বিখ্যাত স্থানসমূহ
পূর্বাশা দ্বীপের অপর নাম কী? – দক্ষিণ তালপট্টি।
মুজিবনগর কোন জেলায় অবস্থিত? – মেহেরপুর।
বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন দ্বীপ কোন জেলায়? – কক্সবাজার।
বাকল্যান্ড বাঁধ কোথায় অবস্থিত? – বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে।
উত্তরা গণভবন কোথায় অবস্থিত? – নাটোরে।
মনপুরা : ভোলা জেলার একটি দ্বীপ। ১৯৭০ সালে এক ভয়াল প্রাকৃতি ঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে বহু লোক ও গবাদিপশু মারা যায়। প্রচুর ঘরবাড়ি সমুদ্র ভেসে যায়।
বাকল্যান্ড বাঁধ : ঢাকা শহরকে রক্ষা করার জন্য বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ঘেষে নির্মিত বাঁধ। এটি ব্রিটিশ শাসন আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল।
দহগ্রাম ছিটমহল : লালমনিরহাট জেলায় অবস্থিত, পাটগ্রাম উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর চরে ছয়মাইল দীর্ঘ ও তিন মাইল প্রশস্ত দহগ্রাম ছিটমহল। এর চারপাশে ভারতীয় এলাকা।
তালপট্টি : বাংলাদেশের দক্ষিণ সীমান্তে সাতক্ষীরা জেলার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত দ্বীপ। ভারত-বাংলাদেশের একটি বিরোধপূর্ণ দ্বীপ। ভারত প্রদত্ত এর নাম পূর্বাশা বা নিউমুর।
কুতুবদিয়া : কক্সবাজারের অদূরে বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপ। এটি বাতিঘরের জন্য বিখ্যাত।
আগুনমুখো : পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বাইশদিয়ার উত্তরে পাঁচটি নদীর মিলনস্থলকে ‘আগুনমুখো’ বলে।
সারদা : রাজশাহী শহর থেকে আঠারো মাইল দূরে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। এখানে বাংলাদেশের একমাত্র পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অবস্থিত।
ত্রিশাল : ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত। জাতীয় ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এখানে দরিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছিলেন। এখানে ত্রিশাল ‘নজরুল একাডেমি’ নামে একটি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
কোটবাড়ী : কুমিল্লা জেলায় অবস্থিত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্থান। এখানে প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার বহু নির্দশন পাওয়া গেছে। এই স্থানটি ‘শালবন বিহার’ নামে পরিচিত।
শিলাইদহ : কুষ্টিয়া শহরের অদূরে পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ীর জন্য বিখ্যাত।
তালিবাবাদ : ঢাকা শহরের অদূরে গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। ৮০০ খ্রিষ্টাব্দে ধর্মপালের আমলে নির্মিত। কুঠির ১৮৯টি এবং মুর্তি ৬৩টি রয়েছে। এখানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র ছিল। যা বর্তমানে পরিত্যাক্ত।
মুজিবনগর : মেহেরপুর জেলায় ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। পূর্ব নাম ভবেরপাড়া বৈদ্যনাথতলা। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের শপথ গ্রহণ এখানে অনুষ্ঠিত হয়। এটি স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রথম রাজধানী ছিল।
নিঝুম দ্বীপ : হাতিয়া থেকে ৩০ মাইল দক্ষিণে মেঘনা নদীর মোহনায় অবস্থিত একটি দ্বীপ। এই পূর্ব নাম বালুয়ারচর।
কান্তজীর মন্দির : দিনাজপুর জেলায় অবস্থিত। দিনাজপুর শহর থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ১৭৯৭ সালে এক ভূমিকম্পে এটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায়ই রয়েছে।
চালনা : বাগেরহাট জেলায় পশুর নদীর তীরে অবস্থিত। কর্ণফুলী কাগজ কল ও রেয়ন মিলের জন্য বিখ্যাত।
কাপ্তাই : প্রধান পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। রাঙ্গামাটি জেলায় অবস্থিত। কাপ্তাই কর্ণফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করে সমগ্র বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়।
শালবন বিহার : কুমিল্লার কোটবাড়ির ময়নামতি ও লালমাই পাহাড়ের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত। এটি অষ্টম শতাব্দীতে দেব রাজাদের রাজধানী ছিল। বৌদ্ধ বিহারের ধ্বংসাবশেষ ও সৌধসহ আরও অনেক নিদর্শন রয়েছে।
বঙ্গভবন : ১৯০৫ সাল। পূর্বনাম ছিল গর্ভনর হাউজ (স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত)। বর্তমান নাম- বঙ্গভবন (১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর থেকে)।
