প্রবন্ধ রচনা : বাংলাদেশের পাখি

সূচনা :
কী মনোরম দেশটি আমার কৃষক দেখি ধান করে
ঋতুর সাথে তাল মিলিয়ে বনের পাখিরা গান করে ।।

পাখপাখালির দেশ বাংলাদেশ। সকাল থেকে সন্ধ্যাবধি আমরা হরেক রকমের পাখি দেখতে পাই। এদের মধ্যে রং, আকার ও স্বভাবের পার্থক্য রয়েছে। কোনোটি দেখতে সুন্দর আবার কোনোটি খুব বিশ্রী। পাখিরা মিষ্টি সুরে কূজন করতে ভালোবাসে। কিন্তু এদের কোনোটির কণ্ঠস্বর মধুর, কোনোটির আবার কর্কশ কণ্ঠস্বর। কাক একটি সাধারণ পাখি। খুব ভোরে কাকের কর্কশ ডাক শোনা যায়। কাকের ডাক শুনেই আমরা রজনীর সমাপ্তি টের পাই। কাক সকল পাখির মধ্য কুৎসিত এবং কর্কশ কণ্ঠস্বরের অধিকারী। চুরি করা কাকের স্বভাব। সুযোগ বুঝে খাবার চুরি করে বা ছোঁ মেরে নিয়ে যায়।

পাখি প্রকৃতির সৌন্দর্যের প্রতীক। পাখি পরিবেশেরও বন্ধু। বাংলাদেশ বিচিত্র পাখির দেশ।

গানের পাখি : গানের দেশ, সুরের দেশ, আমাদের এই বাংলাদেশ। এদেশের পাখির কণ্ঠে ধ্বনিত হয় মধুর সুর। বউ কথা কও, কোকিল, দোয়েল, পাপিয়া, বসন্ত প্রভৃতি গানের পাখিদের মধ্যে ব্যাপক পরিচিত। মধুর কণ্ঠস্বরের জন্য কোকিল সবার কাছেই প্রিয়। এটি অতিথি পাখি বলেও খ্যাত। কেননা বসন্তের শুরুতে এদের আগমন ঘটে এবং শীত শুরুর আগ পর্যন্ত অবস্থান করতে দেখা যায়। বুলবুলিও গানের পাখি বলে পরিচিত। চড়ুই পাখিটি খুবই ছোট। টুনটুনি আরও জোরে লেজ উচিয়ে এবং লাফাতে লাফাতে মনের সুখে গান করে।

কথক পাখি : টিয়া, ময়না, চন্দনা, শ্যামা প্রভৃতির পাখির কণ্ঠও সুমধুর। শিক্ষা দিলে এরা মানুষের সুর নকল করে কথা বলতে পারে। এজন্যেই এ পাখিগুলো মানুষ পোষে। পোষা পাখি হিসেবে এরা অন্তর্ভুক্ত হয়।

শিকারি পাখি : চিল, বাজ, শকুন, শিকারি পাখি বলে পরিচিত, চিল, বাজ প্রভৃতি হাঁস ও মুরগির বাচ্চা শিকার করে আহার করে। বক, মাছরাঙা পাখিকে সাধারণত জলাশয়ের ধারেকাছেই অবস্থান করতে দেখা যায়। সুযোগ পেলে এদের ছোট ছোট মাছ ধরে আহার করতে দেখা যায়। কাঠঠোকরাও একটি সুশ্রী পাখি। এর ঠোঁট খুব শক্ত তীক্ষ্ন, এরা পোকামাকড় আহার করে। এরা পশুপাখির মাংস আহার করে। মরা পচা খেয়ে এরা মানুষের উপকার করে।

উপসংহার : পাখি হচ্ছে স্রষ্টার অনুপম সৃষ্টি। প্রায় সব পাখিই দেখতে সুন্দর, এদের মধ্যে কোনোটি আবার আমাদের খুবই উপকার করে। তাই এদের প্রতি নিষ্ঠুর না হয়ে সকলের সদয় হওয়া উচিত।


1 Comments

  1. সববারের মতো বড় হয় নি। এবার অনেক ছোট হয়ে গেছে

    ReplyDelete
Post a Comment
Previous Post Next Post