ভূমিকা : নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স
ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যাদ) পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আত্মসমর্পণের
মধ্য দিয়ে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের জন্ম হয়। আর সেই
বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। স্বাধীনতা লাভের পেছনে স্বপ্ন ও
প্রত্যাশা ছিল অর্থনৈতিক ও সামাজিক শোষণ থেকে মুক্তি, গণতান্ত্রিক অধিকার এবং
আত্মনির্ভরশীলতার অঙ্গীকার।
ইতিহাস : বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস সুদীর্ঘ। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর
থেকেই এদেশের মানুষের ভাগ্যে জুটেছে কেবল শোষণ আর বঞ্চনা। সেসময় পাকিস্তানের
পশ্চিম ও পূর্ব অংশের মধ্যে দুই বিপরীতমুখী অর্থনৈতিক কর্মসূচি অনুসরণ করা হতো।
রপ্তানিতে এগিয়ে থাকা সত্ত্বেও দেশের পূর্ব অংশে বিনিয়োগ হতো কম। বড় ও ভারি
শিল্পকারখানা প্রায় সবই গড়ে ওঠে পশ্চিম অংশে। পূর্ব অংশের ব্যবসা-বাণিজ্য থেকে
শুরু করে অর্থনীতির সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে পশ্চিমের কয়েকটি ধনাঢ্য পরিবার।
সরকারি চাকরি ও সামরিক বাহিনীতে দেখা দেয় কোটার ব্যাপক বৈষম্য। পশ্চিম
পাকিস্তানের শোষণ থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশকে স্বাধিকার সংগ্রামের অনেকগুলো
পর্যায় পাড়ি দিতে হয়, যার শেষ অধ্যায় ছিল মুক্তিযুদ্ধ। দীর্ঘকালের শোষণ-বৈষম্য
এবং রাজনৈতিক আধিপাত্যবাদের বিষয়টি বাংলার মানুষ অবহিত হলে পাকিস্তানি
শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। ১৯৭০ সালের ঐতিহাসিক
নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পরও ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি ও ষড়যন্ত্র বুঝতে
পেরে এ দেশের মানুষ স্বাধীনতা অর্জনের প্রস্তুতি নিতে থাকে। স্বাধীনতার দাবির
সঙ্গে মিলেমিশে যার বৈষম্য বিলোপের আকাঙ্ক্ষা। ২৫ মার্চ ১৯৭১ মধ্যরাতে পাকিস্তানি
সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালে ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর
এই ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ,
অগ্নিসংযোগ ও সর্বব্যাপী পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতি তাদের
সর্বশত্তি নিয়ে সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সারাদেশে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ।
দেশের অকুতোভয় সূর্যসন্তানরা তুমুল যুদ্ধ করে লাখো প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে
স্বাধীনতা।
সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হলো স্বাধীনতা
অর্জনের ৫০ বছরপূর্তি পালনের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি। সরকার
প্রথম ২৬ মার্চ ২০২১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী
পালনের ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে এ সময়সীমা ৩১ মার্চ ২০২২
পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী
ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একই বছর হওয়ায় সরকার দুটি উৎসবকে একই রঙে রাঙিয়ে এক
বর্ণাঢ্য উৎসবের আয়োজন করে। ১৭-২৬ মার্চ ২০২১ দশ দিনব্যাপী ‘মুজিব চিরন্তন’
শিরোনামে অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়। ১৭ মার্চ সম্মানিত অতিথি হিসেবে মালদ্বীপের
রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ, ১৯ মার্চ শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা
রাজাপাকসে, ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, ২৪ মার্চ ভুটানের
প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং সর্বশেষ ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র
মোদি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান এবং
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ধারণকৃত মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে
পাঠানো শুভেচ্ছা বাণী প্রদর্শন করা হয়।