জাফলং : সিলেট শহর থেকে প্রায় ৮০ মাইল দূরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সীমানা ঘেঁষে খাসিয়া ও জয়ন্তিকা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পাহাড়ের অপরূপ সাজানো বাগান, বিচিত্র রঙের পাহাড়ি বাসস্থান, ঝর্ণা, নদী, চা বাগান প্রভৃতি।
সেন্টমার্টিন দ্বীপ : কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থেকে ৪৮ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। আয়তন ১২ বর্গ কি. মি. এর মধ্যে ৫০০ একর জমি আবাদযোগ্য। খনিজ সম্পদ : এখানে প্রচুর পরিমাণে চুনাপাথর পাওয়া যায়। তাছাড়া মোনজাইট, মেগনেটাইট, ইনমেনাইট প্রভৃতি আণবিক খনিজ পদার্থ পাওয়া যায়।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত : চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ১৫৫ কি. মি. দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীরে অবস্থিত। আয়তন : এ সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ কি. মি. (এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত)। তবে অনেকে এর দৈর্ঘ্য ১৫৫ কিলোমিটার বলে থাকেন।
বলধা গার্ডেন : ঢাকার ওয়ারী এলাকায় যার আয়তন ৩ একর। জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী নির্মাণ করেন ১৯০৯ সাল থেকে ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত। রবী ঠাকুরের আগমন : ১৯৩৬ সালে নরেন্দ্রনাথের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলধা গার্ডেন পরিদর্শনে আসেন। উল্লেখ্য, এখানে বসে সে তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘ক্যামেলিয়া’ রচনা করেন।
দক্ষিণ তালপট্টি : সাতক্ষীরা জেলার দক্ষিণ সীমান্ত হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় অবস্থিত। আবিষ্কার : ১৯৭০ সালে এ দ্বীপের সন্ধান পাওয়া যায়। আয়তন : ১২ বর্গমাইল। মালিকানা ও দখল : এ দ্বীপের প্রকৃত মালিক বাংলাদেশ হলেও ১৯৮১ সাল থেকে ভারতের সেনাবাহিনীর অবৈধভাবে দ্বীপটি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে। ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক রায়ে ভারতের অংশ হয়ে যায়।
শিলাইদহ : কুষ্টিয়ার শিলাইদহে অবস্থিত। নির্মাণকাল : ১৮১৩ সাল। নির্মাতা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ঠাকুরদা দ্বারকানাথ ঠাকুর। নির্মাণের উদ্দেশ্য : জমিদারি কাজকর্ম দেখাশুনার জন্য ঠাকুরদা বাড়িটি নির্মাণ করেন। কুঠিবাড়ি সংরক্ষকাল : ১৯৫৮ সালের পর থেকে এ বাড়িটি সংরক্ষণ করা হয়।
গান্ধী আশ্রম : নোয়াখালী জেলার জায়ান নামক স্থানে অবস্থিত। অহিংস নীতির প্রবর্তক মহাত্মাগন্ধী ১৯৪৫ সালে এখানে এসেছিলেন শান্তির বাণী প্রচারের জন্য।
হরিপুর : বাংলাদেশের সিলেট জেলায় অবস্থিত : ১৯৫৫ সালে গ্যাস এবং ১৯৮৬ সালে তৈল সর্বপ্রথম এই স্থানে আবিস্কৃত হয়।
কুয়াকাটা : উপমহাদেশের সাগর সৈকতসমূহের মধ্যে কুয়াকাটা একটি বিরল বৈশিষ্ট্যের দাবিদার। পটুয়াখালি জেলার খেপুপাড়া থানা সদরের ২২ কিঃ মিঃ দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের তীরে ঘেষে এর অবস্থান। এ সমুদ্র সৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কি. মি. এখানে পর্যটন হলিডে হোমস রয়েছে। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়।
বার্ড : ১৯৫৯ সালে এটি কুমিল্লা কোটবাড়িতে অধ্যক্ষ আখতার হামিদ খান কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী (বোর্ড) বর্তমানে ৮টি জেলার ৩০টি থানায় ‘ক্ষুদ্র কৃষক ও ভূমিহীন শ্রমিক উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
গুরুদুয়ারা শিখ মন্দির : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা ভবনের দক্ষিণ-পূর্বে বেষ্টনী ঘেরা মন্দিরটি গুরুদুয়ারা শিখ মন্দির নামে পরিচিত। এটি একসময় সুজাতপুরের শিখ সংগত নামে পরিচিত ছিল। সম্রাট জাহাঙ্গীরের সময় প্রেরিত আলমাস্ট নামে এক শিখ শুরু ঢাকায় প্রেরিত হলে তিনিই এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
রামসার হাওড় : সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। বর্তমানে এটি বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এর পূর্ব নাম টঙ্গুয়ার হাওড় এলাকা।