজরা শাহী মসজিদ – বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
ষাট গম্বুজ মসজিদ – বাগেরহাট।
নবরত্ন (প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন) – সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
অযোধ্যা মঠ – বাগেরহাট।
উত্তরা গণভবন – নাটোর।
রামু মন্দির – কক্সবাজার।
ছোট সোনা মসজিদ – চাঁপাইনবাবঞ্জ।
চন্দ্রনাথের পাহাড় – সীতাকুণ্ড।
ঘোড়া দীঘি – বাগেরহাট।
হযরত কুবির শাহের মাজার – নাটোর।
হিন্দুপালের পড় – টাঙ্গাইল।
ইছামতি দীঘি – টাঙ্গাইল।
বিক্রমপুরী বৌদ্ধবিহার – মুন্সিগঞ্জ।
বারদুয়ারী মসজিদ – শেরপুর।
পানিহাটা দীঘি – শেরপুর।
গজনী আকাশ কেন্দ্র – শেরপুর।
রঘুনাথ মন্দির – শেরপুর।
আতিয়া জামে মসজিদ – টাঙ্গাইল।
সাগরদীঘি – টাঙ্গাইল।
ধনবাড়ি মসজিদ – টাঙ্গাইল।
এগার সিন্ধুর – কিশোরগঞ্জ।
নয়আনী জমিদারের নাটমন্দির – শেরপুর।
শাহ ইরানী মাজার – নরসিংদী।
পারুরিয়া ঐতিহাসিক মসজিদ – নরসিংদী।
বালাপুর জমিদার কীর্তি – নরসিংদী।
ঘোড়াশাল সার কারখানা – নরসিংদী।
উয়ারী বটেশ্বর – নরসিংদী।
নবাব মীর জুমলার বাড়ি – যশোর।
১১ দুয়ারি মন্দির – যশোর।
ইমামবাড়ি (হাজী মুহসিন নির্মিত) – যশোর।
ঢাকা তোরণ – ঢঃ বিঃ বিজ্ঞান ভবনের পূর্ব পার্শ্বে এবং ক্যান্টনমেন্ট।
প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার ও তার অবস্থান
শালবন বিহার – কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে অবস্থিত। রাজাধিরাজ ভবদের দ্বারা তৈরি একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
আনন্দ বিহার – কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে রাজা আনন্দ দেব কর্তৃক নির্মিত প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
মহামুণি বিহার – চট্টগ্রামের রাউজানে অবস্থিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহার।
সীতাকোট বিহার – দিনাজপুরে অবস্থিত। বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার।
রাজবন বৌদ্ধ বিহার – রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই হ্রদের তীরে অবস্থিত। প্রাচীন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী স্থান।
জগদ্দল বিহার – নওগাঁ জেলায় অবস্থিত। পাল রাজাদের শাসনামলে নির্মিত একটি বৌদ্ধ বিহার।
ভাসু বিহার – বগুড়া মহাস্থানগড়ে অবস্থিত। প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার বিখ্যাত স্থান।
সীমা বৌদ্ধ বিহার – পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। বৌদ্ধ সভ্যতার বিখ্যাত স্থান।
হলুদ বিহার – নওগাঁ
ভোজ বিহার – কুমিল্লা
বিকক্রামপুরী বৌদ্ধবিহার – মুন্সিগঞ্জ