অর্থনৈতিক মুক্তি : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তির
সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও ঘনিষ্ঠ। কেননা স্বাধীনতা অর্জনের কর্মধারা এবং স্বাধীনতা
ও সার্বভৌমত্ব অর্জন হলো রাজনৈতিক প্রক্রিয়া। অন্যদিকে দেশের ও মানুষের
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিষয়টি অর্থনৈতিক প্রক্রিয়া। এ দুটির সমন্বয়ই স্বাধীনতাকে
অর্থবহ করে তোলে। বস্তুত অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া কোনো দেশ স্বাধীনতার সুফল ভোগ
করতে পারে না। কারণ অর্থনীতিই সমাজের মূল ভিত্তি। অর্থনৈতিক পরিবর্তন কেবল
মানুষের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নয়, সামগ্রিক চিন্তা-চেতনা ও কর্মপ্রবাহের ওপরও
প্রভাব ফেলে। যে কারণে স্বাধীনতার পরপরিই শুরু হয়ে যায় অর্থনৈতিক মুক্তির যুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে শোষণমুক্ত একটি গণতান্ত্রিক
সমাজ প্রতিষ্ঠা করা। যে সমাজে মানুষ পাবে তার মৌলিক অধিকার, অর্জিত হবে অর্থনৈতিক
মুক্তি। গত পাঁচ দশকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
দারিদ্র্য কমেছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়; বেড়েছে অর্থনৈতিক সক্ষমতা। ব্রিটেনের
অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থা Center for Economic and Business Research (CEBR)’র
তথ্য মতে, বর্তমান বাংলাদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। আর ২০৩৬ সাল নাগাদ
বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে।
স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশ : ৫০ বছরে বাংলাদেশের বড় অর্জন স্বল্পোন্নত দেশের
মর্যাদা লাভ। দারিদ্র্য ও ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে যে বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’
বলে তাচ্ছিল্য করা হয়েছিল, সেই দেশটিই এখন বিশ্বসভায় উন্নয়নের এক রোল মডেল।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ জাতিসংঘের সকল শর্ত পূরণ করে
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করে
বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সালের এপ্রিল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। ১৬ মার্চ ২০১৮
আনুষ্ঠানিকভাবে মানদণ্ড পূরণের স্বীকৃতি পায়। ২৪ নভেম্বর ২০২১ জাতিসংঘ সাধারণ
পরিষদ ৯ (UNGA) বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ অনুমোদন করে। ২০২৪
সালে উন্নয়নশীল দেশে পদার্পণ করার কথা থাকলেও করোনার প্রভাব মোকাবিলা করে
বাংলাদেশ ২৪ নভেম্বর ২০২৬ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।
২০২১ সালের ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা অনুযায়ী মানদণ্ড
সূচক | অন্তর্ভুক্তি | উত্তরণ | বাংলাদেশের অর্জন |
---|---|---|---|
GNI | ১,০১৮$ বা এর কম | ১,২২২$ বা এর বেশি | ১৮২৭$ |
HAI | ৬০ বা এর কম | ৬৬ বা এর বেশি | ৭৫.৩ |
EVI | ৩৬ বা এর বেশি | ৩২ বা এর কম | ২৭.২ |
মধ্যম আয়ের দেশ : ১ জুলাই ২০১৫ বাংলাদেশকে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্যম আয়ের
দেশের তালিকায় উন্নীত করে বিশ্বব্যাংক। স্বাধীনতার পর থেকে দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে
বাংলাদেশ ছিল নিম্ন আয়ের দেশের তালিকায়। বিশ্বব্যাংক প্রতি বছর আন্তর্জাতিক
মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে দেশগুলোকে চারটি ভাগে ভাগ করে- নিম্ন আয়ের দেশ, নিম্ন
মধ্যম আয়ের দেশ, উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং উচ্চ আয়ের দেশ।
মাথাপিছু আয় ও জিডিপি : ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো মাথাপিছু আয়ের দিক থেকে
প্রতিবেশী ভারতকে ছাড়িয়ে যায় বাংলাদেশ। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ প্রকাশিত বাংলাদেশ
পরিসংখ্যান ব্যুরোর (BBS) চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু
জাতীয় আয় ২,৫৯১ মার্কিন ডলার আর মাথপিছু GDP ২,৪৬২ মার্কিন ডলার। যেখানে ১৯৭২-৭৩
অর্থবছরে আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৪ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে
বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন বা GDP’র প্রবৃদ্ধি ৬.৯৪%। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাজেটের
পরিমাণ ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। দীর্ঘ ৫০ বছরের পথচলায় দেশ যেমন উন্নত হয়েছে বাজেটের
আকারও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ৬,০৩,৬৮১ কোটি
টাকা, যা প্রথম বাজেটের চেয়ে ৭৬৭.০৪ গুণ বেশি। সময় পেরিয়েছে, বিশ্বের সঙ্গে তাল
মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়েছে। আমাদের বৃদ্ধি ও প্রবৃদ্ধি সময় ও প্রত্যাশার সঙ্গে
সংগতি রেখেই এ ঊর্ধ্বগতি পেয়েছে।
রপ্তানি আয় : ১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য বলতে ছিল শুধু পাট
ও চামড়া। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় ছিল মাত্র ৩৪ কোটি ৮৪ লাখ
ডলার। মোট রপ্তানিতে পাট ও পাটজাত পণ্যের অবদান ছিল ৮৯.৬৬%। আর চামড়া খাতের অবদান
ছিল ৮.৬২%। ৮০’র দশকে রপ্তানি পণ্য হিসেবে যুক্ত হয় তৈরি পোশাক। ৯০’র দশকে
রপ্তানির শীর্ষে উঠে আসে তৈরি পোশাক। সময়ের সাথে সাথে হিমায়িত খাদ্যসামগ্রী,
হস্তশিল্পজাত পণ্যদ্রব্য, কৃষিপণ্য, সার ও রাসায়নিক দ্রব্য, ভবন নির্মাণসামগ্রী,
সিরামিক পণ্য, গ্লাস, ঔষধ প্রভৃতি রপ্তানি পণ্যের কাতারে যুক্ত হয়। বিগত পাঁচ
দশকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১১ গুণ। সর্বশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৮,৭৫৮.৩১ মিলিয়ন
মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে পোশাকশিল্প খাত থেকে আয় হয়েছে
৩১,৪৫৬.৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বর্তমান বিশ্বে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশের
অবস্থান তৃতীয়।
প্রবাসী আয় বৃদ্ধি : আমাদের দ্বিতীয় অর্থনৈতিক খাত হলো প্রবাসীদের অর্জিত আয়।
দেশের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করতে প্রবাসীদের অর্জিত আয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখছে। প্রতিদিন, প্রতিমাসে, প্রতিবছরে প্রবাসীরা বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশে
পাঠাচ্ছেন। এতে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২০-২১
অর্থবছরে দেশে সব মিলিয়ে প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ২,৪৭৮ কোটি ডলার। প্রবাসীদের
আয়ের হিসাবে বর্তমান বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।
রাজস্ব আয় বৃদ্ধি : গত ৫০ বছরে আমাদের রাজস্ব আয় উল্লেখযোগ্যহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে সর্বমোট রাজস্ব আয় হয় ১৬৬ কোটি টাকা।
২০২০-২১ অর্থবছরে মোট রাজস্ব অর্জিত হয় ২ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব বৃদ্ধি
পেয়েছে ১,৫৬৬ গুণ।
দারিদ্র্য বিমোচন : ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৯০% আর অতিদরিদ্র
জনগোষ্ঠী ছিল মোট জনসংখ্যার ৪৪%। সেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমীক্ষা ২০২১ অনুযায়ী,
দারিদ্র্য কমে দাঁড়িয়েছে ২০.৫ শতাংশে। আর চরম দারিদ্র্যের হার নেমেছে ১০.৫
শতাংশে। সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে পুরোপুরি দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, দারিদ্র্য বিমোচনের ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ।
উপসংহার : বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি
নিশ্চিত করে শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা, যাতে দুঃখী মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। এ
লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশ আজ অনেকটাই সফল। সফলতার এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে প্রয়োজন
সকলের সম্মিলিত প্রয়াস। আর এর মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে
ক্ষুধা-দারিদ্র্য-নিরক্ষরতামুক্ত, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ।
আরো দেখুন :